Friday, November 1, 2024

দীপাবলি -- অমরেশ দেবনাথ

দীপাবলি
অমরেশ দেবনাথ
তারিখ - ৩১-১০-২০২৪
যে আঁধারে বিবেক হারায় মানবতা ভুলে,
সে আঁধারে দিও হে আলো করুণা সুধায়ে,
যেন আসে গ্লানি, ঘৃণা নিজের মন্দ দোষে,
যেন চাই ক্ষমা হৃদয় হতে করজোড়ে নুইয়ে,
মিছে পিপাসার হাওয়া নিও উড়িয়ে ঝড়ে,
দিয়ে যেও অমৃত পিয়াস তোমার চরণতলে।
অশুভ সব হারাক্ দূরে আদ্যাশক্তির স্পর্শে,
প্রাণের শক্তি পরম ভক্তি জাগুক নতুন করে,
এই তাপের পাপের গ্লানি যেন হারায় বনান্তে,
মাতৃশক্তির শুভ আশিসে সকল মঙ্গল করে,
ঘরে ঘরে জ্বালাও দিয়া হৃদয় প্রসারে অনুরাগে,
নিও আমার সকল অহংকার চোখের জলে।
আনন্দ আসুক ঘরে ঘরে মার অরুণ জ্যোতিতে,
ভাসুক পৃথিবী আলোর মেঘে দিগদিগন্ত ছাড়িয়ে, 
ছোট বড় নেই কোন ভেদ তোমার রাঙা চরণে,
মানব মনে দাও সে প্রেম সকলেরে কাছে নিতে।
ঘরে ঘরেই আছো তুমি মাতৃকার কতো রুপে,
মাতৃশক্তি হউক পূজিত ঘরে ঘরে নতুন করে,
আমি চাইনা চণ্ডী, ডাকিনী যোগিনী, কর্নপিশাচিনী,
ঘরে ঘরে যেন হাসে ঐ লক্ষ্মী, দুর্গা আর সরস্বতী,
সে আলোরই অরুণ জ্যোতি লাগুক সবার চোখে,
তারই কিরণে দীপাবলি আসুক ঘুরে নব জীবনে,
যার আছে প্রাণ, নাই যে মান, আছে শুধু ভক্তি, 
করি যেন শুধুই অর্পণ মনের ঐ ভাবের অঞ্জলি।
পিপাসার সকল মুকুল যেন পুঁতি তোমার ঘাটে,
আসবে প্রেমের নতুন পাতা সবুজের আলোতে,
যা গেছে দাও বিদায় মন হতে মার আরাধনাতে,
মা-ই দেবে নতুন পথ নতুন করে এ দীপাবলিতে।

হেমন্তের প্রভাবে -- নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস

 হেমন্তের প্রভাবে 
 নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস 
 ০১.১১.২৪.
হেমন্ত কাল নায়ে তুলে পাল এসেছে ধরার ঘাটে,
কৃষক যেথায় বৃক্ষ ছায়ায় রঙিন স্বপ্ন আঁটে ।
রৌদ্রে ভরা দিবস প্রখরা সারাদিন মাঠে খাটে,
সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ফিরে যায় সূর্য বসিলে পাটে ।

দিবা অবসানে মাঠে পাকা ধানে রৌদ্র প'ড়ে হাসে, 
দিবসের শেষে সব চাষি এসে মেলে তারা গৃহবাসে ।
সিউলিরা সব করে অনুভব গাছে দিতে হবে চাঁচ,
কার্তিক এলে সবে তারা মেলে খেজুর গাছের কাছ ।

শেফালিকা ফুল হারাইয়া কুল নীরব ব্যথায় কাঁদে, 
শীতার্ত হয়ে অতি ভয়ে ভয়ে বিদায় রাগিনী সাধে ।
উত্তুরে বায় নদী বয়ে যায় দখিন সাগর পানে, 
মিলনের মেলা সেথা করে খেলা তাই যায় সেইখানে ।

নির্মল জলে হাসে শতদলে তারাও মলিন প্রায়, 
এলে হেমন্ত সবার অন্ত তাই তারা ভাবনায় ।
নলেন গুড়ের পিঠে পায়েসের ঢেরাঢের পড়ে যায়, 
প্রতি ঘরে ঘরে নব কলেবরে বিভিন্ন পিঠে খায় ।

বর্ষা বাদল বিদায়ী মাদল যখন বাজালো তারা, 
হেমন্ত আসে ধরণীর বাসে বহে শান্তির ধারা ।
আসে নবান্ন কাটিলে ধান্য উৎসবে মাতে সবে, 
উৎসব শেষে কড়া শীত এসে ধরা'য় জাঁকিয়া রবে ।

Thursday, October 31, 2024

গাড়ি -- কাশীনাথ মন্ডল

গাড়ি 
 কাশীনাথ মণ্ডল 
৩১/১০/২০২৪
জকির মৃত্যু ও বাতাসের গাড়ি 
মন্থর  
ট্যানারিতে মহিষ ও ঘোড়াদের অবশেষ ঝোলে 
একটি ফিটন এখানে ফুরায় 
একটি সিমেট্রিতে মেঘ ও জল 
শুকনো ফুলের তোড়া 
শুকনো মাছ লজেন্স 

মৃত্যু হোলে বাইনাকুলার এবং ট্রেডমিলে কালি পড়ে 
টাইপিস্ট মেয়েটিও আঁধার সর্বস্য 
এবার বালি ও কাঠের পাটাতনে নীল নীল ভ্রূণ এদের দীর্ঘজীবী হওয়ার বাতি জাগ্রত আছে 

একটি উন্মাদের মগজে বেল বাজে 
তারপর ভিতর বাহির রঙ করে 
তারপর ঈশ্বরের প্যান্ট খুলে দেয় 
প্রশ্ন কেন একজন অন্ধ একজন খোঁড়া একজনের উপবাস 
কেন মহামারী কেন বিকলাঙ্গ কেন রাষ্ট্রের গাড়ি সমগ্রের দুয়ারে আসেনা

কেউ মনে রাখেনি -- উত্তম গোস্বামী

কেউ মনে রাখেনি
উত্তম গোস্বামী 
৩১/১০/২০২৪
সেই অতীতের দিনগুলোর কথা
 কেউ মনে রাখেনি। 
কেউ মনে রাখেনি, বাবা মায়ের 
 সেই নিদারুণ যন্ত্রণা,কষ্টের কথা।
বড় খোকা যখন ভূমিষ্ঠ হলো 
ওর বাবা আনন্দে আত্মহারা হয়ে 
চিৎকার করে বলতে থাকে,
"ওগো পৃথিবীর মানুষ তোমরা শুনতে পাচ্ছো,
আমাদের পুত্র সন্তান হয়েছে।
ও একদিন আমাদের জীবনের 
 সকল দুঃখ দৈনতা ঘুচিয়ে দেবে।"

বাবা চটকলে কাজ করেন। 
সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে 
যখন বাড়ি ফিরে আসেন
ক্লান্তিতে চোখ দুটো তার বুজে আসে।
ছেলের পুষ্টির কথা চিন্তা করে 
দুধ,হরলিক্স বিভিন্ন ধরনের বেবি ফুড কেনার জন্য আরও বেশিক্ষণ ধরে ডিউটি করতে থাকেন বাবা।
স্ত্রী বলতে থাকেন,"অত পরিশ্রম করছে ছেলের জন্য, 
তোমার শরীর টানছে না তো!"
"দেখে নিও সরল ছেলের জন্য এই শ্রম 
 কোনদিন বিফলে যাবে না।"
 ছেলে একটু একটু করে বড় হতে লাগলো,
 মায়ের হাত ধরে চলতে শিখলো। 
তারপর যখন মেয়ে রমা এলো এই পৃথিবীতে,
বড় ছেলের বয়স তখন পাঁচ বছর। 
ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে 
ওদের খাবার-দাবার লেখাপড়ার
কোনো কার্পণ্য করেননি কোনোদিন। 

একদিন ওরা বড় হলো। 
মেয়ের বিয়ে হলো বড় বাড়িতে।
ছেলে একদিন চাকরি পেল বড় কোম্পানিতে। 
বিয়ে করলো জমিদারের এক মেয়েকে। 
তারপর কুড়ি বছর কেটে গিয়েছে। 
জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গেছে কতঝড়, ঝাপটা।
মা অনেকদিন আগেই গত হয়েছেন। 
বাবা এখন বৃদ্ধাশ্রমে দিনযাপন করছেন।
ছেলে বৌমা একদিন রাতের অন্ধকারে 
 বৃদ্ধ বাবাকে ঘর থেকে মেরে বের করে দিয়েছে।
বাবা এখন স্মৃতিগুলো আঁকড়ে বৃদ্ধাশ্রমের 
একাকি জানালার ধারে বসে 
খোলা আকাশের দিকে চেয়ে বলছে- 
"দেখে যাও সরলা তোমার স্বামী আজ 
বৃদ্ধাশ্রমে বসে নিদারুণ যন্ত্রণা আর 
 বুকফাটা কষ্ট নিয়ে হাহাকার করে কাঁদছে।
পুত্র কন্যা সবাই ভুলে গেছে বাবার সেই 
স্নেহ,মায়া,মমতার কথা, বাবার যন্ত্রণা,কষ্টের কথা। 
ছোটবেলাকার সেই কষ্টের স্মৃতিগুলো 
আজ ওরা কেউ মনে রাখেনি। 
জানো সরলা ওরা সবাই আজ পর হয়ে গেছে।
বাবা মাকে ভুলে গেছে ওরা।
কেউ ওরা মনে রাখেনি।
কেউ মনে রাখেনি।"

ওরা তোমরা আমরা -- নিবারণ চন্দ্র দাস

ওরা তোমরা আমরা 
নিবারণ চন্দ্র দাস 
৩১/১০/২০২৪
এ তোমাদের কেমন লড়াই?
  সমাজ শোধন করো,
তারই মাঝে ঝাণ্ডা গুলো 
  একটু তুলে ধরো।

শাসক কাঁপুক ভয়ে ত্রাসে,
  আমরা গদি চাই,
সেই লড়াইটা দাও না লড়ে 
  তবেই বলব ভাই।

অ-রাজনীতির লড়াই করো,
 তোমরা বোকা হাবা,
আমরা চাইছি ক্ষমতা সব 
  করতে বগলদাবা।

বিরোধীরা দিচ্ছে মদত 
  বুঝতে পারছি সব,
বঞ্চিত আর নিপীড়িত 
   করছে কলরব।

আমরা মারছি সরাসরি 
  তোমরা কেন বাদ?
ন্যায্য বিচার চাওয়াটা তো 
  বিষম অপরাধ।

যেথায় যত গরীব গুর্বো 
  ক্ষ্যাপে না যে কেন?
তাই তোমাদের এত্তো সাহস 
  বীরপুঙ্গব হেন।
          

ফেসবুক বন্ধুত্ব -- দিলীপ ঘোষ

ফেসবুক বন্ধুত্ব
দিলীপ ঘোষ
২৯/১০/২৪
মিটার অথবা গজ মেপে কথা
ইমজি আদান প্রদান শত শত
উপরে উঠে মাটিতে নামে
শব্দহীন তুবড়ি বাজির মত
আঙ্গুলের সাময়িক কসরত
জোনাকি-আলোর ফুলকি যত
কিছুক্ষণ পরেই চ্যাপ্টার ক্লোজ
অনুভবে রাংতায় মোড়া আফশোস

আধখোলা দরজা ঠেলে আসা যাওয়া
মাটিতে শেকড় মেলে বসেনা কেউ
আলো আঁধারিতে ছায়া মূর্তি দেখে
বেওয়ারিশ প্রভুভক্তর আফশোস

যেন শিমুল তুলোর সংসার
উড়ছে সবসময় ঠিকানাহীন ঠিকানায়
আজ এই সময় যে ঢেউ এলো বালুচরে
একটু পরেই সে হারিয়ে যায়

দায়দায়িত্বহীন সাময়িক বন্ধুত্ব
গুড মর্নিং আর গুড নাইটে
তাতেও সমস্যা অনেক পরিবারে
সন্দেহ পরিনত হচ্ছে বচসাতে।

কর্মফল -- জয়ন্ত লাল আচার্য্য জয় ।

-         
           কর্মফল 
        জয়ন্ত লাল আচার্য্য জয় । 
            ২৯/১০/২০২৪ ইং,  
 
      সবকিছু ছেড়ে-ছুড়ে , 
                          চলে যাব দূরে , 
       জীবনের অবসানে ,
                           রবো বহুদূরে ।
       মিছে মায়া সংসার ,
                         জীবনের বেলা , 
       ছকে বাঁধা নিয়মের,
                         এ নিঠুর খেলা ।

       চারপাশে পরিজন ,
                           করিবে গুঞ্জন , 
       হিসাবের লেনা-দেনা ,
                          থাকে যতক্ষণ ।
       যদি করো কারো আশা, 
                        করে কোণঠাসা ,  
       তব স্নেহ ভালোবাসা,
                       হেরে যায় আশা ।

       ভুল বুঝা-বুঝি মাঝে ,
                        বিষাদের সাজে ,   
       হতাশা বাড়ে যে কাজে,
                        না বুঝার মাঝে ।
       সব ভুলে নিজ্ কূলে ,
                         যাব আমি চলে ,
       দোদুল দোলায় দোলে,
                         অধিকার বলে ।
       বিদায়ের কোলাহল ,
                           ক্ষণিকের ঢল ,
       জীবন মরণ মাঝে , 
                           রবে কর্মফল ।

Wednesday, October 30, 2024

হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত -- সত্য সুন্দর সামন্ত

হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত
 সত্য সুন্দর সামন্ত                              
   (২৯.১০.২৪)                                                               
সুন্দর পাহাড় আর নদীর কাছে 
যখন আমি ঘোরাঘুরি করছিলাম
 গৌরবময় শীতের দিনে
অগণিত বন্য পাখি দেখেছিলাম।
 তাড়াতাড়ি গাড়ী থামিয়ে 
দাঁড়ালাম ও দেখলাম 
 এই ভাবে  একটি স্বর্গীয় ঘন্টা                                         আমি কাটিয়ে ফেললাম। 
তবুও আনন্দের জায়গাটা 
ছাড়তে পারিনি
অনুভব করলাম কিছু একটা 
কৌতূহলী হৃদয়ের টানা টানি।   
 অজানা রহস্যময় প্রাণী দেখেছি, 
তাদের গানও শুনেছি,
তারা নদীতে মাছ ধরতে পারে 
 ভাসতে, ডুবতে, ঘুরতেও পারে!
 কখনও দেখেছি লাল-সাদা
 লিলির উপর বসতে,
আবার দেখেছি শান্ত পাহাড়ের
 দিকে সশব্দে উড়ে যেতে ।
 দেখেছি পাহাড়, আকাশ, 
বিথি আর তাদের  উড়ন্ত চিত্র 
ধীরে ধীরে প্রবাহমান নদীতে  
হতে প্রতিফলিত।

 হায়রে!পাঁচটা শীত কত দ্রুত 
 জীবন থেকে চুরি হয়ে গেছে!
 আবারও দেখতে এসেছি
 সঙ্গে শীতল বাতাস 
ঢেউ খেলানো পাহাড়, নদী, 
লিলি আর তাদের উল্লাস।
আমি কিছু পাত্রবিহীন কাঁটা 
গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছি,
দেখছি লিলি ছাড়া ক্ষয়িষ্ণু নদী 
দেখিনা কোন গান গাওয়া পাখি।  

নদীর বালুকাময় পাঁজর আর
 শুষ্ক কাশফুল আমারে ভাবায় 
 কভু কি ফিরিবে                     
চলে যাওয়া সেই সুখো সময়?      

Monday, October 28, 2024

গোধূলি লগন -- এস চাঙমা সত্যজিৎ


গোধূলি লগন  
এস চাঙমা সত্যজিৎ 
২৮/১০/২০২৪
বেলা যায় যায় ডুবে গোধূলি লগনে, 
কখনো দাঁড়িয়ে আছি যেন আনমনে। 
প্রকৃতি আমায় ডাকে ওই ফুল বনে, 
নীলাভ আকাশ জুড়ে মেঘমালা সনে। 
আমার নতুন স্বপ্ন জাগুক জীবনে, 
কত ফুল ফোটে আছে তোমার কাননে। 
যতদিন স্মৃতি হয়ে থাকে তোর মনে, 
পাখির কাকলি রবে গাহি গুন গুনে। 
গোধূলি বেলার শেষে যদি সংগোপনে, 
মনের মাধুরী দিয়ে কথোপকথনে। 
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে রাতের স্বপনে, 
তোমার গানের কথা বলো কানে কানে। 
হৃদয় জুড়িয়ে যাবে গোধূলি লগনে, 
আমার মনের কথা বুঝিবে কেমনে। 
আনন্দ বেদনা নিয়ে কত আলাপনে, 
নিঝুম রাতের বেলা দেখিব স্বপনে। 
আর কতকাল রবে দূর সংগোপনে, 
দখিনা বাতাসে ভেসে জুড়ায় নয়নে। 
আকাশে তারার মেলা নীলাভ ভূবনে, 
সুখের নিবাস গড়ি তোমার জীবনে। 
বেদনা বিদুর মনে আছি কার পানে, 
মুছে যাক গ্লানি মোর আনন্দ ভূবনে। 
খুশির জোয়ার এসেছে প্রিয়ার সনে, 
একাকী দাঁড়িয়ে আছি গোধূলি লগনে।

হাল ছেড়ো না -- রথীন কাঁড়ার

     হাল  ছেড়ো  না 
     রথীন   কাঁড়ার 
     ২৮/১০/২০২৪ 
জীবন পথে চলতে গেলে 
   বিঁধবে অনেক কাঁটা,
রক্ত ধারায় ভিজুক মাটি 
     তবুও চলুক হাঁটা।

জীবন নদে উঠুক ঝড় 
  আসুক আঁধি তুফান,
মনের জোরে পেরোতো হবে 
    এক একটি সোপান।

চালাকি দ্বারা মহৎ কর্ম 
   কখনো করা যায় না, 
লড়াই করে জিত হাসিল 
  এটা সবাই পারে না।

আঁধার রাত্রি কেটে যেমন 
    নতুন সকাল আসে, 
দুঃখের দিন শেষ হলেই 
  আনন্দে মানব হাসে।

বাধা বিপদ আসুক যত 
ভেঙে কখনো পড়োনা, 
একাই জেনো লড়তে হবে 
  হাল কখনো ছেড়োনা।

নিরাকার এর স্বপ্ন ভঙ্গ -- সুরজিৎ পাল

 নিরাকার এর স্বপ্ন ভঙ্গ 
 সুরজিৎ পাল
 ২৮.১০.২০২৪
সে আসে রোজ! 
নিশুতি রাতে।
ঠক্ ঠক্ করে জাগিয়ে তোলে, 
আমি উত্তেজিত, কেঁপে চলি।
সে আমার হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান নিয়েছে।
জাপটে ধরতে গিয়ে ভুল ভাঙ্গে, সব শূন্য ! আমি যে কাল্পনিক স্বপ্নের জগতে।
স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট গ্রাস করে আমার চিন্তাকে, 
কি বোঝাতে চায়? তাঁর চাওয়া আর পাওয়ার জেদ - ছিন্ন করে আমার মানষিক সত্তাকে,পরিবারিক শান্তিকে।
দ্বন্দ্ব বেড়েই চলে, বুঝতে অসুবিধা হয়না শ্রেণী বৈষম্যের জাঁতা কলে পিষে চলেছি। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি উচ্চ কুঠুরির উচ্চাভিলাসী দৃষ্টি ভঙ্গি।
তবু মেয়েটির একটি গুণ কে বেগুন বলা চলেনা। সে পাগলের মতো ভালোবাসতে জানতো। 
স্বপ্নে বারবার এসে ভালোবাসাকে উজাড় করে দিতো । 
বন্ধন ছিন্ন - 
পাড়লো না আমার সুখের তরীকে বয়ে নিতে। 
প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রতিবার তীরে এসে তরী ডুবত। সমাজ, পরিবার,পরিজন,বস্তু তান্ত্রিক 
ব্যবস্থার উদ্যোগ ব্যর্থ।
দেহ হতে প্রাণ - শূন্যতার পথে গেলাম।
 আজ আমি অতীত,এক ব্যর্থতার প্রতীক।
কায়া হয়ে খুঁজে ফিরি সেই পাগল পারা ভালোবাসাকে। তাইতো নিরাকার স্বপ্নের বায়বীয় রূপ ধরতে গিয়ে.........!?!????

Sunday, October 27, 2024

নাড়ু মামার প্রাইজ -- নূরুল ইসলাম

নাড়ু মামার প্রাইজ
 নূরুল ইসলাম 
  ২৭/১০/২০২৪
    নাড়ু মামার শক্ত শরীর,
            সাঁঝের বেলা মুগর ভাঁজে।
    এক নাগাড়ে সাঁতার কাটে,
            সাত সকালে নদীর মাঝে।

    চ্যালেঞ্জ নিলো নাড়ু মামা,
            প্রথম প্রাইজ পাবেই পাবে।
    মামা আমার সাদা সিধা,
            নদীর বুকে পরীক্ষা হবে।

    প্রতিযোগিতা এবার কঠিন,
            বাংলাদেশের দুজন আছে।
    নাড়ু মামার চিন্তা কিসের,
            আসবে না কেউ ধারে কাছে।

    দুহাত দিয়ে বেদম টানে,
            মামা সবার আগে চলে।
    পৌঁছানোর ঠিক আগ মুহূর্তে,
            হঠাৎ বিপদ নদীর কোলে।

    মামাকে দেখি তীরে না এসে,
            ওইখানে ডুবন্ত বাচ্চা ধরে।
    দুহাতে তুলে ছেলেটির মাথা,
            নদীপাড়ে ওঠে চিৎ সাঁতারে।

    মামা এবার পেল না কিছু,
            তবুও মামা জিতে গেছে।
    প্রথম প্রাইজ মোহ ছেড়ে,
            বাচ্চাটির যে প্রাণ বেঁচেছে!

        

ভদ্রতার সঙ্গে পূর্ণচ্ছেদ -- দিলীপ ঘোষ

ভদ্রতার সঙ্গে পূর্ণচ্ছেদ
দিলীপ ঘোষ
২৭/১০/২৪
ইঙ্গিতে বিদায় জানালে
বললে শুভ রাত্রি, করলে দিনের আড়ি
মুখে বললে না এসো
কিন্তু দরজা বন্ধ করলে তড়িঘড়ি

ভদ্র শব্দে বললে, দশটা বাজলো
অনেক রাত্রি হলো
সকালে উঠতে হবে তাড়াতাড়ি
শোবার সময় হলো,
এখন নিস্কৃতি দাও, বললে কৌশলে
অথচ অন্যদিন ঘুমাতে যাও
বারোটা একটা বাজলে

পুরানো হচ্ছে সম্পর্ক
সোহাগের কব্জায় লেগেছে নিমপাতার জং
এড়িয়ে যেতে তাই উপলক্ষ খোঁজ
লক্ষ্য পুরোনে করেছ পণ

পূর্ণচ্ছেদ টানো তাই ভদ্রভাবে
কিন্তু ধরা পোড়ে যাও আমার অনুভবে।

স্মৃতির দহন -- জয়ন্ত হালদার

স্মৃতির দহন 
 জয়ন্ত হালদার 
  ২৭/১০/২৪
 স্মৃতিরা যখন ঘোর লাগা  নদীটার বাঁকে 
 তরঙ্গ তুলেছে , সহসা  ছুঁয়েছে উপকূল ,
 বিস্মৃত স্বপ্নের পরাভূত পলিমাটি জুড়ে 
 অযাচিত নোনাজলে নাড়িয়ে দিয়েছে আমূল !

 যৌবন বন থেকে সুগন্ধি কস্তুরী ঘ্রাণ 
 ব্যাকুল করেছে,বুকের বামে তুলেছে ঝড় ,
 অলিন্দ- নিলয়ে নীলাদ্রি নির্ঝর প্রবাহে 
 হৃদি-অরণ্যে ঝরা পাতা বিষাদের মর্মর !

 নিভৃত নির্জনে বনফুল ঝরে গেলে ঠোঁটে 
 সে চেনা চুম্বনে দীপ্ত অলক্ত- অরুণোদয় ,
 অঙ্গার আখরে পুড়ে পুড়ে তামাটে চিবুক 
 কিছু সুখ খুঁজে স্বপ্ন-তরঙ্গে ভেঙ্গেছে প্রত্যয় !

 তবু, ঝরে গেলে ভাট ফুল, মরে গেলে কাশ
 পথ চেয়ে দিন গোনে ক্লান্ত চোখের কোন ,
 ভাঙ্গা ঘাটে ভেসে যায় ঘট, পাখির পালক 
 বালুচরী বুকে প্রত্যাশা ঘিরে স্মৃতির দহন !!

Friday, October 25, 2024

হলুদ টিয়া পাখি -- তরুণ কুমার ভট্টাচার্য

হলুদ টিয়া পাখি
তরুণ কুমার ভট্টাচার্য
২৪/১০/২৪
হলুদ টিয়া পাখি 
একি ধরণ   তোর আচরণ 
গায়ে-হলুদের হলুদ নিলি মাখি  ।

হলুদ মেখে নিলি
তাতে কি তোর   মনের ভিতর
যে রয়েছে  তাকেই  বার্তা  দিলি  ?

সে বুঝি এক ছিল
সকাল থেকে     ডেকে ডেকে
সুসংবাদকে   রাষ্ট্র   করে   দিল  !

অরণ্য খুব খুশি 
তরু সাজায়     মালতী লতায় 
পাখির   কন্ঠে   নহবতের  বাঁশি  ।

গন্ধে মাতোয়ারা 
বেলী-যুথিকায়   গন্ধ বিলায় 
রজনী গন্ধা কামিনী ফুলের ঝারা ।

আলোর ঝর্ণা তলা 
জ্যোৎস্না ধারায়    কল্কা -তারায়
জোনাক গাঁথে চুমকির গোড়ে মালা  ।

হলুদ লেগেছে মনে
হলুদও বোঝে    প্রাণের খোঁজে
পরস্পরের   হৃদয়েরে  কাছে  টানে  ।

এবার ভাবের দুয়ার খোলো --- বনানী সাহা

 এবার ভাবের দুয়ার খোলো ---
 বনানী সাহা 
 ২৪- ১০- ২০২৪
আপন সীমায় গণ্ডী কেটে---
থাকবে কতো আগল এঁটে ?
এবার, ভাবের দুয়ার খোলো----

বন্ধ করে ঝগড়াঝাঁটি--- 
সাঙ্গ করে কান্নাকাটি --
এবার ,আড়ি মিটিয়ে ফেলো।

নব চেতনায় জাগবে ঢেউ--- 
পিছিয়ে থেকো না, তোমরা কেউ ----
অন্তরে জ্বালাও--- আপন আলো ।

আঁধার গুলো মুছে ফেলে---
 আপনাকে জাগাও, জ্ঞানের আলো জ্বেলে ----
ঝেড়ে , মনের যত ধুলো।

দু'দিনের--  এই যে হাটে--
বেচাকেনা উঠবে লাটে---
লাভ -লোকসান কিসের বলো?

সবাই মিলে মাতবো সুখে---
থাকবো না তো--  মনোদুখে---
রাত্রি নামার আগে, দিনটাতে বাঁচি চলো ।

রূপসী হেমন্ত -- অরূপ দাস

   রূপসী হেমন্ত
    অরূপ দাস 
    ২৪/১০/২৪
 
        কে বলেছে হেমন্ত  নাইকো তোমার রূপ ততো! 
        চারিধারে ই কত বাহার রূপের যেনো নাই অন্ত।
আকাশ প্রদীপ জ্বেলে,                     আপনারে দাও মেলে, 
        তারায় তারায় আলোর ধারায় আকাশ আজি সাজন্ত।

         সকাল বেলায় ঘাসের ডগায় শিশির যেন মুক্ত,
          সজল  বাতাস   ছাড়া পেয়ে  হয় যে  প্রাণবন্ত। 
 আকাশ সুনীল স্বচ্ছ,                         মাঠ ভরা আজ শস্য,
           কনক বরণ পাকা ধানে  হারায় যে দিগন্ত।

            বন চামুণ্ডা, কাল কাসুন্দি, স্বর্ণপদক গাছে-
            নাম না জানা কত যে ফুল বনে ফুটে আছে।
  দীপাবলির উৎসবে                       ছড়ায় তোমার গৌরবে, 
          আলোয় আলোয় না চেনালে তোমারে কে চিনতো?

         রূপালি নদী, সাগর আজি ফেনায় ফেনায় ফেনিল,
         বাদল হারা  নীল আকাশে  উড়ছে কত  শঙ্খ চিল। 
 উঠবে নূতন ধান্য ভবে,                   অগ্ৰহায়ণে  নবান্ন হবে, 
          পাতার  খামে  নিমন্ত্রণ  পাঠালো  আজ হেমন্ত।

          হেদো পুকুর পানায় ভরা বেগুনী ফুলে ফুলে, 
          বন কলমী হিমেল হাওয়ায় উঠছে দুলে দুলে।
গাছের পাতা ঘন হরিৎ,                আকাশেতে নাইরে তরিৎ, 
             মাঠে মাঠে   সোনার  ধান্য   দিগন্ত  বিস্তৃত। 

             দেব কাঞ্চন  ফুল  দোলে  হিমঝুরিদের  সাথে, 
             ছাতিম  ফুলের উগ্রতা তে  মাতাল করে রাতে।
 বাউল বাতাস হয় উদাস,                 পাচ্ছি শীতের পূর্বাভাস,
            প্রকৃতি আজ  কি মনোরম!  স্নিগ্ধ শ্যামল ‌ শান্ত।

জীবনের সমীকরণ -- চাঙমা বিনয় যমুনা

 জীবনের সমীকরণ
 চাঙমা বিনয় যমুনা
 ২৪/১০/২০২৪
ভুল হতে চলেছে জীবনের সমীকরণ
বার বার জীবনে আমার
চৈত্র গেল,বৈশাখ গেল,জ্যৈষ্ঠ গেল
ঘুরে ফিরে এলো আষাঢ়।

বৈশাখ আর জ্যৈষ্ঠ মাস মিলে
গ্রীষ্ম ঋতু আছে মনে
আমার জীবনে এসেছে গ্রীষ্ম ঋতু
আষাঢ় আর মাস শ্রাবণে।

বর্ষায় এসেছে নিদারুণ রৌদ্রদীপ্ত খরা
শীত এসেছে চৈত্র মাসে
এ মাসে হলো দারুণ বৃষ্টি আমার জগতে
কালো মেঘ জমে আকাশে।

হেমন্তে এলো শিউলিঝরা শরৎ
বর্ষা শেষে এলো নব বসন্ত
কেন হলো এলোমেলো জীবন আমার
হলোনা জানা আদি অন্ত।

দেখেছি এক কালের জ্ঞানী গুণীজন
কই ফুটতো যাদের মুখে
লজ্জায়,অপমানে রয়েছে নীরবে তারা
এখন আজ বড়োই দুঃখে।

অশিক্ষিত,মূর্খ আর চাটুকার যারা
রয়েছে তারা আজ উচ্চাসনে
চালাক চতুর শিয়ালেরা রয়েছে বসে আজ
রাজার সুরম্য রাজ সিংহাসনে।

আমার জীবন জগতে ব্যাঙেরা আজ
সর্প গিলে গিলে খায়
ছাগলের ভয়ে ব্যাঘ্রের পাল এখন
গভীর বনে পালিয়ে বেড়ায়।

আমার জগতে ঘোড়াদের রয়েছে আজ
সামনে পিছনে দু'টো মুখ
উভয় মুখে আহার করে করে তারা
তৃপ্তিতে লাভ করে অনন্ত সুখ।

গরমিল হয়ে গেল জীবনের হিসাব
হাজার চেষ্টাতেও পারছিনে মিলাতে
প্রহরের পর কেটে চলেছে সময় অবিরত
ঘুম আর আসেনা মোর রাতে।

Thursday, October 24, 2024

প্রতিচ্ছবি -- স্নেহাশিস পালিত

প্রতিচ্ছবি
স্নেহাশিস পালিত
২৩-১০-২০২৪
একটু অন্যভাবে দেখতে চাই, 
সূত্র খুৃঁজি মনুষ্যত্বের আদি রসায়নে... 
যা রাতারাতি উবে যায়নি কখনো! 

বিশ্বাসের বীজ বুনি পরম যত্নে, 
হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতার ঝড় -
কখন যেন আলগা করেছে তার মূল!

আত্মকেন্দ্রিক দুনিয়ার অভ্যন্তরে -
বেড়ে ওঠে লোভ লালসার পাহাড়... 
গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত আপন অস্তিত্বকে!    

বিবেক ঘুমায় ক্লান্ত অবসরে, 
অশান্ত সময়ের খোকলা কার্ণিশে... 
ঘা খেয়ে ঘুম ভাঙে অনেক দেরিতে!

পাঁজরসার দেহে বাসা বাঁধে -
আশা ভরসার পুরানো আবর্জনা... 
শুষ্ক হাসিতেই বাঁচি অভ্যেস মতো! 

দিনের শেষে সেই একই হিসেব... 
কী দিয়ে কী পেলাম?  কী বাকী রইলো? 
মুচকি হাসে অন্তরাত্মা হতাশার আড়ালে!
 

অ-পাশবিক --সুজিত শর্মা বিশ্বাস

অ-পাশবিক
সুজিত শর্মা বিশ্বাস 
২৩/১০/২০২৪
আজ এখানে কাল ওখানে ঘটছে এমন রোজ
মাটি মায়ের কেউ কখনো রাখছে কি তার খোঁজ ?
খুললে কাগজ রোজই দেখি, বিমর্ষ মার মুখ
কান্না ছাড়া নাই কিছু আজ ? ভাঙছে মায়ের বুক।
ধর্ম বর্ণ কেউ মানে না, বয়স মানে না তার
আদিম ক্ষুধা নেয় মিটিয়ে রুখবে সাধ্য কার ?
কারোর পিঠে নেতার ছোঁয়া কেউ বা পুলিশ, তাই
কার টিকি আজ কে ছোঁবে রে ? কারো সাহস নাই।
নিত্য নতুন আইন জারি গাল ভরা তার নাম
মায়ের চোখের জল কখনো পায় না সঠিক দাম।
নামেই বিচার ! হয় প্রহসন, সাজা কি কেউ পায় ?
ধারার মাঝে উপধারায় স্বাধীন হয়ে যায়।
মানুষ আজি নাইতো মানুষ শুধুই যন্ত্র আজ
নাই কোনো কাজ চলছে দেশে রাজনীতিরই ঝাঁজ।
কে বাঁচাবে এই জাতিকে কে দেখাবে পথ ?
কেউ ভালো নাই কোন মানুষ আছে কি আজ সৎ ?
বনের পশু বলছে- "অসুর, তোমরা মানুষ নও
থাকবে ভালো তোমরা আগে সত্যি মানুষ হও।"

নারী মুক্তির দিশারী অভয়া -- অমর দাস

নারী  মুক্তির দিশারী অভয়া""।
অমর দাস।
23/10/24.
মূর্তি মাঝে নেই দুর্গা সে নয়তো ভরসা। 
অভয়ারা জীবন্ত দুর্গা প্রতিরোধের ভাষা।
তব জীবন রক্ষায় যারা করছে যে লড়াই, 
ভুলোনা,সমাজে আসল দুর্গা যে তারাই।
দূর্ণীতির বিরুদ্ধে অভয়ার যুদ্ধ ঘোষণা, 
তাই অসুরের দল তাঁকে বাঁচতে দিলনা।
স্বাস্থ্য দুর্ণীতির যে বিরাট টাকার পাহাড়, 
অভয়ার প্রতিবাদে স্তব্ধ দুর্ণীতির বাহার।
স্বাস্থ্য দুর্ণীতির বিরুদ্ধে করে সে লড়াই, 
অভয়া জীবন্ত দুর্গা,সেলাম দাও সবাই।
টাকায় ডাক্তারী ডিগ্রি,অসুরের ভয় নাই।
অসুরেরা পাবেই শাস্তি নাই কোথাও ঠাঁই।
ডাক্তার দুর্গারা অর্থের জন্য হয় কলুষিত,
ভুয়ো ডাক্তারে ভরা হাসপাতাল দুষিত। 
অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে অভয়া হয় যারা,
ওরাই তো জীবন্ত দূর্গা আসল দূর্গা তারা। 
নারী ইজ্জৎ বাঁচাতে অভয়া করে লড়াই, 
কবি বলে এসমাজে আসল দূর্গা  তারাই।
দুর্ণীতির বিরুদ্ধে ডাক্তারের আন্দোলনে,
শহিদ হলো অভয়া তাতে জানে জনগনে।
ওরাই যে আসলেই দূর্গা বলে দিয়ে যাই।
অভয়া দূর্গাদের  মন্দিরে খুঁজোনা  ভাই।
অভয়া হত্যার মোরা কঠিন বিচার চাই।
আজ নাগরিক সমাজ জেগেছে যে তাই।
আর জি করে সুস্বাস্থ তরে আন্দোলনে,
শহিদ হলো অভয়া কি পেলো জীবনে?
কোলকাতা আন্দোলিত অভয়ার তরে,
ভুলে গেলে অভয়ারে দুর্গোৎসব করে?
পূজোয় তোমরা খাচ্ছো কতো ভালোমন্দ 
অভয়া জননীর অশ্রুতে ম্লান সব আনন্দ।
তোমার আনন্দে মিলেছে অসুরের দল।
চোখ মেলে চেয়ে দেখো তাদের রংবদল।
অভয়ার মা অশ্রু লয়ে ঘুরছে দ্বারে দ্বার,
অভয়ার পিতা আদালতে চাইছে বিচার।
সুস্থ জীবনের তরে লড়ছে যারা অহর্নিশ,
তারাই আসল দূর্গা তাদের করো কুর্নিশ।

স্মরণে নীল -- কার্ত্তিক পোদ্দার


আজ শ্রদ্ধেয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏

        স্মরণে নীল 
       কার্ত্তিক পোদ্দার 
       ২৩/১০/২০২৪

           সু'নীল কভু হয়না 'অ'নীল
                 বর্ষা যতোই হোক,
            হৃদয় মাঝে সুনীল রবে
              আসুক যতই শোক।

          জন্মে-মৃত্যে গাঁথা মালিকা
               শোভিত শুভ ক্ষণ,
       কোকিলের গান নাড়া দেয় শুধু
               বাসন্তিক যৌবন !

       তবুও আকাশ  নীল আভরণে
            ঢেকে রাখে নিজ কায়া,
       আকাশের বুকে ভেসে চলে দেখো
            সুনীল' সাহিত্য ছায়া।

        নীললোহিত'র বিদায়ের বেলা
           আকাশের মুখ ভার,
      মৃতে'র 'দিকশূন্যপুর'গতি রোধে,
             সাধ্যি আছে কার।

     এসেছিলে তুমি মাতৃ ক্রোড়ে ,
         সাহিত্যে আঁকিলে ছবি,
       প্রণমি স্মরণে তব প্রয়াণ লগ্ন 
          বাঙালির প্ৰিয় কবি।
            

আসছে দানা -- কল্যানী ব্যানার্জ্জী।

আসছে দানা।
কল্যানী ব্যানার্জ্জী।
২৩.১০.২৪

সকাল থেকে আকাশ আবার ভরল
বিষাদ ভারে
আসছে দানা ঘনিয়ে আবার আকাশ কালো করে।
একটুখানি গুছিয়ে ছিল ওরা অনেক কষ্ট করে
খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলো থাকে যে কুঁড়ে ঘরে
এই তো সবে বন্যা গেল ভাসলো কতকিছু
আবার কষ্ট করে জোগাড় করে টিন হোগলা বা
পলিথিন কিছু।
নেই তো অন্ন বস্ত্র নেইতো অন্যের দয়ায় বাঁচে
আবার তারা দানার নামে
ভয়ে ভয়ে বাঁচে ;কি করবে কোথায় যাবে
কি বা তারা খাবে।
জমি জিরেত যেটুকু ছিল নোনা জলে ভাসে
অনেক চেষ্টা করেও আর চাষ হয়না তাতে।
কেমন বিচার তোমার গো মা
দেখতে কি তুমি পাওনা?
মা বলে তোমায় যারা পুজে
তাদের ডাকে কেন সাড়া দাওনা?
তুমি এলে সেজে গুজে ছেলে মেয়ে নিয়ে
মন্ডপে বসে পুজো নিলে আনন্দ তে ছেয়ে
চলে গেলে আবার তুমি তোমার নিজের ঘরে
অসহায় সব সন্তানরা রইল হেথা পড়ে।
কি অবস্থায় আছে তারা
দেখলেনাক চেয়ে।

Tuesday, October 22, 2024

ও আমার নীলকন্ঠ পাখি -- মলয় সরকার

ও আমার নীলকন্ঠ পাখি 
 মলয় সরকার
 ২২/১০/২৪
 ও আমার নীলকন্ঠ পাখি 
 কোমল রাত্তিরে আসবে কি ফিরে,
 চুপি চুপি বলবো কথা 
 স্বপ্নের মসলিনে ভেসে যাব 
 গোলাপের পাপড়িতে মিশে।
 বহুদিন ছিলে তুমি অজ্ঞাতবাসে 
 বিস্মৃতির এক্কা দোক্কায় পাইনি টের 
 হৃদয়ে  কোমল গান্ধারের সুর।
 তোমার শরীরের উঁচু-নিচু 
 গহীন উপত্যকায়
 ঘামের গন্ধের মাদকতায় 
 প্রাণশক্তি ধার দিতে পারো অবলীলায়।
 নতজানু আমি,
 মনের ঐশ্বর্যের বৈভবে 
 ক্লান্ত হৃদস্পন্দনে পথনিষ্ঠ 
 পথিকের মত দরজা থেকে 
 ফিরে গেছি বারবার।
 আমার নিঃশ্বাসে আন্দোলিত 
 এক অনন্ত প্রতীক্ষা।
 আলো ভেজা ঘোলাটে চোখে 
 হারিয়ে গেছে ঝরনার স্বচ্ছতা।
 ও আমার নীলকন্ঠ পাখি 
 ধার দিও কিছু রামধনু রং 
 যেন ময়ূরের আনন্দিত পেখম।
 টাটকা সকালের মাখন রোদে
 মিশে যাওয়া কান্নার দাগ 
 মুছে দিও তোমার পেলব হাতে।
 তোমাকে এখনও খুঁজে বেড়াই 
নীল আকাশের মাঝে 
স্বপ্ননীল স্বপ্নের হাতে ধরে।

রোমাঞ্চিত শিহরণ -- গোপাল বিশ্বাস

রোমাঞ্চিত শিহরণ
 গোপাল বিশ্বাস 
 ২২.১০.২৪
চৈতালী বলো, কত্তো অভিমান তোমার বুকে?
রজনীতে দু-চোখ মেলাতে পারিনি নিদ্রাহীন দুঃখে।

বাতায়নের  শিক ধরে কাটিয়েছি কতো রাত,
অবয়বে স্পর্শ অনুভবে প্রেরণা  যুগিয়েছে  তোমার হাত।

অভিমানে যে পথে রেগে তুমি গিয়েছিলে ফিরে,
মায়াবী আবরণে ঢাকা সেপথ রয়েছে আজো ঘিরে। 

দু'খোন পা'য়ে জড়িয়ে আলতা পরা অতি মমতায়,
কাজল পরেছিলে চঞ্চুতে, নূপুর পরেছিলে পায়।

খুশবু মেখেছিলে সারা অঙ্গে  চন্দন সৌরভিত গোলাপের সনে, 
এক রোমাঞ্চিত শিহরণ দোলা দিয়ে যায় মরু সম
তপ্ত মনে। 

ওষ্ঠে, গ্রীবায় যখনি উষ্ণতা গিয়েছিলো ভাবাবেগে বেড়ে,
বিশাল ঝাঁকুনিতে নিজেকে নিয়েছিলে আমা থেকে কেড়ে।

বাহুতে জড়িয়ে ধরে যবে দু'হাতে বুকে দিলে টান,
ভেবেছিলাম অভিমান বুঝি ভেঙে হলো খান খান।

হঠাৎ স্বপ্ন ভেঙে হাহুতাশে পড়ে দেখি চারিপাশ, 
মিটিমিটি আলোতে কে যেনো হেসে করে পরিহাস।

ভেঙে ফেলো যত অভিমান আর ছোট ছোট ভুল,
দেখে নিও মরু বুকেতেও  ফুটে রবে ভালোবাসার ফুল।

নিয়ম অনিয়ম -- বনানী সাহা

 নিয়ম অনিয়ম 
 বনানী সাহা
  ২২ -১০- ২০২৪
নিয়ম আর  অনিয়মের দ্বন্দ্ব চিরকালই ।
নিয়মের যাতাকলে পিষে ---
অনেক সময় স্বপ্নগুলো ধুলোয় যায় মিশে !
ইচ্ছেগুলো বন্দী খাঁচার পাখির মতো, ডানা ঝাপটায় !
কখনো বা বিধি নিষেধের খাঁচা ভেঙে, আকাশ ছুঁতে চায় !

নিয়ম যারা মানতে চাও না তাদের আমি বলি----
কিছু নিয়ম উল্টে গেলে বিপদ সীমায় চলি!
সূর্য, চাঁদ নিয়ম করে না উঠলে ;কী হতো ভেবে দেখো!
কেমন করে থাকতে তুমি; যদি পৃথিবী ঘুরতো ইচ্ছে মতো !

ঋতু গুলো যদি ,আসতো যেতো ইচ্ছে মতো !
তোমার গায়ে শীত- গ্রীষ্ম কেমন করে সহ্য হতো ?
বৃষ্টি যদি মাটিতে না পড়ে, ছুটতো মহাকাশে !
জল ছাড়া কেমনে তখন বাঁচতে পৃথিবীতে বসে?

শস্য শ্যামলা কেমন করে থাকতো পৃথিবী ?
অন্ন না খেয়ে কেমনে বাঁচতে তুমি ?
শৈশবের পরেই যদি আসতো বার্ধক্য !
বলো তো তোমার সেটা ভালো কী লাগতো?

অসুখ হলে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া চাই ।
ডাক্তার না দেখিয়ে যদি ওঝার কাছে যাই---
ঝাড় -ফুকে কী অসুখ সেরে যেত?
রোগ নিয়ে ঘরে বসে মানুষ, কতো কষ্ট পেতো!

নিয়ম করে প্রতিদিন না বসে পড়তে ---
কী হয় জানো ভালোই পরীক্ষা দিতে গেলে ?
ট্রাফিক নিয়ম না মেনে গাড়ি চালালে--
কতো বিপদ হয় জানো রাস্তাতে যানজটে ।

এমন আরো অনেক নিয়ম আছে দুনিয়াতে---
যা শুধু চলে, তোমাকে আমাকে ভালো রাখতে ।
ভুল ভাল নিয়ম তাই বলে, চাপিয়ে দিয়ো না কাঁধে !
অনিয়ম বলে সেগুলো, পারবো না গো মানতে !!

বিস্মৃতি -- অরূপ দাস

 বিস্মৃতি
 অরূপ দাস
 ২২/১০/২৪
শেষ  শরতের  শিউলি যখন  ঝরবে বনে বনে,- 
আমার কথা তখন কি আর পড়বে তোমার মনে!
 হেমন্ত তে বেলা যখন  আসবে ছোটো হয়ে,
 শুষ্ক বাতাস আধো ছায়ায় যখন যাবে বয়ে, 
 উঠবে যখন  আকাশ  প্রদীপ  দূরের গগনে,- 
 ‘আমার কথা তখন কি আর পড়বে তোমার মনে’?

 বারান্দা তে  বিজনে তে  থাকবে যখন দুজনে, 
হৃদয় যখন উঠবে দুলে  বউ কথা কও কূজনে,
 নিবিড় হয়ে করবে সোহাগ   যখন প্রিয় সুজনে,-
 কাশ গুলো সব পড়বে ঝরে  ক্লান্ত বিধুর পবনে।
 হাজার তারা  উঠবে যখন  সন্ধ্যা  তিমির গগনে,- 
‘আমার কথা তখন কি আর পড়বে তোমার মনে’?

মনের কথা বলবে যখন   হাতে  তে হাত রেখে, 
পরাণ খুলে গাইবে গো গান  স্বপ্ন আতর মেখে; 
উতল বাতাস আকুল হয়ে তোমায় যাবে ডেকে,
 মুখ  ফিরায়ে লবে তুমি,   ফেরার  পথে দেখে;
 ফিরবো যখন একা ভবে, করুন্  বিরস বদনে,- 
‘আমার কথা তখন কি আর পড়বে তোমার মনে’?

মাতবে যখন  প্রিয়র সাথে  হেমন্তে দীপ উৎসবে,
হৃদয় তোমার উঠবে দুলে নবীন প্রেমের গৌরবে।
 চারিধারে  ছড়িয়ে যাবে  গন্ধ  রাজের  সৌরভে,
 হেলায় ছুঁড়ে ফেলবে দূরে পুরানো প্রেম বৈভবে।
 আমি তখন  কাঁদবো একা  রাত্রে  তোমা বিহনে,-
‘তখন কি আর আমার কথা পড়বে তোমার মনে’?

ভেঁপু -- কার্ত্তিক পোদ্দার

ভেঁপু 
 কার্ত্তিক পোদ্দার
২২/১০/২০২৪
কালো অস্তিন আবৃত বীরবিক্রমী হাতে
বেজে ওঠে কর্কশ ভেঁপু,নিশিতে বেশ অস্থৈর্য ছিলো যে!
দিবালোকে কীট নিঃসৃত জহরে যন্ত্রনা।

ভ্যাকসিন শুধু কলা-কোষে,মস্তিষ্কে নয় কেনো?
বর্বর-অজাত ভণ্ডামি, পিউপাতেই শেষ হোক সব!
খসে পড়ে নীলচে ছলনা-জমাট হেঁচকি।

কাক আঁধারে সুচছিদ্র সন্ধান,তেজালো গুপ্তক্রীড়া,
রাজপথে থিয়েটার পর্দা,অভিনয়,সবই অভিনয়।
ওদের ভেঁপু বাজবে একদিন...!

ফ্যাকাশে বর্বরতার মুখ আড়াল,জল দর্পণে,
সেদিন সকাল হবে সময়ের আগে।
পূবেল হওয়ার সাথে।

একটু থেমে দেখো,মিষ্টি বাতাস মুখ ধুয়ে দেবে,
মেরুর জমাট চাওড় পড়বে খসে!
পাতা ঝরার কাল শেষে।

নির্লজ্জতা -- প্রভাত দাস

  নির্লজ্জতা
   প্রভাত দাস
   ২১/১০/২০২৪
জীবন তমস ভরলো প্রাতে
                       জীবন হানীর গল্প হাতে!
মুষ্টি বদ্ধ হাতের ছোঁয়া
                          সর্বনাশের রক্ত ধোঁয়া!

মৃত্যু দহন লোপাট সাথে
                        জীবন যুদ্ধ বন্দী কাঁখে!
অমল অনল ছাড়লো পাড়া 
                      জীবন হানী দিলো সাড়া!

মৃত্যু ঘরে সুবোধ বানায়
                  লোপাট পাচার তথ্য সানায়!
দিলের সাজা দিচ্ছে ধোঁকা
                    ভাবছে বুঝি সবাই বোকা!

গল্প সে তো মৃত্যু লড়াই
                দিচ্ছে আলো ভুলের বড়াই!
জীবনটা তো মিথ্যে নয়
                   হিসেব বেঁধে দিচ্ছে সময়!

মানস হাসে জীবন ছোঁয়াই 
               ত্যাগের মহিমা বড় দাওয়াই!
নাকের ডগায় বিষের ফোঁড়া
                     স্বপ্নগুলো বিঁধছে সেরা!

হাতির হাঁড়ে চিবুক জোড়ে 
              কাঁপায় দুনিয়া আঁধার ফোঁড়ে!
স্বপ্ন তাগিদ হেসে মরে
               জীবন ভোরের কাগজ পড়ে!

ন্যায়ের শক্তি -- তরুণ চ্যাটার্জ্জী

 ন্যায়ের শক্তি
 তরুণ চ্যাটার্জ্জী 
 21/10/24
কিসের প্রমাণ মুছবে তুমি,
 কোন্ অপরাধ দেবে ফাঁকি।
অনেক কিছুর আড়ালে থেকেও,
মনের চোখে স্পষ্ট দেখি।

কিছু মানুষ ভয়েই কাতর,
 কেউ বা বাঁচে দ্বন্দ্ব দ্বিধায়।
কেউ বা মাথা ঝুঁকিয়ে চলে,
হাত পেতে খায় পেটের খুদায়।

অপরাধ তো যায় না ঢাকা,
যতই করো প্রমাণ লোপাট।
বোধ বিচার তো সবার আছে,
 কেউই নয় নিরেট আকাট।

আজ নয় কাল পড়বে ধরা,
আসবে প্রমাণ মাটি ফুঁড়ে।
বাঁধন যখন আলগা হবে,
মুখোশ খানি যাবে ছিঁড়ে।

সৎ সত্যে যায় না মারা,
ক্ষমতা দম্ভ হিংসা দিয়ে।
ন্যায়ের প্রকাশ আলোর মতো,
উঠবে ফুটে আঁধার ধুয়ে।

সত্য পথে -- দীপ্তি চৌধুরী ঘোষ

সত্য পথে
দীপ্তি চৌধুরী ঘোষ 
তারিখ -২১/১০/২৪
সত্য বলে যারা চলে
তারা সুখী হয়,
সত্য ভালো সত্য আলো
সত্যে করো জয়।

ধরার মাঝে অসৎ কাজে
লিপ্ত যারা আজ,
মিথ্যে বলে গগণ তলে
করছে তারা রাজ।

শিক্ষার আলো ঘুচায় কালো
শিক্ষা সবাই নাও,
প্রভুর তরে জীবন ভরে
সুখটা খুঁজে পাও।

সত্য জ্ঞানে পুণ্য আনে
দেখবে সুখের মুখ,
পাপের বোঝা নয় তো সোজা
বাড়বে মনে দুখ।

জীবন রথে সঠিক পথে
চলো সবে ভাই,
ধরার মাঝে মহৎ কাজে
ভালোবাসা পাই।

হাত বাড়াও -- নিবারণ চন্দ্র দাস

হাত বাড়াও 
নিবারণ চন্দ্র দাস 
২২/১০/২০২৪
ধ্বংস করো শিক্ষা স্বাস্থ্য 
   ধ্বংস করো দেশ,
তবুও নাকি বলতে হবে 
  আহা বেশ বেশ।

বন্ধক থাকে মেরুদণ্ড 
  বন্ধকী মস্তক,
তবুও তোমার জয়জয়কার 
  দখলে দস্তক।

মানুষ নিয়ে খেলছো খেলা 
  জাতির বিচার সাথে,
একদিন ঠিক পাবে এর ফল 
  মিলিয়ে হাতেনাতে।

নষ্ট বৃত্তির জয়জয়কার 
  ক্ষণস্থায়ী মানি,
সংশোধনের পথে এসো 
  ছেড়ে হানাহানি।

ধমক চমক নাটক ছাড়ো 
  পথের মাঝে এসে,
চোখের জলের মূল্য মেটাও 
   সবার পাশে বসে।

দেশের ভালো দশের ভালো 
  সত্যি যদি চাও,
আমরা ওরা বিভেদ ভুলে 
  হাত বাড়িয়ে দাও।
        

Sunday, October 20, 2024

বাস করি কোন দেশে --মো: নূরুল ইসলাম

বাস করি কোন দেশে
মো: নূরুল ইসলাম 
 ২০/১০/২০২৪
    কতো কি যে ভাবি বসে,
            বাস করি কোন দেশে!
    বাড়ি ঘর পথ ঘাট,
            পাড়া শেষে চেনা হাট।

    হাট বসে শুক্রবার,
            বেচা কেনা যার যার।
    মাটির হাড়ি ধামা কুলো,
            শাড়ি ধুতি জামাগুলো।

    কৃষকেরা নিয়ে আসে,
            বসে গিয়ে পথ পাশে।
    বেচে দেয় ধান গম,
            পোঁটলা ভরা কম দাম।

    স্কুল আছে মাস্টার নাই,
            ছেলে মেয়ে আসে যায়।
    স্কুলে পড়া হয় শেষ,
             চপ ভাজে অবশেষ।

    মারামারি দলাদলি,
            মাঝে মাঝে খায় গুলি।
    লাঠি বন্দুক সকেট বোম,
            সব আছে নাই কম।

    ভোট এলে দাম বাড়ে,
            বোমা ফেটে কতো মরে!
    মরে গিয়ে হয় ভুত,
            তবুও ভোট করে লুট।

    এই দেখে কাটছে দিন,
            আলো নাই দৃষ্টি ক্ষীণ।
    বেচে আছি ভাবি তাই,
            প্রতিকার কিছুই নাই।

          

যেদিন আমি থাকবো না -- দেব মন্ডল

যেদিন আমি থাকবো না 
দেব মন্ডল 
২০/১০/২০২৪
যেদিন আমার কলম থেমে যাবে, 
ভেবে নিয়ো আমি আর নেই এই ধরনীর মাঝে। 
মৃত্যু শব্দ সেদিন যুক্ত হবে আমার নামের আগে। 
হয়তো মিশে যাবো রাতের আকাশের তারার সাথে। 
না হয় থাকবো আমি ঝাউয়ের নিচে জোনাকির সাথে। 
বাংলার আকাশে, বাংলার বিলে উড়বো আমি গাং শালিকের বেশে।
সাদা বক হয়ে উড়বো আমি আমার সপ্নের বাংলার আকাশে। 
তোমারা কি আসবে সেদিন আমার মৃত শরীর দেখতে। 
একটা করে বই উপহার দিয়ো আমার শেষ যাত্রাতে। 
তোমারা একটু কবিতা পড়ে শুনিয়ে যেয়ো আমার মৃত্যুর দিনে। 
আমার শেষের দিনে হিন্দু -মুসলিম সবাই উপস্থিত থেকো, আছো যতো কবি গনে। 
হয়তো আর দেখা হবে না  কোনদিন কোন কালে। 
তোমারা সঙ্গী হয়ে যেয়ো আমার শেষ কাজে । 
আমার মৃত শরীর দাহ্য নয়, ভাসিয়ে দিয়ো নদীর জলে। 
আমি চলে যাবো ভেসে আমার জন্মভূমির বুকে। 
ওই মাটি আমার ভীষণ প্রিয়, ওই মাটিতে জন্ম আমার। 
ওই মাটি আমার কাছে হিরের চেয়ে খাঁটি। 
আমার শেষ যাত্রায় যেনো ওই মাটিত হয় ঘাঁটি।

চাঁদের অসুখ -- মৃত্যুঞ্জয় সরকার

চাঁদের অসুখ
মৃত্যুঞ্জয় সরকার
২০/১০/২০২৪
চাঁদ বললো মাখবি আমায়?
ইচ্ছে হলে চুপঘুমে রাত কাটাবো শাওন সুরে..
জমে থাকা বুকের মাঝে আছে যত না বলা কথা
মনের সুখে বলবি না হয় পেখম মেলে।

মনের সুখে উড়বো দুজন গহীন রাতে
পাহাড় নদী বনের ছায়া সব পেরাবো একে একে,
দেহ মনে থাকবে কিছু উষ্ণ লহর 
তেপান্তরের ধু ধু মাঠে যাপন হবে..

রাত পোহালে আবার তো সেই ঘিঞ্জি জীবন
একঘেয়েমি রোদ্র ছায়া আপোষ করে জীবন চলা..


ভাঙন -- অরূপ দাস

ভাঙন
অরূপ দাস 
২০/১০/২৪
গড়ার পালা শেষ হয়েছে,এবার শুধু ভাঙার খেলা,
সোনার তরী বাওয়া শেষ, ভাসাই সর্বনাশের ভেলা।
আকাশে নাই  তারার দেখা,  অন্ধকারে সব ঢাকা, 
সন্ধ্যা-পবন বইছে আজি কার বিরহ-আতর মাখা! 

 সকল কথা শেষ হয়েছে, বিদায় বেলার গান শোনা,
 পথের শেষে দাঁড়িয়ে আছি,পারে যাওয়ার দিন গণা।
 কখন যে শেষ হয়ে গেলো স্বপ্ন সুখের জাল বোনা!
 নদীর পারে উদাস আমি, গানের  তরী আন মোনা।

 কন্ঠ আমার জড়িয়ে আসে,দু’ই চোখে তে জল গড়ায়,
 সমন  আমার এসে গেছে  সর্বনাশের  দোরগোড়ায় ।
 একটু  সুখের  সন্ধানে তে   ঘুরে ছিলেম  সব খানে,
 সকল সুখ কেড়ে নিয়ে  হানলো আঘাত মোর প্রাণে।

  সর্বহারার  দলে  আমি  পথ  হারিয়ে  দিশেহারা, 
 এখন  শুধু বঞ্চনা  মোর, দুই পায়েতে পিষে মারা।
 বাঁধ ভাঙা জল  ধেয়ে এসে  ভাসিয়ে  নে যায় সৃষ্টি,
  উদাস হয়ে  চেয়ে থাকা   আকাশ  পানে শূন্য দৃষ্টি।

  সব হারিয়ে আকুল হয়ে তোমায় প্রভু কেবল ডাকা,
  হারিয়ে গেছে সহজ পথ , সমুখে পথ  আঁকা বাঁকা।
  যা দিয়েছি চাইতে গেলে   হয় যে  সবাই  মার মুখী, 
  আমার মতো এই ধরাতে  কে আছে  রে আর দুখী!

   বাঁচার উপায় নাই রে আমার  রইলো বাকি মরা,
   সুখের  ঘরে লাগলো আগুন , যাবে না ঘর করা।
   শেষ হয়েছে ভালো আমার,   এখন শুধুই ব্যর্থতা ,
   ভালো আছে মন্দ আছে,কেন হারিয়ে গেল সততা!

গল্প বলা শিল্প -- সারস

 গল্প বলা শিল্প 
  সারস
  20/10/2024
কবিতা আমার  সজারুর  কাঁটা বিদ্ধ জ্বালা
বিবেক ডঙ্কায়  আয়ঢায়   করা পথ চলা ।
কবিতা আমার  বিজারণ  জ্বরে ক্লান্ত বেলা
সকল আধানে  মনোপিড়া  মনে নব দোলা।
কবিতা কিরণে  আলোহর্ষ   বর্ষ ধরে চলা 
কবির কবিতা   দীপ্তকন্ঠ    বিদ‍্য জনে বলা।
কবিতা আমার  জাগরণ    স্বত্বা কাব‍্যে কবি
জীবন মরণ     শেষবেলা    জ‍্যান্ত নব‍্য ছবি ।
শরৎ আকাশে   চিত্রকলা    নীল নভে ভ‍্যালা
বসন্ত কোকিল   সুরসাধে    সুখী সুস্থ মেলা ।
কবিতা আখ‍্যান   পরিমল   মুক্ত বায়ু ধারা
অরুণ কিরণে     সদামত্ত    সিক্ত আয়ু পারা ।
জাগ্রত কবিতা    বনময়     পাতা সনে আড্ডা
তুহিন  প্রবাহ      তুন্ডতুঙ্গ    তীর্থ মায়া গাড্ডা ।
কবিতা আমার   সপ্তডিঙি   নিত‍্য স্রোতে  ভাসা
মনের  দিগন্ত      নীলনভো   শক্তি রসে' আশা।
আমার কবিতা   প্রতিবাদী   স্বত্বা উল্টো রথে
পথের   পথিক     প্রতিদিন    হাঁটে শুদ্ধ পথে ।
আমার  কবিতা    শবনম     বিন্দু ঘাসে জমা
শিউলি  ফুলের   শতদলে    মুক্ত ধারা রমা ।
কবিতা জীবন্ত   কিংবদন্তী   মিঠে কন্ঠে আঁকা
কলম  কালির    স্বয়ংবর     মনে'  ছবি  বাঁকা।
কালের কবিতা  কালান্তর   কই  কলা  কল্প
আমার কবিতা    রবিপথ    শিল্প কলা গল্প।।

Friday, October 18, 2024

সহবাসী -- বিদ্যুৎ রায়

 সহবাসী
 বিদ্যুৎ রায় 
 ১৮/১০/২০২৪
আবার ফিরব নদীর কাছে আমি,
দু:খগুলো ফেলব ধুয়ে জলে, 
ভাবছি আবার বসবো নদীর পাড়ে, 
নদীর তীরে বকুল গাছের নিচে।
আবার মনের দুয়ার  দেবো  খুলে,
আপন বেগে ছুটবে কথা নদী,
মিশে যাবে তোমার গভীর জলে । 

তুমি তো সেই স্বাধীন সোনা মেয়ে,
যেমন ছিলে অনাদিকাল ধরে। 
আমায় কেনো টানো তোমার কাছে?
দু:খ নিয়ে খেলছি লুকোচুরি।
টানোই যদি, দাওনা একটু স্থান, 
তোমার বুকেই ভাসিয়ে জীবন তরী,
তোমার নিয়েই যাপনটাকে সারি। 

তোমার স্রোতে আজীবনকাল ভাসি,
ইচ্ছে বড়,তুমিই হবে আমার সহবাসী।।

আসনে আসীন -- প্রণব চৌধুরী

 আসনে আসীন
 প্রণব চৌধুরী
 ১৮/১০/ ২০২৪,
আসনে আসীন অনিকেত এই অপরাহ্নের অবেলায়।
অপলকদৃষ্টিতে অপরূপে অদ্ভুত অপার মহিমায়।
আবহতে আসন্ন আঁতুড় অকিঞ্চণে অলোকরাশি।
আড়ালে আবডালে কত আকুতি অবিরামে আগ্রাসী। 
অতি আচারে অত্যাচারিত অতঃপরে সকল আপামর।
আভাতিবেলায় অতি অবহেলায় অন্তজ আজ সকল আসর।

কলিকালের কমলিকা কায়াতে কদাচিৎ কখনও কৃপা।
 কুলি কামিন কিষাণদের কারখানায় শোনান কিচ্ছা।
কেমন আছো কেয়ামত কেতকী এখন কি করে ?
কত কার্নিসের কামারা করলাম কত কোটি কবুতরের তরে।
কাননে কাননে কদম্বরাজি কদমফুলে কত কাদম্বরী।
কষ্মিনকালে দেখেছো কখনও এমন কারনামাতে কস্তুরি ?

তবুও তোমরা করো তিরস্কার তেপান্তরের তীরে।
তাদের হয়ে তল্পিবাহক তণুতে লাগিয়ে তকমা সাজাও তসবিরে ?
তালুকে তালুকে তল্লাটে তল্লাটে তর্পণে করেছি তৎদ্বির।
তমসার তীতিক্ষার করেছি অবসান বানিয়েছি তরুক্ষীর।
তিল্পনির ঘাট তিরোধানের মাঠ তপোবনের তট সব তালুকে।
তৃষ্ণায় হয় না তাপীয় তাতল সবেতে তথাস্তুতে তৎপরেতে।

মুক্তি সংকেত -- সুরজিৎ পাল

 মুক্তি সংকেত 
 সুরজিৎ পাল
 ১৮.১০.২০২৪
ধর্ম যেদিন ক্লান্ত হবে 
দুর হবে সকল ভয়।
 খিদের জ্বালা খাদ্যে মেটে
কোরান,গীতা,বাইবেলে নয়।

প্রেম যেদিন হারিয়ে যাবে
বুঝবে প্রেমের মহত্ত্ব কি?
মাথা ঠুকে যতই কাঁদ 
ফিরে  তুমি পাবে কি?

মানব জীবন পরিব্রাজক রেশ
কোথায় পাবে পথের শেষ?
যতই ফিরে চাওনা কেনো 
দেবেনা কোনো গ্রন্থ নির্দেশ।

সুখের খোঁজে আসবে শেষে
ত্যাগে মুক্তি জীবন সংকেত।
সব শেষে দুমুঠো ভাত
এর বেশি কি চাইবে?

বিরোধ ভুলে আলাপচারিতায়  
পার্থক্য কোথায় খুঁজতে হবে।
তবেই তুমি পাবে পথ
ভালোবাসা সেথায় অটুট রবে।

উৎসবের ব্যস্ততা -- নিমাই হাজরা।

উৎসবের ব্যস্ততা
নিমাই হাজরা।
 ১৮/১০/২০২৪
আজি এই উৎসবে তোমাদের ব্যস্ততা সারাদিন চলে,
       চারিদিকে ঘুরে ফিরে একসাথে দলে দলে।
   সর্বত্র কত কাজ যত ওই ব্যস্ততা পুজো প্যাণ্ডেলে,
        নতুন পোষাক নতুন সাজে পুরাতনে ভুলে।
   উৎসবে মাতো, ভাসো খুশির জোয়ারে ওঠো দুলে,
          মনটাকে নাচাও ওই আনন্দের তালে তালে।
 তোমাদের ব্যস্ততা উৎসব আয়োজনে ঢাকের বোলে,
         চটকদার মিউজিক আর পেটানো ঢোলে।
  ঝলসানো আলোয় হেঁটে চলো  মানুষের ভিড় ঠেলে,   
      ব্যস্ততায় আনন্দ খুঁজে নিতে সবটুকু মন ঢেলে। 
আমার ব্যস্ততা একফালি ছাদের ওই আলো আঁধারে,
       ছোট ছোট গাছের ঘন সবুজ পাতার বাহারে।
  কয়েক মুঠো মাটি আর ছোট ছোট গাছের মাঝারে,
      আমার আনন্দ এই সবুজ সমারোহের আসরে।                     
আমি খুঁজে পাই আমার আনন্দ ওই শরতের  ভোরে,
     পাতার উপর জমে থাকা ফোঁটা ফোঁটা শিশিরে।
  হয়তো আসল মুক্তার কণারা ভেসে রয় পাতার পরে,
       সূর্যের কিরণে উদ্ভাসিত আলো রয় যেন ধরে।
 এই শরতের সন্ধ্যায় শিউলির গন্ধে মন মাতাল করে,
         সারারাত গন্ধ বিলিয়ে অনাদরে যায় ঝরে।
নবমীর বাঁকা চাঁদ উকি দেয় বাঁশ বাগানের বুক চিরে,
         আমার আনন্দ খুঁজে পাওয়া এদের ঘিরে।

ছোট্টো বেলার কথা -- নেপাল বিশ্বাস

 ছোট্টো বেলার কথা 
 নেপাল বিশ্বাস 
 ১৮.১০.২৪
আজি এই ক্ষণে    প'ড়ে গেল মনে 
   ছোট্টো বেলার কথা,
ভিজেছি সলিলে    মাছ ধ'রে বিলে 
   তুলেছি কলমী লতা ।

মাছরাঙা বসে    মনের হরষে 
   মোদের গাছের 'পরে,
হঠাৎ ছোঁ মেরে    ধরতো মাছেরে 
   সেই কথা মনে পড়ে ।

টালির চালায়    বিকাল বেলায় 
   বসতো চড়ুই পাখি, 
কবুতর সনে    তারা ক্ষণে ক্ষণে 
   বাঁধতো মিলন রাখি ।

ঝগড়া আবার    হতো যে সবার 
   মিল যেতো বানে ভাসি,
স্মৃতিরা জ্বালায়    সেদিন কোথায়? 
   যে দিনকে ভালোবাসি ।

বৈশাখী ঝড়ে    কুড়োনোর তরে 
   আমতলা যাতায়াত,
মায়ের বকুনি    এখনো তো শুনি 
   স্মৃতিতে আছে যা সাথ ।

Thursday, October 17, 2024

আসবো ফিরে যুগান্তরে -- শান্তি পদ মাহান্তী

আসবো ফিরে যুগান্তরে
শান্তি পদ মাহান্তী
১৭/১০/২০২৪
প্রেম পিয়াসে প্রেমের আশে
খুঁজে বেড়াই বিশ্ব,
সর্বনাশা প্রেম পিপাসা
প্রেমের খোঁজে নিঃস্ব।

প্রেম ঢুঁড়েছি প্রেম খুঁজেছি
খুঁজছি আজও একা,
চাতক চোখে বেড়াই দেখে
প্রেম বুঝি নাই লেখা।

প্রিয়ার কাছে শরীর আঁচে
এই যে কাটাই বেলা,
নিশি যাপন ছল আলাপন
মন যোগানোর খেলা।

এই অভিনয় প্রেম কভু নয়
কাম টুকু সার সত্য,
দেহের খাঁজে বেড়াই খুঁজে
রুগ্ন মনের পথ‍্য।

সঙ্গিনী গো রঙ্গিনী সই
ফাঁদ পেতেছো অঙ্গে,
কামের মধু ঝরাও শুধু
মন ভরে না রঙ্গে।

আসবো ফিরে যুগান্তরে
খুঁজবো আবার একা,
ভালোবাসি যে মানসী
পাই যদি তার দেখা।

দহন -- সুমনা মণ্ডল

 দহন 
 সুমনা মণ্ডল 
 ০৩।১০।২০২৪
শখের কবি লিখছে গান 
কথার রাগে বিরামহীন,
শুনছি নাকি করেছে আপন 
সেই দহন যা অন্তহীন। 
দাহক কলজে পুড়ছে তাপে 
 সাদার বুকে ঝরছে রাগ, 
মূর্চ্ছা গেছে স্মৃতির শহর 
অভিশপ্ত - অনুরাগ। 
ফের সম্মুখ পুরানো বিষাদ 
নষ্ট দিনের উপন্যাস, 
কাব্য কথা লাগছে মিছে 
নেহাতই মিথ্যে পরিহাস। 
এই কি তবে শব্দহীনা 
নিশ্চুপ সেই  মারণ মার!
ভেঙে পড়া টুকরোগুলোয় 
অমি- তে আমি- র আবিস্কার?
হারিয়ে যাওয়া অলস দুপুর 
সংসারী রোদ লাগছে ত্রাস, 
বিষণ কবি জ্বলিত মন এ 
নিয়ত খোঁজে স্বস্তি - আশ।।

এসো মা লক্ষ্মী -- গৌতম পাল

এসো মা লক্ষ্মী
গৌতম পাল
১৭/১০/২০২৪
কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে
আলোয় ভরা ভুবন,
ভক্তির নৈবেদ্য দিয়ে মা'গো
করি তোমার বরণ!

ঘরের লক্ষ্মী উপোস করে
জাগে বিনিদ্র রাত,
তুমি আসলেই ঘরে মা'গো
হয় নতুন প্রভাত!

এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে
হৃদয়ে আসন পাতা,
আজ বাঙালির ঘরে ঘরে 
তুমিই  সমৃদ্ধি দাতা।

তোমার আশিস পেলে মা
অভাব হয় না ঘরে,
সুখ শান্তি থাকে চিরদিন 
তোমার কৃপা প'রে।

কোজাগরি পূর্ণিমার তিথি
ভারি পুণ্য এই লগন,
তোমার আরাধনায় মাতি
আমরা সব নারীগণ।

ঘরের লক্ষ্মীদের দেখো মা
তোমার কৃপা অপার,
ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে 
সুখে কাটুক সংসার।