হেমন্তের প্রভাবে
নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস
০১.১১.২৪.
হেমন্ত কাল নায়ে তুলে পাল এসেছে ধরার ঘাটে,
কৃষক যেথায় বৃক্ষ ছায়ায় রঙিন স্বপ্ন আঁটে ।
রৌদ্রে ভরা দিবস প্রখরা সারাদিন মাঠে খাটে,
সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ফিরে যায় সূর্য বসিলে পাটে ।
দিবা অবসানে মাঠে পাকা ধানে রৌদ্র প'ড়ে হাসে,
দিবসের শেষে সব চাষি এসে মেলে তারা গৃহবাসে ।
সিউলিরা সব করে অনুভব গাছে দিতে হবে চাঁচ,
কার্তিক এলে সবে তারা মেলে খেজুর গাছের কাছ ।
শেফালিকা ফুল হারাইয়া কুল নীরব ব্যথায় কাঁদে,
শীতার্ত হয়ে অতি ভয়ে ভয়ে বিদায় রাগিনী সাধে ।
উত্তুরে বায় নদী বয়ে যায় দখিন সাগর পানে,
মিলনের মেলা সেথা করে খেলা তাই যায় সেইখানে ।
নির্মল জলে হাসে শতদলে তারাও মলিন প্রায়,
এলে হেমন্ত সবার অন্ত তাই তারা ভাবনায় ।
নলেন গুড়ের পিঠে পায়েসের ঢেরাঢের পড়ে যায়,
প্রতি ঘরে ঘরে নব কলেবরে বিভিন্ন পিঠে খায় ।
বর্ষা বাদল বিদায়ী মাদল যখন বাজালো তারা,
হেমন্ত আসে ধরণীর বাসে বহে শান্তির ধারা ।
আসে নবান্ন কাটিলে ধান্য উৎসবে মাতে সবে,
উৎসব শেষে কড়া শীত এসে ধরা'য় জাঁকিয়া রবে ।
No comments:
Post a Comment