Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Sunday, May 19, 2024

মনোরমা বসুন্ধরা -- নিবারণ চন্দ্র দাস

মনোরমা বসুন্ধরা
নিবারণ চন্দ্র দাস 
১৪/০৫/২০২৪
এমন একটা জগৎ গড়ি
   হিংসা বিবাদ হীন,
এমন একটা ধরিত্রী মা
   উন্নত দিন দিন।

হোক না এমন জীবন যাপন
   নয়কো বিসম্বাদ,
করবে না কেউ ইচ্ছে মতন
   জীবনটা বরবাদ।

এমন একটা উঠুক না ঝড়
   বিশ্বজগৎ ময়,
মন্দ সকল ধুয়ে মুছে
   পবিত্র সঞ্চয়।

একটা এমন প্রদোষকাল
   সঞ্জীবনী ভরা,
সুসজ্জিত শ্যামলিমায়
    আবার বসুন্ধরা।

লহর আসুক এমন একটা
    নিমজ্জিত গ্লানি,
আবার "মানুষ" হোক না মানুষ
    কিই বা এমন হানি।

হয়তো এমন একটা দিন
   সবার হাতে কাজ,
আসছে হয়তো সেই সুদিন
    ভুলেই লজ্জা লাজ।
            

আজ কবিতার ছুটি -- চিত্তরঞ্জন সাঁতরা

আজ কবিতার ছুটি 
চিত্তরঞ্জন সাঁতরা 
১৫/০৫/২০২৪
এখন কবিতা লেখালেখি আপাতত 
বন্ধ রেখেছি।
ভাবনাগুলোকে বিশ্রাম দিয়েছি মনের 
অন্তরালে।
এখন আর কল্পনা নয়। ওগুলোকে
গুটিয়ে রেখেছি ভাবনার কোনে।
এখন আর কবিতা নিয়ে বেশি কিছু 
ভাবি না।
কল্পনা ও ভাবনাগুলোকে দিয়েছি ছুটি।
ওরা থাক নিরিবিলে খোশ মেজাজে।
এখন শান্ত মেজাজে কাটাতে চাই আয়েসি 
জীবন।
এখন আর উদাসীন ভাবনায় উড়ে যেতে
চাই না।
হারাতে চাই না নিজেকে নিরুদ্দেশে।
কবিতা লিখে এখন আর অযথা সময় 
কাটাতে চাই না।
একটু রোমান্টিক জীবন নিয়ে নাড়াচাড়া 
করতে চাই।
তুমি এস আমার পাশে। বস একান্ত 
নিরিবিলিতে দেহ ছুঁয়ে হৃদয়ের গভীরে।
কিছু কথা বল আবেগী উচ্ছ্বাসে নয়ত
আলিঙ্গনে শত চুম্বনে।

প্রায়শ্চিত্ত -- বরুণ কুমার বিশ্বাস

প্রায়শ্চিত্ত"
বরুন কুমার বিশ্বাস
১৬/৫/২০২৪
এই অবেলায় হিসাবের খাতাখানি দেখি
শুধু ভরে আছে কত সব গরমিলে,
কখন যে পেরিয়ে গেছে দিনগুলো চুপিচুপি
ভেবেছি বেশ তো আছি হেসে খেলে।

এতকাল যারা যোগালো জীবনে বাঁচার রসদ
ভাবিনি বিনিময়ে কি পেয়েছে তারা,
যোগফলই মেলাতে চেয়েছি শুধু বারে বারে
আজ দেখি জীবনটা শুধু বিয়োগে ভরা।

শেষ বেলাটুকু পোহালে ঠিকানা বদলে যাবে
সেই তারাদের দেশে নীল নীলিমায়,
মত সব মান-অভিমান পড়ে রবে অবহেলে
আপনও হবে পর এক লহমায়।

কোনদিন বুঝিনি কত কাজ রয়ে গেছে বাকি
কত কথা হয়নি এখনো বলা,
অভিমানে সরে আছি যাদের থেকে বহু দূরে
হবে কি আর একসাথে পথ চলা!

জীবনের প্রতি ক্ষণে যত সাথী হয়েছিলে পরিচিত
আছো দূরে কেউ করে অভিমান,
সব ভুলে আজ এ মিলনের আহবানে দিও সাড়া
বড় সাধ জাগে পেতে এই শেষ দান।

মিলন চাই -- মানিক চন্দ্র দাস

মিলন চাই 
মানিক চন্দ্র দাস  
১৬|০৫|২০২৫ 
মিলন চাই     ভাই ভাই 
মিলন কার?  তোমার আমার 
মুসলিম-হিন্দু    একই রক্তবিন্দু 
জাতে জাতে      রক্তে রক্তে 
ব্রাহ্মণ চণ্ডালে    ঐক্য তালে 
গলে গলে           দলে দলে 
এই ভারতে        একই মতে 
প্রাণে প্রাণে        মায়ার টানে 
চলবে সবে          এইতো হবে 
আমাদের পণ    আমাদের মন ।

মিলন কার?       তোমার আমার 
ভাষায় ভাষায়     ভ্রাতায় ভ্রাতায় 
ভারত জনে         মনে মনে 
ভারত মাতা        তুলবে মাথা 
তাঁর সন্তানে        প্রাণে প্রাণে 
মিলন দেখে        যাবে রেখে 
এইনা স্মৃতি        মানবপ্রীতি 
এই ভাবনায়      ভারত মাতায় 
ভুলবে দুঃখ        ফুলবে বুক 
ঐক্য রক্ষায়       এগিয়ে আয় 
ভারতবাসী          ফুটবে হাসি 
মুখে সবার         ব্যথা কি আর?

Tuesday, May 14, 2024

একা আমি -- সুরজিৎ পাল

 একা আমি 
 সুরজিৎ পাল 
 ১৩.৫.২০২৪
একা আমি অপেক্ষায় মানি,
চলে এসো....
মন মন্দির করে আলো।
তোমায় আমি খুঁজে চলি,
আঁধার চোখে সবই দেখি কালো।
 অন্ধকারে হাতড়ে চলি,
মন তো শুধু কেঁদে গেলো।
কোথায় আওয়াজ দেব তোমায়?
মন কি বোঝে সেতু বন্ধনের সময়?
 বিরহের এই করুন বাঁধন ,
ছাড়বে কবে আমার রোদন?
একা আমি...
নজর দাও তুমি....
যেখানে থাক সেখান থেকে দেখো।
না জীবনকে আনন্দ চেপে ধরে  - 
না মৃত্যু হাতছানিতে নরে।
চোখে ঝরে মুক্ত ধারা,
গলা চেপে হতাশ কায়া।
খুঁজে চলি করুন হিয়া,
কাটবে কবে এ মায়া?
আমি বসা আপন মনে,
দিন ঢলে যায় সংগোপনে ।
হৃদয়ের এ কেমন ভাষা,
কাটবে কবে আমার দশা?
বলতে আমি অপারগ জানি ,
আপনারা বলুন আমি কি  করি  ????

মাতৃ দিবস -- সুজিত শর্মা বিশ্বাস

 মাতৃ দিবস 
 সুজিত শর্মা বিশ্বাস 
১২/০৫/২০২৪
সিংহাসনে অনেক মুর্তি আছে সারে সার, 
নাইকো সেথায় জগন্মাতা মুর্তি আসল মা'র ?
কষ্ট করে করলো ধারণ আপন গর্ভে তার,
সেই মায়েরে অবহেলা করিস না ভাই আর।
খায় না নিজে খোকার তরে দেয় বিলিয়ে সব
তিনিই শিশুর জগৎ প্রভু তিনিই মহান রব।
ছোট্ট থেকে মানুষ করেন, গড়েন মানব রূপ 
তাঁর ছোঁয়াতেই আঁধার কেটে প্রকাশ মনের ধূপ।
তাঁর কথাতেই কথা বলে সেটাই মুখের ভাষ 
মাতৃভাষা  মাতৃদুগ্ধ  মেটায়  মনের  আশ।
মা মা বলে ডাকতে শেখা শিশুর প্রথম বাক
মায়ের ভাষার ভান্ডারেতে শব্দ মালার চাক।
তাঁর হাত ধরেই চলার শুরু, শক্ত কঠিন মাঠ,
এই জীবনের প্রথম গুরু তাঁর কাছে নিই পাঠ।
তিলে তিলে গড়ে তোলেন মা যে আমার তাই
তার কোনো দোষ না হয় বিচার সেটাই আমি চাই।
পাথর মাটি দেব-দেবীদের পূজন করে লোক 
জ্যান্ত মায়ের হয় না পুজো তাইতো মনে শোক।
"মাতৃ দিবস" পালন করে কতোই ঘটা হায় !
বৃদ্ধাশ্রমে কাঁদছে মা যে দেখার কেহ নাই।

প্যালার খেলা -- উত্তম গোস্বামী

প্যালার খেলা
উত্তম গোস্বামী 
১৩/০৫/২০২৪
দাসপুরের ওই কলোড়াতে
আছে খেলার দল 
ট্রফি পেয়ে বাড়ছে তাদের 
দারুন মনোবল। 

গোপালপুরে ক্রিকেটের 
কালকে আছে ম্যাচ 
বলছে প্যালা করব আউট 
ধরব সবার ক্যাচ। 

শুনরে প্যালা খেলতে গেলে 
বুকে চাইতো বল 
ভরসা রেখে খেললে পরে 
এগিয়ে যাবে দল। 

কোচের কথা শুনেই প্যালার 
 ঘুম ধরে না রাতে 
বুকেতে বল যায় কি রাখা?
খেলার সাথে সাথে।

খেলার মাঠে নামলো প্যালা
মাঠে দারুণ কাদা 
প্যালার বুকেতে দড়ি দিয়ে কষে 
আছে ফুটবল বাঁধা।

'মাথায় আছে ভর্তি ওরে
গোবর পোকা তোর 
'বল' মানে কি ফুটবল ওরে?
শক্তি-মনের জোর।'

মায়ের জন্য -- রেজাউল করিম বিশ্বাস

মায়ের জন্য
রেজাউল করিম বিশ্বাস
১৩ / ০৫ / ২০২৪
মাতৃহারা সন্তানের আজ মাতৃ দিবস পালন 
অভিমানে গেছো চলে আমি ও  অভিমানী
চোখের জল ঝর্ণা হয়ে বহে চলে নদে।

ঐ যে তুমি চিরশান্তিতে চিরনিদ্রায় শায়িত মাঠের 'পরে 
তেঁতুল তলে ভাটপিটুলি কত রকম গাছে ঘেরা 
কাঠ মল্লিকা সুবাস ছড়ায় দু'বেলা তোমার চারণতলে।

পাখিরা গান গেয়ে  যায় মনের আনন্দে সেথায় তুমি
মা ডাকতে মন করে ছট্ফট্ ব্যথায় ব্যথায় দিন যায়
তোমার পরশ পেতে ব্যকুল হৃদয় করে আনচান।

আমরা নিয়মে বাঁধা সবাই নিয়ম মেনে চলি তবুও ---
ভাঙ্গা হৃদয় গুমরে ওঠে একটুখানি দেখাবো বলে
হাজারো ডাকে হাজারো স্বপ্নে মনভরে না মাগো।

জানো 'মা' আমাদের মন ক্ষুদ্র হতে অতি ক্ষুদ্র হয়েছে আজ
তোমাকে বেঁধেছি তিনশত পঁয়ষট্টি দিনের মাত্র একটি দিনে 
তুমি  আছো অন্তরের অন্তরে প্রতিটা স্পন্দনে সুখে দুঃখে।

পারিনি হয়তো তোমাকে মূল্য দিতে চিনিনি তখন আমি 
 তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো শান্তিতে থেকো  
তোমার অনাথ সন্তানদের কথা ভেবো ত্রুটি মার্জনীয়।

রোমানা ডাকে দাদি দাদি চোখের জলে ভাসে রিজওয়ান
পুবের ঘরে জানালা খুলে আজও তোমায় খুঁজি সারা বেলা
ইজি চেয়ারটা শুন্য আজ  তুমি বিহীন  বড্ড একা একা।

 

Sunday, May 12, 2024

বিশ্রাম বালুকাবেলায় -- সূর্য্যোদয় রায়

বিশ্রাম বালুকাবেলায়
সূর্য্যোদয় রায়
১১/০৫/২০২৪
এখনও বহুদূর চলে যাবার পর হয়তো আলো দেখা যাবে,
এখনও অনেকগুলো ক্লান্ত সমাধি,
অকূল মাটির বক্ষে ফিরে আসে যদি;
তারা চির জন্মের মতো এ সংসার হতে বিশ্রাম খুঁজে পাবে?

এখনও বহুদূর চলে যাবার পর হয়তো আলো দেখা যাবে,
এখন আর কত যুদ্ধের পর,
মানুষ থামাবে হিংসার স্বর;
ঢেউ গুলো সব অস্ত পাথারে তাদের চির বিশ্রাম খুঁজে নেবে?

কোথায় বাদল মেঘের কোলে ভেসে আছে সেই উত্তর
কোথায় বাদল মেঘের কোলে ভেসে আছে সেই উত্তর

বহুকাল মনে ওই গগনে উঠেছে কি কোনও ঢেউ?
আলোকনয়ন তরঙ্গমালায় ফিরে আসে যদি কেউ।

নিজের ব্যাপারে ভেবেছ কি কখনও বলেছ কি কোনও কথা?
ক্লান্ত জলধি শিখরে অটল পাহাড়ে আর নাই বা পেলে স্বাধীনতা।

তুমিতো জান আরও আরও বহুবার
চুপ করা ভান কিছু না শোনার 
সব দেখে শুনে তাইতো আবার নামিয়ে নিচ্ছ মাথা!

সাত সাগরের ঢেউয়ে নাচ্ছে সেই আলাপ মনে রেখ চির দিনে
সাত সাগরের ঢেউয়ে নাচ্ছে সেই আলাপ মনে রেখ চির দিনে

তোমায় আমায় মরতেই হবে সেটা কি বুঝতে পারো,
এই পথে অনেকটা কাল হয়েছে বিগত,
তাইতো বোধহয় দেখি সকলে নিহত;
আমাদের ই সাথে আর কত মানুষ মরবেই যে আরও?

কোন হাওয়ার শৃঙ্গে দেখেছ এর উত্তর আজ
কোন বাদল দিনের অশ্রু তিমিরে শুনেছ এর আওয়াজ,
কবেই শুনেছ কবেই শুনেছ কবেই শুনেছ 
কবেই শুনেছ সেই মত্ত হাওয়ার আওয়াজ ;
পারো যদি আর একবার সব ছেড়ে ছুড়ে এর উত্তর 
খোঁজো তবে।

এখনও বহুদূর চলে যাবার পর হয়তো আলো দেখা যাবে।।

হৃদয়ে অর্গল -- অমি রেজা

হৃদয়ে অর্গল
অমি রেজা
১১-০৫-২০২৪
আমি প্রতিনিয়ত ভাবি 
একদিন তোমার মুখোমুখি দাঁড়াব 
চোখের তরে চোখ রেখে শুধাইব-
কেমন করে পারলে? 
বেমালুম ভুলে গিয়ে
অনেক প্রেমের অনেক জ্বালা চুকিয়ে দিয়ে 
আপন হৃদয়ে অর্গল দিতে? 

হে পাথরী একবারও কি পড়ে না মনে?
শ্রাবণের টিপটিপ বৃষ্টির কথা
বাবুই পাখির বাসা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হওয়ার কথা
কৃষ্ণচূড়ার রক্ত বর্ণ ফুলের কথা
নদীর বুকে উত্তাল ঢেউয়ের কথা
ডানামেলা একঝাক গাঙচিলের আকাশ সাতঁরাবার কথা
সবুজ ধানের বুকে বাতাসের শিহরণের কথা
হাতে হাত রেখে মেঠো পথ ধরে অবিরাম ছুটে চলার কথা।

আমি প্রতিনিয়ত ভাবি
একদিন তোমার মুখোমুখি দাঁড়াব
সমুদ্র অবগাহনে আবার আমি যুবা হবো
পাহাড়ের আলিঙ্গনে আমি ইস্পাত কঠিন হবো
আগুনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে আমি বিদ্রোহী হবো
বিরহের নীল বেদনা জমিয়ে জমিয়ে আমি পাথর হবো -

তারপর আমি তোমার মুখোমুখি দাঁড়াব
চোখের তরে চোখ রেখে শুধাইব 
হে পাথরী কেমন করে পারলে,
বেমালুম ভুলে গিয়ে
আপন হৃদয়ে অর্গল দিতে?

হৃদয়ার্তনাদ -- শাহীনুর ইসলাম

হৃদয়ার্তনাদ
শাহীনুর ইসলাম 
১০/০৫/২৪
প্রাণের পেয়ারি প্রাণের দোসর হয়ে এলো না ফিরে 
দিবস রজনী কেঁদে 
মর্সিয়া গীতি সেধে
অকালে আকুল নয়ন ভাসিল শোকের নীরে।
প্রাণ পাখি মোর এলো না ফিরে প্রাণের নীড়ে।

দিন যায় মাস যায় কত শত কাল গুনে 
নাহি হয় চোখাচোখি 
বসে তব মুখোমুখি 
মধু বসন্ত ঋতুর এই মধু ফাল্গুনে। 
কিত শত কাল গুনে। 

অকারণে অনাদরে ফিরায়ে দিয়াছে মোরে
যার তরে বাঁধি গান
সকলই করিনু দান
সযতনে আপন মনে বাধি প্রণয়ের ডোরে।
অনাদরে ফিরায়ে দিয়াছে মোরে।

কামনার কামিনী কুসুম বাগে অনুরাগে ফোটে 
ফুলদল এলায়
গন্ধ বেলায় 
সন্ধ্যার ক্ষণে অভিমানে সে ভূতলে লুটে।
কুসুম বাগে অনুরাগে ফোটে। 

হৃদয় ভরা বাসনা লয়ে নিত্য একাকী কাঁদি
সারা দুনিয়া খুঁজিয়া 
নয়ন আসে বুজিয়া 
কামনা বাসনার প্রদীপ জ্বালিনু সারা রাতি।
নিত্য একাকী কাঁদি। 

মোর জীবনের আঙিনা জুড়ে ঘিরে ঘোর যামিনী 
শ্রাবণ ধারা বরষায়
মেঘদূত পাঠানো ভরসায়
যদি গো বারতা লয়ে আসে কেমন আছে কামিনী। 
ঘিরে ঘোর যামিনী। 

তপ্ত মরু সাহারার বুকে জাগে অসীম পিয়াসা 
একি নিদারুণ হাহাকার 
নাহি বুঝি পারাবার 
দিনে দিনে ক্লান্তি আনে জাগে প্রাণে তিয়াসা।
জাগে অসীম পিয়াসা। 

মালা গেঁথে বৃথাই মোর দিন গেল বয়ে
নিরাশে শুকায় ফুল 
প্রেম প্রণয় সবই  ভুল 
তাহার ভাবনায় জীবন গেল ক্ষয়ে।
মোর দিন গেল বয়ে।

হারিয়ে গেছ কোন অকুল পাথার অন্ধকারে 
কোন সে সূদুর দূরে
কোন সে বাঁশীর সুরে
আমি এপারে কাঁদি তুমি কোন অলকাপারে।
অকুল পাথার অন্ধকারে। 

কত না হাজার স্বপ্নের জাল বুনি মনে প্রাণে 
সে স্বপ্নের ভাষা
যেন ভালোবাসা 
নিরবে নিভৃতে শুনাই উদাসী বাতাসের কানে।
স্বপ্নের জাল বুনি মনে। 

কত গানের কলি দিনু অঞ্জলি নয়নের জলে 
আসিলে না প্রিয়তম 
শুনিলে না গান ম-ম
হৃদয়ার্তনাদ গুমরে মরিল পাষাণ বেদীর তলে। 
দিনু অঞ্জলি নয়নের জলে। 

মোর দ্বারে আসিবে বলিয়া দ্বার খুলিয়া রহিনু বসে
সার্ধক করিতে চোখ 
চেয়ে আছি অপলক 
বৃথা হলো চাওয়া মোর এ কোন কপাল দোষে।
দ্বার খুলিয়া রহিনু বসে। 

 তব প্রেমের সিন্ধু হতে বিন্দু বারি যেচে কাঁদে মন
হরষ প্রাণের পরশ মাগে 
নিত্য পথ চেয়ে থাকে 
বিষাদ আঁধারে মৃৃত্যু নিসাদক্রুর দিচ্ছে দরশন। 
বিন্দু বারি যেচে কাঁদে মন। 

হৃদয়ার্তনাদ হৃদয়ে রহিলো গোপনে শুনিলোনা কেহ
শত ব্যথা বেদনায় 
এ জীবন চলে যায় 
আসিয়া কাঁদিয়া ফিরিবে যবে ধূলিসাৎ হবে সোনার দেহ।
গোপন কথাটি শুনিলোনা কেহ।

অস্তাচলের রবি -- রবিন রায়

অস্তাচলের রবি
রবিন রায় 
২৮ শে, বৈশাখ,,১৪৩১

হারায় গেছো ভালোবাসা, 
কাল স্রোতের পাক টানে,
               স্মৃতি ভরাই ছবি ;
ডুবে গেছো অতল তলে,
বৃথা আশে খুঁজে ফিরে -
                কেঁদে ভাসে রবি।

খুঁজতে খুঁজতে সময় গেছে,
দেখতে দেখতে বেলা বাড়ে;
                যৌবন হলো নিঃসাড় ;
বার্ধক্যে এসে জীবন ঠেকে,
অপূর্ণ থাকলো অভিসার, 
                     ভাঙে বাঁধন মায়ার। 

তোমার গায়ের জানা ঘ্রাণটা,
ভুলে গেছে আমার নাসা;
                 তুমি নেই যে পাশে।
কতদিন হলো বলো প্রিয়া,
তোমার থেকে আমি দূরে;
                     সরে আছি শেষে।

কত কাল যে আমার কর্ণ,
শ্রুত হয়নি তোমার হাতে-
                বাজা কাঁকন ধ্বনি ;
শুনতে পায় কই চলার তালে -
পদ মলের নাচন কোদন -
                রিনিঝিনির রুনি? 

আমি ভুলে গেছি তোমার
আলতো ছোঁয়ার অনুভবটা, 
              শীতল হৃদয় স্পর্শি ;
স্পর্শ দূরে থাক এখন তো-
ভাগ্য দোষে দূরত্ব জেরে -
                 আঁখিতেও না দর্শি!

সোহাগ ভরে বলতে কথা-
মিষ্টি ঠোঁট দুটি নেড়ে, 
               লাগতো যে মধুর;
আজ যেন তা ভোলার জোগাড়, 
বিদায় নিলো বসন্ত কোকিল,
                   সাথে বাসন্তীক সুর।

আমার স্পৃহা থমকে গেছে,
গতি হারা সাবেক আবেগ,
              অসাড় পরেই আছি;
তোমার প্রেমের শক্তি হীনে,
আবেশ গুলো মরে গেলো,
                     বৃথাই আমি বাঁচি।

আমি সেইদিনই মরে গেছি, 
নিজের মুখে বললে তুমি,
                  অন্য জন মনে ;
তিক্ত আত্মা ছুটি চায়, 
বিষের ঢোক গিলতে চায়,
                  জীবিত কি কারণে!

তোমার হৃদয় সাগর সমান,
দিলে নোনা জলের ঝাপটা, 
                 ধরে নয়নে জ্বালা ;
রাখো না ধরে বুকে কিছু, 
পাড়ে তুলে দাও মরা,
                উতল লহরি খেলা। 

আমি ঘাটের মরা শক্ত,
নোনা ভরে পচি না তো;
                 গরম বালি পুড়ায় ;
জীর্ণ দেহ চূর্ণ হবে,
হাঁড় মাষ ঝরে ক্ষয়ে, 
                 জীবাশ্মতা হারায়। 

Friday, May 10, 2024

অবহেলিত রবিঠাকুর -- সুরজিৎ পাল

অবহেলিত রবিঠাকুর
সুরজিৎ পাল 
১০.৫.২০২৪
রাস্তার মোড়ে পক্ষী বিষ্ঠায় লিপ্ত-
অবহেলিত তোমার আবক্ষ মূর্তি,
তোমার চোখে মুখে মাথায় ত্যাগে পায় ফুর্তি।
হেঁটে যেতে যেতে ভিক্ষুক থমকে দাঁড়ায় পাশে,
এক ঝলক দেখে ফিক করে হাসে।
গুরুদেব তোমার যদি এই অবস্থা হয়,
তবে আমার অবস্থা কি তোমায় ভাবায় ?
পূর্বজন্মের কথা ধার্মিক প্রবচনে শুনি,
দুঃখ থেকে হাসি নির্গত হয় জানি।
ভাবনায় নবজন্ম পেয়ে তুমি কি আমার সমগোত্রীয়?
 হেঁটে চলেছো দিগন্ত হীন সমাজে হয়ে অযাচিত ক্ষত্রিয়।
দেহ থেকে শতছিন্ন জামা খুলে-
পাশের গাছটিতে উঠে পরিষ্কার করি রবিঠাকুরের মুর্তি।
নীচে লোকের ভিড় -
আলোচনার সারমর্ম - পাগলের রবীন্দ্র প্রেম ।
রবি ঠাকুর নূতন রূপে নিজেকে পাও,
গান্ধীর তিন বাঁদরের মতো চোখ,কান,মুখ বন্ধ করে শুধু দেখে যাও।
নব্য সমাজের ভিক্ষুকের স্মৃতিভ্রম প্রচেষ্টা , 
পেলাম কি শিক্ষায় নিষ্ঠা?

ভাঙা মন -- রায় শর্মা

ভাঙা মন 
রায় শর্মা
১০◆৫◆২০২৪
মনটা যখন বড্ড ভেঙে পড়ে 
রং তুলিতে ভরিয়ে তুলি মন
দুটি বাহুর বিশেষ নরম ছোঁয়া 
তখন বুঝি একটু প্রয়োজন।

হালকা হাতে রংয়ের প্রলেপ আঁকি
হারিয়ে যাওয়া পুরনো সেই মুখ
তুলির টানে তোমার মুখের ছবি
বুকের মাঝে ভরিয়ে তোলে দুখ।

নীলের প্রলেপ ভরিয়ে কেনভাসে
হারিয়ে যাই মেঘের দেশে যেন 
প্রশ্ন করে তোমার কালো আঁখি 
ভালোবাসো তুমি আমায় কেন।

তুলির টানে আঁকি তোমার ছবি
আকাশ পানে উড়িয়ে গাঙচিল
ঠোটের কোনে মিষ্ট মধুর হাসি
গালের পরে ছোট্ট কালো তিল।

তোমার কালো চোখে আমি চেয়ে
হারিয়ে ফেলি মনের যত বল
কাজল মেঘে বাষ্প জমা দেখি
গড়িয়ে পড়ে হয়ে চোখের জল।

প্রেম -- দেবাশীষ চ্যাটার্জি

প্রেম  
দেবাশিষ  চ্যাটার্জী    
10/05/2024 
একটু না হয় থাক না কাছে 
এই  কষ্টের দিনে  
মন বাজারে যত কিছু দুখ 
সব নেবো আজ কিনে  | 

কর না ফেরি প্রেমের হাটে 
যা কিছু তোর আছে
নিঃস্ব আমি  ধন্য হবো 
ক্রেতা হয়ে তোর কাছে |

কি হারালি কি আর পেলি 
কি লাভ এই সব বলে  
যত্ন করে শুধরে নিবি 
ভুলগুলি চোখ খুলে  |

মন আকাশে উড়বে ঘুড়ি   
দুই পাখনার ভারে
নীল গগনে  হারিয়ে যাবো 
আঁচল খানি ধরে  |

নিন্দুকেরা তুলবে আঙ্গুল  
বলবে কলঙ্কিনী 
ভালোবাসায় ভাসে যারা  
তারাই  বিরহিনী  |

মানবাত্মার পদধ্বনি -- খসরু ভাস্কর

মানবাত্মার পদধ্বনি
খসরু ভাস্কর 
০৯/০৫/২০২৪ খৃঃ 
কবিতা গল্প গানের সুর জাগালে বাঙালির প্রাণে
অন্ধকার ভেদ করে বাঙালিকে আলো দেখালে। 
সহজ বাংলা শব্দমালায় আধুনিকতম কবিতায়,
 তুমি কবিগুরু, সেখান থেকেই একটি যুগের শুরু। 
 ' আগুন আমার ভাই আমি তোমারই জয় গাই ',
আবর্জনা পুড়িয়ে নতুন সূর্যের আভা দেখতে পাই। 
 " আলো আমার আলো ওগো আলোয়ে ভুবন ভরা "
রবির কিরণে যেমন দূর হয়ে যায় সকল দুঃখ-জরা ! 

সকল বাঙালিকে ঐক্যে গেঁথেছো প্রাণে নব নব রূপে।
যত ভাইবোন ঐকতানের বন্ধনে সম্মিলিত হোক ---
এ বাণী ঘুণেধরা সমাজের কেউ মানলো,
আবার কেউবা মানে নিকো কোনো দিন,
তোমার বাণী আজো তবু জীবন্ত ---- অমলিন। 

ঝড়কে সাথে নিয়ে গ্লানি ঘোচাতে চেয়েছিলে, 
কেউ তোমাকে চিনেছে, কেউ বা চিনেনি !
' চিনিলে না আমারে কী চিনিলে না '
ষড়ঋতুর সাথে মিলে মিশে ছিলে, কেউ দেখেনি। 
 কেবল বাহির পানে চোখ মেলেছে
তারা অন্তর পানে কেউ চায়নি হৃদয় দেবতায়,গানে কবিতায়। 
কেবল পূজার ছলে কবির বাণীকে 
ভক্তির নামে আড়ালে আবডালে রাখে। 

বাংলা সংস্কৃতি বিবর্জিত বাঙালিরা বিদেশি হয়েছে ! 
যদিও বিশ্ব চিনেছে কবিকে, জানতে পেরেছে 
কবি ! তুমি'র অসাম্প্রদায়িককে -
সম্প্রদায়ভেদে তীর ছোড়া হয় সংস্কৃতির বুকে।

চল্লিশ পেরোনো মেয়েগুলো -- হাসান ফরিদ

চল্লিশ পেরোনো মেয়েগুলো 
হাসান ফরিদ
১০/০৫/২৪
চল্লিশ পেরোনো মেয়েগুলো; ভুল সাবানে ধোয় ভুল গতর...ভিড়ভাট্টায় নিজের ছায়ায় খোঁজে নিজেরই  শতরঞ্চ ছতর...
কেমন হয়ে যায় মনহারা মনভুলো...অভিমানঝরা চৈত্রের কড়কড়া দ্বিপ্রহরের তালরস মাতাল করা—সময়ের চাবুক অনবরত মারে; এক্কাদোক্কা কি যাত্রাদলের লে-ছক্কা বলা মেয়ের উদোম পিঠে-ঘাড়ে...

চল্লিশ পেরোনো মেয়েগুলো; পলাতক সময়ের ফেরারি বসন্তগুলো...
লুডুর কোটের সাপের মতো; সার্কাসদলের ভাঁড়ের মতো গুটিয়ে নেয় বয়সের ঘুঁটি;
সংসারের উদাসী বাউডি চুল; জট বাধিয়ে হয়ে যায় পুলসিরাতের পুল; পার হতেই কাটে সাফা-মারওয়া দৌড়ানো পা—ফোঁটা ফোঁটা রক্ত আরক্ত জারকে জমে যায়—আর ঘামের দামে কেনা হয় লবণখেত চালচিত্র ;

আকালের  খরায় যৌবনের বাইস্কোপ পোড়ে পরম অবহেলায়; জুটি ভাঙার হিরিকে  ভাসে একাকিত্ব মেঘ; কালোবিড়াল চেটেপুটে খায় নুনহীন অন্ধকার বিকেলের লেক; যে যার মতো লেপে রাখে ক্ষত—তবু সেজেগুজে নাট্যমঞ্চের  ঝাড়ুদার; যেন অভিনয় ঝেড়েঝুড়েই বহুরূপী  একাঙ্কিকা করে যায় নিঃশব্দে পার...

চল্লিশ পেরোনো মেয়েগুলো; অবেলার ছাদে রোদে দেওয়া অনাদরের না-তোলা কাপড়গুলো—চিলেকোঠার জমে থাকা অনেকদিনের ঝুলগুলো; ঠিক গোধূলির আগেভাগের অম্লমধুর এই ভুলগুলোর ছাড়াভিটায় উদ্দাম লুটোপুটি ...তবু দেয় না তাকে কেউই  একরত্তি ছুটি;

Thursday, May 9, 2024

রবি প্রণাম -- তপন চ্যাটার্জি।

 রবিপ্রণাম
 তপন চট্টোপাধ্যায়
  ***************                       
আজ পঁচিশে বৈশাখ, আজ তোমার শুভ জন্মদিন ,                     আকাশে, বাতাসে, পথে প্রান্তরে, নদীতটে খেয়াঘাটে, বনচ্ছায়ে, তরুশাখে, নগরের কোলাহলে  ,শান্তির নীড় ছোট ছোট গাঁয়ের নিবিড় শ্যামলিমায় ,-লতায়,পাতায়, ফলে, ফুলে, দিনের প্রথম আলোর স্নেহধন্য দুর্বাদলশ্যামের 'পরে  ছোট ছোট শিশিরবিন্দুর বর্ণিল রামধনুরঙের ভেতর আজ জেগে উঠেছে আমার প্রাণের ঠাকুরের জন্মদিনের  জয়গান  ।  বাতাসে বাতাসে ভেসে আসছে  সুগন্ধী ধূপের গন্ধ, নারীদের শঙ্খনাদে  ,উলুধ্বনিতে আসমুদ্রহিমাচল মুখরিত তোমার বন্দনা গানে, আলোর গানের আনন্দ ধারায়  উৎসারিত হোক আমাদের দেহ, মন  ...,                                    বৈশাখের খর তাপে তোমার সুশীতল বটচ্ছায়ে জুড়িয়ে দাও ঠাকুর তোমার ভক্তকুলের তনুপ্রাণমন ,শীতল হৃদয়ে তোমার পাদপদ্মে নিবেদন করি সশ্রদ্ধ প্রণাম  । তোমার জন্মদিনের আলোকে আমাদের চেতনার শুভবুদ্ধি হোক।।

বিস্ময় বাতি -- মীর নাজমুল

বিস্ময় বাতি 
মীর নাজমুল। 
 ০৮।০৫।২০২৪
এক গুচ্ছ  হাহাকারে 
এক চিলতে অনুদান 
রাখবেনা অবদান বদনাম বৈকি। 
করুণার পাত্রে জোটে না কখনো
সোনার ঘটির জল। 
সে যেই হোক তুমি কিবা আমি । 

এ যে ধূসর বিবরণে মোড়া পৃথিবীর
গোলকধাঁধা শিরোনাম । 
জীবন হেতু জীবনের তরে 
সময় গড়িয়ে অসময়ের বেলা। 
কর্ম দিয়ে কেনা অসম্মান। 

তুমি অন্য কোথাও যাও, 
আমি অন্য কোথাও খুঁজে আসি 
দেখে আসি,জীবনের সাতরং
গোধূলি রাঙা বিকেল 
নানান রঙের দিনগুলি। 

এই পৃথিবীর তল্লাটে,আর কি হবে দেখা ? 
আমার অজানার চাঁদ মুখখানি। 
আজ জীবন যেখানে যেমন
সেখানেই ম্লান কবির নিরব হাসি। 

জীবন বিষন্নতায় কাঁদবে কি মন,
আজীবন । 
ফোরাবে না- কি বিষাদের সুর,
কষ্টের দিন গুলি ? 

জীবন মানেই যুদ্ধ যখন
তখন কি হবে ভেবে আর অহর্নিশি। 
শান্ত প্রদীপ জ্বেলে অশান্ত মনে 
নির্বাক নিলিমায় খুঁজে নাও ... 
জীবনের প্রেম,জীবনানন্দের ধ্বনি।    

ওহে জীবন পরগাছা 
ঢাকা কিবা কোলকাতা 
কি হবে ভেবে সফলতা,এ কথা মিছে। 

আমি রাজপথে দেখেছি জাগ্রত 
চেতনার মৌমাছি। 
দিক হারা পথিকের কন্ঠে শুনেছি 
মধু মাখা সুর।    

দেখেছি দুরন্ত বিবাগী মানব 
খরস্রোতে বয়ে চলা নিরবধি নদী।  
আমি দেখেছি কষ্টের নির্মমতা 
অন্ধ মানবতায় উন্নয়নের স্রোত। 
আমি দেখেছি সফলতা 
উন্নয়নের পারদ,যুদ্ধ মানব।

তবে আবার কবে জয়ী হবি জীবন ? 
নীল জোৎস্নার পরশে 
হাসবে কবে মেঘ রাশি। 
আমি ডাকি তুমি ঘুমাও
তবে আর রবনা আমি ঘরে বসি..।

অর্ধ নিমজ্জিত পতাকার মতো 
আপামর পৃথিবীর বুকচিরে । 
আর কতো নোয়াবি মাথা 
ওহে পথিক পথ  ভোলা
দুরন্তর মানব জাতি। 

ভিক্ষা নই,অনুদান নই,নই কারো শাসন, 
নই জীবনের কলঙ্কিত পূর্বাপরে চেয়ে থাকা। 
সেই নিশীথের কালরাত্রি বেয়ে 
আজ যে হয়েছে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা 
পেখম মেলেছে ধরি। 
সে জন চিরন্তন মানব,বাস্তববাদী। 

এ হাত তোর প্রভুর দেওয়া নেয়ামত   
কর্মের বাহু যোগ,শ্রেষ্ঠ মনিহার। 
এবার তবে উচ্চ কর শির,
ধরাশায়ী জীবনের বারমাসি জাতি।
কালবৈশাখীর মোকাবেলায়....
তুমি নহে একলা সমুদ্র রচিত
দারিদ্র্য অতি। 

কবির বর্ণনায়ঃ
আমি শৃঙ্খলার কথা বলি, 
ভাবি ভিন্ন কিছু দেবো উপহার।   
উত্তরণের পথে খোলা হাওয়ার আবির্ভাব 
মুক্ত মনের ভালোলাগা- বৈকি । 
তোমরা সদা সত্যের পথে চলো,
কর্মের পথে হও দূর্বার। 
যেথাই মঙ্গল সেথাই হোক বিনিয়োগ 
তোমাদের সময় কিবা সম্পদ। 

কেমন আছে শান্তিনিকেতন -- বেবি মন্ডল

 কেমন আছে শান্তিনিকেতন 
  মহারানী ( বেবী মন্ডল ) 
   ০৮ / ০৫ / ২০২৪.
             ২৫ শে বৈশাখ ....

এ ভরা বসন্ত পার করে আজ বৈশাখের ছবি  
কেমন আছে শান্তিনিকেতন ভাবছো বসে কবি  
দিন-রাতের মালা গেথে যাও শান্তিনিকেতনে এসে। 
কতো কবিতা কাব্যগাঁথা মনে এসে ভিড় করে
উদার কন্ঠে গেয়ে উঠি গান পাখিদের কলরবে
চমক ভেঙে চোখ মেলে দেখি সন্ধ্যা হবে হবে
ভিড় করে আসে মনের কোণে রবি ঠাকুরের সৃষ্টি  
আকাস বাতাস হরষিত প্রেম এক পশলা বৃষ্টি
ধুয়ে দিয়ে গেল মনের ময়লা চোখের কোনে জল
রবী ঠাকুরে মজিয়াছে প্রেম চলরে ভুবন চল। 
এক মুখ দাঁড়ি কাছে এসে বলে রবীন্দ্রনাথকে চেনো
তাকিয়ে দেখি দাঁড়িয়ে আছে রবী ঠাকুরই যেন
আজকালকার ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্রনাথকে পড়ে
রাশিরাশি লেখা গল্প কবিতা লিখেছেন কাহাদের তরে।
শান্তিনিকেতন আজ ভালো নেই অশান্তির ঢেউ খেলে
গল্প-কবিতা-গানে ভরা দেশ শুকনো মুখে যেনো
ওদের বল আমি এসেছিলাম আমার জন্মদিনে
 চিনতে পারেনি শান্তিনিকেতন গেলাম বিষন্ন মনে। 
তুমি যদি পারো দেশে দেশে ঘোরো 
 রবীঠাকুরের গান গাও  
 আজ শুভ জন্মদিনে দু'একটি লাইন 
 কবিতা পাঠ করে যাও। 

 লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপ্নের তলে, 
তাইতো তোমায় শুধাই অশ্রু জলে ....
 যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু  
        নিভাইছে তব আলো, 
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছো, 
      তুমি কি বেসেছ ভালো? 
                         (কবিগুরু) 

বিষন্ন মনে গগনে গগনে ঘন বর্ষার বৃষ্টি
 যতো কিছু সব বাংলা ভাষার রবি ঠাকুরের সৃষ্টি  
রবীঠাকুরের শান্তিনিকেতনে এ কি অনাসৃষ্টি। 
মম মম মম সুন্দরীতম শান্তিনিকেতন
বাউল বাতাস মন কেড়ে নেয় উদাস বাউল মন
বেরিয়ে পড়লেন কাঁধে ঝোলা নিয়ে দেশ হতে দেশান্তর
পড়লেম রবী শোনালেম সবে রবীন্দ্রনাথ নিরন্তর 
শেষ করে ফেলি রচনাবলী তবুও হয় নি জানা
 রবীন্দ্রনাথ তুমি মহাসাগর অনন্ত ঠিকানা 
আমি অতি সাধারণ কি করে বুঝিব তোমায় বিশ্বকবি!!
তোমার আশীষ ঝরে পড়ুক শিরে হে পূর্ণ রবি।