Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Monday, April 29, 2024

রক্তদান -- লিয়াকত শেখ

রক্তদান
লিয়াকত সেখ
০৭,১১,২৩
বাঁধলে দেহে রোগের বাসা
ভেঙে যাবে সকল আশা
নাহি পেলে রক্ত,
রক্ত দানে নেই যে ক্ষতি
থাকে যদি ধর্মে মতি
মনটা করো শক্ত ।

মানুষ হয়ে আসলে ভবে
মানবতা থাকতে হবে
তবেই জীবন ধন্য,
পরের বিপদ দেখে দূরে
যায় পালিয়ে মুখটি ঘুরে
স্বভাব তাদের বন্য ।

রক্তদানে খুশি মনে
জয়ী হলে রোগের রণে
সমাজ হবে আলো,
রক্তদানে বিমুখ যারা
আসল মানুষ নয় গো তারা
মনটা আঁধার কলো ।

সবাই মিলে এসো বলি
রক্ত দিতে ক্যাম্পে চলি
হাসি নিয়ে মুখে,
রক্তদানে নেকির খাতা
পূর্ণ হবে সকল পাতা
শান্তি পাবে বুকে ।

বৃষ্টির রানী -- সমীর মুখার্জি

      বৃষ্টি রানী 
       সমীর মুখার্জি 
        ২৮.৪.২৪
বলতে পারি না মাগো আমায় 
নৌকা বানিয়ে দাও ।
প্রকৃতির এই বৃষ্টি রানী 
আজ পালিয়ে উধাও।

টাপুর টুপুর বৃষ্টি এখন 
আসে না হঠাৎ করে।
বিষন্নতায় ভরে গেছে সব 
জমছে না মেঘ ওরে।

আকাশের ওই মেঘ টি দেখে
ছুটতো মোদের প্রাণ। 
আনন্দে মোরা হারিয়ে যেতাম
ছিল প্রকৃতির দান।

পরিবেশ বিচিত্র দেখি এখন 
ঘরে ঘরে অনাচার। 
ঠাকুর দেবতা মানুষগুলো সব
যেন কলির অবতার। 

চলছে এখন সব টেবিলে ঘুষ 
স্বার্থ ছাড়া নাহি চলে। 
গাছ লাগালে প্রাণ বাঁচবে ওগো 
সবাই একই কথা বলে।

একহাতে দাও একহাতে নাও
শুধুই চাওয়া পাওয়া।
ভাবমূর্তি বিকল হলে তখন
হঠাৎ করবে ধাওয়া।

কালবৈশাখী ঝড় আসলে পরে 
সকলে আছড়ে পড়ে। 
হোক না শীতল দেহখানি তবে 
মরুভূমি ধুধু করে।

Sunday, April 28, 2024

ভোকাট্টা -- মৌসুমী মুখার্জী

ভোকাট্টা 
মৌসুমী মুখার্জী
১৮/০৯/২৩
দিন আসে যায় কালের  প্রবাহে এটাই সমীচীন,
অবসাদ আজ পৃথিবী জুড়ে অবিশ্বাস্য সীমাহীন ।
লাটাই গুটোয়...   ছেড়ে দেওয়া সুতো তার,,,
মনাকাশে ভোকাট্টার .. জলদ বেদনভার।
কাল ছিল আশার ফলফুলে ডালখানি  ভরে,,
আজ খালি শাখা ...  বৃক্ষ শুকিয়ে মরে।
শিল্প নেই ,নেই কারবার , বন্ধ কলকারখানা,,
হাভাতে  হাঘরে শূন্য অর্থ, বন্ধ দিন খাওয়া দিন আনা।
 উৎসব আজ মলিন হয়েছে, শূন্য ব্যাংক ব্যালেন্স,
দুধের অভাবে শিশুর কান্না হত দরিদ্র দেশ।
মানুষ এখন মুখোশধারী পড়েছে  ছদ্মবেশ,
মানবিক হয়েও হেনস্থা হয়েছে ঠকে সে একশেষ।
কোথাও আবার সুগন্ধ আসে  বাসন্তী পোলাও মাংসের,
 সিটির আওয়াজে কান ঝালাপালা প্রেসার কুকারের।
লক্ষ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ভুক্ত  বেকারত্ব যন্ত্রনায়,  মনে নেই ঝংকার,
দেবশিল্পী কারিগরী ঠাকুর তাকাও ওদের পানে  একবার।
লাল নীল সবুজ  কত স্বপ্ন ছিল ওই উড়ন্ত ঘুড়ির মতোই,
অসহায় মুখ  স্বপ্ন বিমুখ  ভোকাট্টা মনে ক্ষত।
 
 রাজা মন্ত্রী উজির সান্ত্রী,  সাজায় থালা শত শত পদে
বিপদ যত করছে ভোগ, গরীবই   নিরাপরাধে।


তুমি ডাকলে বলে -- বিজন রায়

তুমি ডাকলে বলে
বিজন রায়
৩/১/২০২৪
 তুমি ডাকলে বলে পেরিয়ে এসেছি
 হাজার মাইল পথ-
 পাহাড় ঝর্ণা কত গ্রাম শহর
 দুর্ভেদ্য জনপদ। 

 তুমি ডাকলে বলে গোলাপ বাগানে
 ফুটেছে নতুন কুঁড়ি-
 বাসন্তিকা খুলেছে দুয়ার
 গুমোট দিয়েছে আড়ি। 

 তুমি ডাকলে বলে বন্ধা নদীতে
 জুয়ার লেগেছে ক্ষীণ-
 আকাশ পারের আঁধার কেটেছে
 এ,মন হয়েছে রঙিন। 

 তুমি ডাকলে বলে অতীতটা আজ
 পেয়েছ নতুন জীবন-
 স্বপ্নেরা সব করে আনাগোনা
 মন হলো উচাটন। 

 তুমি ডাকলে বলে থিতুনো সময়ে
  সুপ্ত তারুন্য জাগে-
 নিরাশার মাঝে দীপ্ত আশারা
 তোমার পরশ মাগে।

 তুমি ডাকলে বলে হাজার মাইল
 কন্টক পথ ধরে-
 এগিয়ে চলেছি নব প্রেরণায় 
 তোমাকে স্মরণ করে। 

 তুমি ডাকলে বলে অস্ত্র রবি
 এখনো হয়নি ম্লান-
 তুমি ডাকলে বলে স্মৃতির অতলে
 জাগে তেইশের গান।

তোমাকেই খুঁজি -- প্রতাপ রাকসাম

 তোমাকেই খুঁজি
 প্রতাপ রাকসাম
 ২৭/০৪/২০২৪ ইং
আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
পূর্বাকাশে উদীয়মান সূর্যের স্নিগ্ধ 
ভোরের আলোক রশ্মির আভায় 
আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
পশ্চিমাকাশে সূর্যাস্তের শেষ গোধুলী 
বেলায় শরতের কাশফুলের কোমল 
ছোঁয়ায় আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
নির্ঘুম চোখে নেশাচর পাখির মতো
কখনো বিভোর ঘুমে স্বপ্নের
মাঝে আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি। 
ইট পাথরে ঘেরা ব্যস্ত শহরের অলিতে 
গলিতে কিম্বা সবুজে ঘেরা শ্যামলিমা 
গ্রাম বাংলায় আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
পূর্ণিমা রাতের জোছনায় কিম্বা অমাবস্যার ঘোর আঁধারে জোনাকির আলোচ্ছটায় 
আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
হাজারো জন অরণ্যের মাঝে কখনো জনমানব হীন গহীন বনে,অশ্রুভরা চোখে ক্লান্ত অবসাদে বিশাল সমুদ্রের তীরে আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি। 
চলমান দুঃষহ নিঃষ্প্রভ সময়ে কিম্বা মধুমাখা
সেই স্বর্ণালী স্মৃতির পাতায় আনমনে আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি। 
অসংখ্য কবির কাব্য গাঁথায় অনবদ্য
প্রেমের কবিতায় কিম্বা বিষাদে ভরা
বিরহ বেদনা উপন্যাসের পাতায়
আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি।
বসন্তের ফোটা লাল, হলুদ অজস্র ফুলের মাঝে বেলী, গোলাপ, বকুলের সুগন্ধে রাতদুপুরে পিউ কুহু কোকিলের গানে সুরে
আমি শুধু তোমাকেই খুঁজি, তোমাকেই খুঁজি।

স্বপ্ন -- দেব মন্ডল

স্বপ্ন
দেব মন্ডল 
২৭/০৪/২০২৪
আমার সেই পুরানো শহরে আবার হবে দেখা। 
কোন এক কালবেলায় আমি এক ব্যস্ত রাস্তায় । 
অন্য কোন  সাজে, অন্য কোন কাজে। 
কোন এক নির্ভরতার হাত চেপে ধরবে আমার কাঁধে। 
বলবে আমি তো আছি তোমার পাশে। 
যে যাওয়ার সে গেছে, এসব নিয়ে এতো চিন্তা কিসের। 
আমি পুরনো দিনের ডাইরি খুলে,প্রাক্তনের স্মৃতি মুছে,
 নতুন করে লিখবো তাকে নিয়ে। 
সে হবে আমার উপন্যাসের এক নির্ভরতার অপ্সারী।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন গাঁথবো একটু একটু করে। 
তাকে নিয়ে বাঁচবো আমি আজীবন ধরে। 
তার সাথে ঘুরবো আমি সারাদিন রাত। 
খুনসুটি দুষ্টুমিতে মিশে থাকবো আমারা আজীবন ভর। 
প্রতিদিন দিবো গোলাপ উপহার। 
সে নতুন করে সাজাবে আমায়। 
আমি মিশে থাকবো তার ভালোবাসায়।

সাধারণ আমি -- মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন

সাধারণ আমি
মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
২৭-০৪-২০২৪
আমার স্বপ্নগুলো খুব সাধারণ—
আমার কষ্টগুলোও খুব সাধারণ
আমার দেখার চোখও খুব সাধারণ।
মৃদু পদক্ষেপে তুমি যেদিন পাশে এসে দাঁড়ালে,
তোমাকে আমার খুব সাধারণ এক রমণী মনে হলো,
অথচ তুমি যে  সাধারণ কেউ ছিল না তা
জানতে জানতে কেটে গেল অনেক কাল।
এই সময়টুকুতে যা যা ঘটলো-,
আমাদের মাঝে চোখে চোখে কথা হলো,
আমরা একে অপরকে দেখে মুগ্ধতার ঘূর্ণিতে হারিয়ে গেলাম। 
এক নিঝুম সন্ধ্যায়—
আমরা পরস্পরের শয্যাসঙ্গী হওয়ার কথা ভাবলাম।
তবে ঠিক তার আগে আগে
আমরা বিয়ে নামক একটা আইনগত প্রথার আশ্রয়ও নিয়ে ফেললাম। 
আমাদের একটা ফুটফুটে সন্তান হলো।
তাকে আমরা প্রবল ভালোবাসায় বড়ো করতে লাগলাম।
আমাদের সন্তান বড়ো হতে না হতেই আমরা
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, 
বড়ো ক্লান্ত হয়ে গেছি এক ছাদের নীচে একত্রে বসবাস করে পেরে উঠছি না।
আমরা আলাদা হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায়
আবার এক নিঝুম সন্ধ্যায় বারের ঘোরলাগা আলো আঁধারিতে
মনে হল তুমি সাধারণ কেউ ছিল না।
আরো এক সপ্তাহের মাথায়
আবিষ্কার করলাম তুমি যে সাধারণ 
কেউ নয়, সেটা তুমি নিজেও জান না। 
কারণ তুমি আবারও আমার মত
সাধারণ আর একজন মানুষকে বিয়ে করে ফেলেছো।
প্রতি সন্ধ্যায় শুভ্র নেশায় চুমুক দিতে দিতে অতি সাধারণ আমি, 
অসাধারণ হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলাম।

Saturday, April 27, 2024

ব্যতিক্রমী -- প্রলয় কুমার সাঁতরা

ব্যতিক্রমী
প্রলয় কুমার সাঁতরা
২৫/০৪/২০২৪
দুর্নীতি বলে        লজ্জা দিওনা 
  টিচার নিয়োগে ব্যতিক্রমী,
অর্থ দিয়েই   পেয়েছে চাকরি 
তারা আগামীর যে অনুগামী। 

এই কথা নয়         বন্ধু আমার 
         বলেন মন্ত্রী ব্রাত্য, 
এ কোন আঁধারে ঢেকেছে বাংলা 
     চারিদিকে শুধু স্বার্থ।

ব্যতিক্রমী এ        ব্যবস্থাতেই
     ফেলছে সব নাভিশ্বাস, 
বলতে কী পারো ওরা সব কারা 
 জেলেতে বসেই খাচ্ছে ঘাস?

ব্যতিক্রমী এ       কেমন বাংলা
     বাংলা মানেই কি আঁধার?
সবার ভাগ্য    হাইকোর্টে কাঁদে 
    কোটের হাতেই  সেই ভার !

এটাই কি তবে      মুক্ত চেতনা? 
     কতো না মধুর অভ্যাস,
গাধা গুলো দেখো খাচ্ছে কেমন 
     এই বাংলার কচিঘাস! 

কতো না লজ্জা  দেবে যে তোমরা?
        লজ্জাহীন ও লজ্জাতে,
বন্ধু আজও         যারা ফুটপাতে
   মারলে যে লাথি সেই পাতে? 

জীবনটা আজ   যে ব্যতিক্রমী, 
       দিদিমণিরই প্রেরণাতে, 
আগামী দিনেতে দেখতে কি পাবো    
       এ পাঠক্রম ভবিষ্যতে? 

অসহিষ্ণু রাজা , রানী -- দিলীপ ঘোষ

অসহিষ্ণু রাজা, রাণি
দিলীপ ঘোষ
২৫/০৪/২৪
হল্লা রাজা
না সইতে পারে, না বইতে পারে
না খেতে পারে
বিরুদ্ধ মতের খাজা,
বিরুদ্ধ মতকে
সাবস্থ করে দেশবিরোধী অপরাধে
অন্যায়ভাবে দেয় সাজা।
ডানা ছাঁটে ভিন্ন মতের অধিকারে
নানান নামের আইন দিয়ে
অভিযোগ ছাড়াই আটক করে
জেলে পাঠায় নির্বিচারে।

হল্লা রাজা
খেতে ভালোবাসে তোষামোদের তেলে ভাজা
না সইতে পারে, না বইতে পারে
সত্য কথন, নিরপেক্ষ প্রতিবেদন।
আকাটের শরীর আনন্দে ফোলে
করলে তোষন, পেলে তৈলমর্দন
চাটুকারিতা আর আত্মসমর্পন
না পেলে, করে শত্রুর মত আচরণ।

নানান মতে নানান পথে চলা
সইতে পারে না হল্লা রাজা
স্বাধীনভাবে সম্মান নিয়ে চলে যারা
অভিযোগ তৈরি করে তাদের দেওয়া হয় সাজা।

হল্লা রাজার দেশে, রাজা রাণি দুই-ই আছে
নীতিহীনভাবে মাথা গরম করে দুজনে
সাধারণের সম্পদকে ভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি
আমি দিচ্ছি, আমি করছি,- সদাই আওড়ায় ভাষনে
মেকি উন্নয়নের দাবি তোলে
                    প্রচার সুতোয় ঘুড়ি ওড়ায় গগনে।

Friday, April 26, 2024

তপ্ত কটাহ -- নিবারণ চন্দ্র দাস

তপ্ত কটাহ  
নিবারণ চন্দ্র দাস
২৬/০৪/২০২৪
তপ্ত দুপুর নাই কলরব
   নাই কোলাহল কেন,
টগবগিয়ে ফুটছে ঘিলু
   চায়ের কেটলি যেন।

যাচ্ছে যেন গুলিয়ে সকল
   ভাবনা চিন্তাগুলো,
যেদিক পানে তাকাই দেখি
    উড়ছে শুধুই ধুলো।

লেখাপড়া উঠলো লাটে
    বন্ধ হ'ল স্কুল,
হয়তো সঠিক,এ নিয়ে আর
     করব না হুলস্থুল।

ব্যক্তিগত স্কুলগুলো যে
     চলছে রমরমিয়ে,
ওদের বেলায় আলাদা নিয়ম
     প্রশ্ন তো তাই নিয়ে।

চাকরি বাকরি কিনব কিনা
     ভাবছি অনেক করে,
ওই ওরা ওঁত পেতে আছে
     ফ্যালে যদি ধরে?

দাবদাহ চলছে বিষম
    তপ্ত তপন জ্বলে,
আমরা বুঝি করিনি শেষ
    উন্নয়নের ছলে?
           :::-:::

আমার একলা চাওয়া -- মনিরা মাসিদ

আমার একলা চাওয়া
মনিরা মাসিদ 
26.4.2024
আমার একলা একটা আকাশ চাই। 
এককক...আকাশ একাকিত্ব চাই। 

আমার আস্ত একটা সমুদ্র চাই 
এক সমুদ্র বাতাস চাই 
বাতাসে ফিসফিস আমারই জন্য কথা চাই।। 

জঙ্গলের নির্জেস্ব ঝিঁ -ঝিঁ আওয়াজ ওঠা
আমার পুরো একটা জঙ্গল চাই।
চাঁদনি রাতে জঙ্গলের নির্জেস্ব 
সুরের মাঝে হারিয়ে যেতে চাই।।

চাঁদের আলোয় ভেসে যাওয়া
আমার নির্জন পুরো আস্ত একটা নদী চাই
বড়ো গাছ ওয়ালা সুন্দর খেয়া বাঁধা
নদীর একটা ঘাট চাই। 

খেয়া নৌকায় বসে থাকবো, সারারাত 
ধরে টুপটাপ শিশিরে ভিজবো ।আর কখন যেন 
নদীর ওপারে ভোরের সূর্য কুয়াশা সরিয়ে 
ঝলমলে সকাল নিয়ে আসবে, আমার ঐ রকম 
একটা সুন্দর সকাল চচাই.. চাইইই..

Thursday, April 25, 2024

শেষের সে দিন -- মলয় সরকার

 শেষের সে দিন 
  মলয় সরকার
   ২৪/০৪/২৪
 বজ্র বিদ্যুৎ ঝড়-বৃষ্টি আসুক ধেয়ে 
 আসুক তুমুল মাতাল দামাল হয়ে 
 ধর্ষিতা হওয়ার জ্বালা কে বুঝবে 
 উঠবেই তো জ্বলে প্রতিশোধের আগুন,
 করাতের আঘাতে রক্তাক্ত অসহ্য ব্যথা 
 বলতে পারেনি বোবা বলে 
 অনুভব করতে চাইনি কোনদিন,
 গরু ছাগলের মত কসাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছি,
 কি দরকার ঠান্ডা মেশিন আছে তো,
 সির সির ঠান্ডার মৌতাতে।
 ঝলসে যাওয়া মাটি 
 জলস্তরের কৃপণতা মানবে কি করে,
 সভ্যতা বিকাশের উত্থানে 
 নিজেদের পায়ে মেরেছি কুড়ল।
 কোটি টাকার আলপনায় বিশ্ব রেকর্ড 
 ধুধু কালো পিচের প্রান্তরে,
 কোটি টাকায় কত গাছ প্রাণ পেতো 
 অবলীলায় সবুজ হতো চারিদিক।
 আফসোসকে বন্দী করে অপেক্ষা 
 শেষের সে দিনের অসহ্য যন্ত্রণায় 
 কাঁদার মত থাকবে না পাশে কেউ।
©মস

আমি ধর্মের নয় কর্মের -- স্বাধীন কুমার আচার্য্য

আমি ধর্মের নয় কর্মের 
 স্বাধীন কুমার আচার্য্য 
 ২৫/০৪/২০২৪ 
আমি কর্মের কবি ধর্মের নয় 
         কৃষকের আশ্বাস 
আমি হিন্দু নয় মুসলিমও নয় 
          শুধু শ্রমিকের বিশ্বাস ।।

আমি দেবদূত নয় নবী ও নয় 
        অনাথের ত্রাণকারি
আমি গীতাও নয় বাইবেল ও নয় 
           সত্য আখরে ভরি ।।

আমি  টিকিও রাখিনা টুপিও পরিনা
           মালা ঝুলি নেই কাঁধে 
আমি  নাঙল চালাই হাল ধরি ভাই 
            লোহাকে পেটাই সাধে ।।

আমি  রাজ্য চাই না চাইনা অর্থ 
          শুধুই মানুষ চাই 
আমি  বুভুক্ষু আর নীড় হারা দের
          বুকে দিতে চাই ঠাঁই ।।

আমি  হাপরের বুকে ঢেলে দিই শ্বাস
          মুটেদের বোঝা তুলি 
আমি   চর্মকারের মাথার উপর 
           ছায়ার ছত্র মেলি ।।

আমি  ভিখিরীর ফুটো থালায় জমানো 
           শুধুই একটি টাকা 
আমি   লজ্জা বস্ত্র ঢেকে দিতে চাই 
            শরীরটা যার ফাঁকা ।।

আমি  কর্মের দাস ধর্মের রিপু 
            সত্যের পথচারী 
আমি   মিথ্যার যবনিকা টেনে দিতে 
           হয়েছি কলমধারী ।।

এক মানুষের -- আমান

এক মানুষের
   আমান 
২৪-০৪-২০২৪
এক মানুষের সৎ সাহসেই
বদলে যেতে পারে জাতি, 
সমাজ থেকে মুছতে পারে 
অশনি সব অসংগতি। 
রুখতে পারে দূর্নীতিবাজ
দুশ্চরিত্রের রাঘব বোয়াল, 
গুড়িয়ে দিতে পারে সকল
মুখোশ ধারী'র মেকি চোয়াল। 
মূল উৎপাদন  করতে পারে
অনিয়ম আর অপরাধের,
দেশ সমাজকে গড়তে পারে 
শান্তি সুখের আবাস সাধের। 
এমন মানুষ চাইলে আমরা
নিজেই কিন্তু হইতে পারি,
কারো কাছে না করে তাই
নিজের কাছেই শপথ করি।
শপথ,
অসৎ পথে চলবো না,
কেউ চললে তা মানবো না
সৎ-সাহসে চলবো,
অকল্যাণকর দেখলে কিছু 
নিজের চেষ্টায় দলবো।

Wednesday, April 24, 2024

অপেক্ষার প্রহর -- প্রতাপ রাকসাম

অপেক্ষার প্রহর
প্রতাপ রাকসাম 
২৪/০৪/২০২৪ ইং
তোমার বিরহে আর কতকাল কাঁদলে আমার চোখের জল ফুরোবে আমার ঠিক জানা নেই..! শুধু-
এতটুকু জানি যখনি তোমার কথা মনে পড়ে তখনি ঐ নীল পাহাড়ি ঝর্ণার মতো দুচোখে অবিরত জল ঝরে।
তোমার-আমার অতীত বারবার আমাকে রোমন্থন করে।
সারাক্ষণ তাড়া করে গন্তব্যের নিশানা দিক্-বিদিক হারায়।
মুহূর্তগুলো বড্ড ফ্যাকাসে মন হারিয়ে যায় স্মৃতির পাতায়।
সেই কবে ফাগুনের স্নিগ্ধ ভোরে কোকিল জেগে উঠার আগে তুমি চলে গেছো আর ফিরে এলেনা..!
যাবার বেলায় বলেছিলে তোমার যোগ্য হয়ে আমি আবার ফিরে আসবো। 
সকলের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলবো আমি তোমাকে ভালোবাসি.....ভালোবাসি।
কতদিন কতকাল কেটে গেলো কত বসন্ত এলো গেলো তবু তুমি ফিরে এলেনা। 
ভুলেও তুমি একটি চিঠি দিলেনা।
চৌরাস্তার মোরে রোজ ডাক পিয়নের সাথে আমার দেখা হয় পিয়ন কাকা মন খারাপ করে বলে তোমার কোনো চিঠি নেই।
অপেক্ষার যন্ত্রণায় কষ্টগুলো শিশির কণার মতো জমে আজ বিষাদসিন্ধু হয়ে গেছে!
হয়তো তুমি ভালোবাসার প্রতিশ্রুতির কথা ভুলেই গেছো কে জানে!
কিন্তু, আমি ভুলিনি..
তোমাকে আপন করে পাওয়ার প্রয়াসে সকাল-সন্ধা চোখে জল নিয়ে এখনো আরাধনা করি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমি আমার কাছে ফিরে আসবেই আসবে।
কখনো আধো রাতে ঘুম ভেঙে তোমার শুন্যতায় ছটফট করি তোমার ছবি বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ি।
এখন আমার দিন কাটে তো রাত কাটেনা ধূসর জীবন ভরসাহীন, সান্ত্বনাহীন, নিঃষ্প্রভ প্রহর গুলো কেটে যায় গভীর দীর্ঘশ্বাসে!
জানিনা আর কত শ্রাবণ ধারার মতো চোখের জলে বন্যা হলে
তুমি সাঁতার কেটে আমার কাছে ফিরে আসবে....!!

বই দিবসে -- তরুণ কুমার ভট্টাচার্য

বই দিবসে
তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য 
বই কই     বই কই 
প'ড়ে  যায়  হৈ  চৈ 
হ'য়ে গেল বইমেলা দেশে
বই চিনে   বই কিনে
সাগ্রহে  বাড়ি   এনে
থরে থরে তুলে রাখে শেষে  ।

বই মেলা     বই মেলা
বই জোগাড়ের ভেলা
যে যা পারে বই কিনে রাখে
নানা কাজে   তার মাঝে
কাক ভোর   কিবা সাঁঝে
পালা ক'রে বই প'ড়ে দেখে  ।

বই ঘ্যাঁষা      পড়া নেশা
বই   পড়া     ভালোবাসা
এরাই তো বইয়ের পূজারী
পড়ে যত          চায় তত
জ্ঞানে    হয়  অবনত
বলা যায় জ্ঞান কান্ডারী  ।

জ্ঞানী জন      গুণী হন
বুঝে   শেষে   কথা  কন
এইটাই বই দেয় শিক্ষা
ভাবি তাই       1““““সুধী চাই 
বই ছাড়া কথা নাই
সে মানুষ লাগি এ প্রপ্রতীক্ষা  ।

বাংলা আমার প্রাণ -- দেব মন্ডল

কবিতা - বাংলা আমার প্রান 
কলমে - দেব মন্ডল 
তারিখ - ২৪/০৪/২০২৪
যেদিন রাজ হাঁসের ডাক থেমে যাবে, বন্ধ হবে চলাচল। 
ভোরের সুরে কোকিল গাইবে না আর গান। 
পুৃঁই শাকটি শুকিয়ে যাবে, গাছে ধরবে না আর  ফল।
এই দিন দেখার আগে আমার যেনো মৃত্যু হয় এই প্রিয়  সোনার বাংলায়। 
পাটনাই ধানের গন্ধ যদি নিঃশেষ হয়ে যায়। 
তার আগে যেনো আমার দেহ থেকে প্রান চলে যায়। 
লুঙ্গী, গামছা, ধুতি পাঞ্জাবী এসব পোশাক ভীষণ দামী। 
তোমাদের এই রং বাহারি, এসব আমি তুচ্ছ দেখি। 
কারণ আমি খাঁটি বাঙালী ঘরের সন্তান। 
চাতক যেদিন জল বিনে রইবে অপেক্ষাতে। 
প্রভু এক টুকরো জল দিয়ো এই বাংলার প্রান্তরে। 
কুমড়া শাকটা কতো শুকিয়ে গেছে জল বিনে।
কতো চাষীর জীবন চলে এই সবজি চাষ করে।
চাষীর চাকা চলছে শহরে, হচ্ছে বড় লোক। 
তাহলে বাংলার চাষী অনাহারী, এ কেমন বিচার বলো তো।
যদি পদ্ম আর না ফোটে জলে,
আমি  বাঁচবো না আর এই বাংলার মাঠে। 
চির অমর অক্ষয় থাক আমার সোনার বাংলা। 
আমি দেখবো দুচোখ ভরে।

Tuesday, April 23, 2024

ফেরার বেলায় -- মনোজ দত্ত

 ফেরার বেলায়
 মনোজ দত্ত
 ২৩/০৪/২৪
 ফেরার ঘরে ডাকছে আমায়
 আয় আয় রে আয়,
 ধান রোপণ হয় নি সারা
 এখন কি যাওয়া যায়?

 মাটি গুলি শুকনো ভারি
 করছি যত তাড়াতাড়ি,
 শঙ্খ দূরে বাজায় ভেরি
 বলছে এসো কর্ম সারি।

 বলাকা পাখায় লাল আভা টি
 উঁকি দিয়ে যায়,
 কাজলা তরু বপু মেলে
 আঁধার কায়ে ছায় ।

 বক্ষ বাজে দুরুদুরু
 নীহার পড়া হলো সুরু,
 ঘরে ফিরতে হবে এবার
 এখন কি উপায়?
 মাঠের মায়া ছাড়াই আমার
 হলো ই ভীষণ দায় ।

 রোদে পোড়া আবাদ খানি
 ঘর্ম ঝরা আদরিনী,
 ভালবাসার সে যে আমার
 প্রাণের প্রেমের রাণী।

 মায়ার আধার সহজে কি
  তারে ছাড়া যায়?
 ঘরে যাবো একটু সবুর
 চক্ষে আঁধার ছায় ।

 পথের দিশার শৃগাল টি
 ঐ দিচ্ছে উঁকি,
 গুছিয়ে নিয়ে যাবো আমি
 তারে সমুখে রাখি।

 জীর্ণ বসন উড়ছে কেমন
 মৃদু দখিনা হাওয়ায়,
 সবাই ব্যাকুল আমায় নিয়ে
 দাও গো এবার বিদায়।

Monday, April 22, 2024

নীড় ভাঙ্গা পাখি -- কল্যাণী ব্যানার্জ্জী

নীড় ভাঙ্গা পাখি ।
কলমে - কল্যানী ব্যানার্জ্জী ।
১৯.৩.২৪.
ডাকবনা আর তোমায় আমি
আমার জীবনে জীবন মিলাতে
ডাকবনা আর তোমায় আমি ;দখিনা হাওয়ায়
কৃষ্ণচূড়ার এই খেলাতে।
তোমায় আমি ডাকবনা আর ;নদীর কিনারে বসে পাশাপাশি গোধূলি রংএ তে রাঙ্গাতে।
ডাকবো গো আর শ্রাবণ ধারায়
একসাথে মিলে ভিজতে।
নিশীথ রাতেতে ডাকবনা আর রাত জেগে তারা গুনতে।
আমার আঁধার ঘরেতে আর ডাকবনা তোমার প্রেমের প্রদীপ জ্বালতে।
তুমি যেগো আজ দুরের অথিতি ;
হারিয়ে গেছো যে পাল ছেঁড়া কোনো নৌকায়।
কোন ঘাটে গিয়ে ভিড়েছে যে নাও ;জানিনা তো তার ঠিকানা।
আমি পড়ে আছি নীড় ভাঙ্গা পাখি ;একা একা আর
স্বপ্নের জাল বুনিনা।
যে প্রেমের ছোঁয়া দিয়েছিলে মনে
জানিনা গো তা ভুলবো কেমনে
জানি গো তুমি আর আসবেনা ফিরে
বেলা শেষের এই ঠিকানায়।
যেথা আছো সেথা ভালো থেকো তুমি
এইটুকু মোর কামনা।
আমার স্মৃতিতে অমলিন তুমি ;তাই নিয়ে ঠিক থেকে যাব আমি।
স্মৃতি তো আমায় যাবেনাকো ফেলে
আমার জীবন সন্ধ্যায়।

এক পাত্র জল রেখো -- সুমন

এক পাত্র জল রেখো
                       ---সুমন।
২১.০৪.২০২৪
০৮.০১.১৪৩১
বড্ড অসহায় আজকাল ওরা
তীব্র দাবদাহে,
বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ এমনি
সীমান্ত আবহে।
আহার দুবেলা অমিল তাদের
উচ্ছিষ্ট ডাস্টবিনে,
উঁচু দেওয়ালে ঘরবাড়ি ঘেরা
কষ্টকর জীবনে।
সারাদিন পথে ঘুরেফিরে শুধু
খাওয়ার খোঁজে,
হোটেলে, বাজারে গন্ধ শোঁকে
আশাতীত লাজে।
ছ্যা-ছ্যা, ছিঃ-ছিঃ, দেখে ওদের
মানুষেরা তাড়ায়,
কখনও সখনও লেদনা, লাঠি
যন্ত্রণাই বাড়ায়।
রাজপথে বাচ্চা পড়ছে চাপা
চার-চাকার তলে,  
ছেঁচড়ে বেঁধে তুলে পুর-কর্মী 
ভাগাড়ে ফেলে।
সারমেয় তবু বিশ্বস্ত উপকারী
ইতিহাস দেখো,
ওদের জন্যও এক-পাত্র জল
সংরক্ষিত রেখো।