Monday, December 31, 2018

রাত তখন সারে ন'টা

রাত তখন সারে ন'টা

একি অপ্রত্যাশিত আগমন !
মন আমার নিবিষ্ট যখন কবিতাপাঠে 
কেন এলে বিদায় চাইতে 
অকস্মাৎ ---
হৃদয় উঠল কেঁপে
তোমার কন্ঠস্বরে
ধুক --- ধুক --- ধুক ----
বিদায় ---
বোলো না
আমার হৃদয়মাঝে
আছো জানি ---
চিরকাল --- চিরদিন ---
কোথায় যাবে বিদায় নিয়ে
তবু ----
পারিনি কিছু বলতে
অবাক বিষ্ময়ে
চেয়েছিলাম শুধু
আশা তো করিনি কখনো
তবু এসেছিলে ---
ক্ষনিক স্মৃতির আবেশের মতো ।

Sunday, December 30, 2018

গৌরচন্দ্রিকা - অন্তিম পর্ব

গৌরচন্দ্রিকা - অন্তিম পর্ব

অনিমেষ কোনো জবাব দিল না । মুখ নীচু করে একটা আমপাতা নখ দিয়ে চিরতে লাগল । 
          - এভাবে যদি বিচার কর তবে বলত অনিমেষদা আমাদের কার চরিত্র ভালো ?
     অনিমেষ জিজ্ঞাসু চোখে শাশ্বতীর দিকে তাকিয়ে আছে । কি বলতে চায় মেয়েটা । শাশ্বতী বলে চলেছে ।
          - এই যে আমি এই দুপুর বেলা তোমার সাথে এই বাগানে বসে নির্জনে কথা বলছি । এখন তোমার মত কেউ যদি দেখে তবে তো আমার চরিত্র নিয়েও টানাটানি পড়ে যাবে । 
          - আহা তা কেন ।
অনিমেষের কথা হয়ত শাশ্বতীর কানেই পৌছয়নি ।
          - আমিও তো আমাদের অর্গানাইজেশনের কাজে কত ছেলেদের সাথে রাত নেই , দিন নেই ঘুরে বেড়াই । নানা কথা নিয়ে ওদের সাথে হাসি - তামাসা করি । আমার ব্যপারেও তোমরা এমনি ভাবো নিশ্চয় ।

শাশ্বতীর মনে পড়ে তার পিসতুতো দাদার কথা । গতকাল রাতে সিনেমাটা শেষ হলে সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল তখন এরকম একটা কথা উঠেছিল নায়িকার চরিত্র নিয়ে । দাদা বলেছিল , দেখ সতী , আমাদের চরিত্রটা আসলে আপেক্ষিক । একপেষে দৃষ্টি নিয়ে আমরা চরিত্রের বিচার করি । একটা মানুষের সবটুকু আমরা দেখতে পাই না বা দেখি না । বলতে গেলে দেখার চেষ্টাও করি না । আর এজন্যই যত রাজ্যের কুৎসা , বদনামের সৃষ্টি করি । তুই নিজেকে দিয়ে বিচার কর দেখবি সেটা পরিস্কার হয়ে গেছে । সবকিছুর পিছনেই কারণ থাকে । মনে কর তোকে আদালতের সামনে দাঁড় করানো হয়েছে । তোর চরিত্রের বিচার হচ্ছে । তুই তোর সপক্ষে  নিশ্চয় কারণ দেখাবি । এবং এটাই স্বাভাবিক । আর কার্য-কারন সম্পর্কের ভিত্তিতে তর্ক শেষপর্যন্ত যুক্তিতে উত্তীর্ণ হয় । আসলে আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে অন্যের খুঁত বের করাই এদের কাজ । নিজেদের খুঁত ধরে দাও , দেখবে নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করার কত কারণ দেখাবে । অথচ অন্যের ব্যপার ' বুঝব না ' বলে চুপ করে থাকে ।
শাশ্বতীর ধ্যানভঙ্গ হল অনিমেষের কথার আওয়াজে --- আসলে শুধু তাই নয় । আশেপাশের বাড়ির লোকেরাও তাই বলল ।
        - পাশের বাড়ি ! অনিমেষদা , তুমি এতদিন ধরে যাকে দেখছ , ভালোবেসেছ তার সম্পর্কে শেষপর্যন্ত তোমার এই ধারনা । এত ঠুনকো তোমার প্রেম । আচ্ছা , কেউ যদি এসে বলে ভাই চিল তোমার কানটা নিয়ে গেল । তুমি কি চিলের পেছনে ছুটবে নাকি নিজের কানে হাত দিয়ে দেখবে কানটা স্বস্থানে আছে কিনা ।
            - কিন্তু সতী , অনেকের কথা যেখানে আছে , মানে অনেকে যেখানে বলছে ---
           - দেখ দাদা , সবার কথা আমি জানি না । সবাই তার কোন আচরণ দেখে তাকে চরিত্রহীনা বলছে আমি জানি না । তাদের কথা বাদ দাও । আমি তোমায় জিজ্ঞাসা করছি তুমি নিজে কতখানি সৎ বুকে হাত দিয়ে বলত । যদি একটি ছেলের সাথে কথা বললেই একটা মেয়ে খারাপ হয়ে যায় তবে তুমি বলতো তুমি কোনোদিন কোনো মেয়ের সাথে কথা বলনি ? রাস্তাঘাটে কোনো মেয়েকে টোয়েন্টিং করনি ?

অনিমেষ কখন উঠে বসেছে । অনিমেষ অনিমেষ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শাশ্বতীর দিকে । শাশ্বতী আজ ক্ষেপে উঠেছে । প্রতিবাদের প্রখর ঝড় তার চোখেমুখে। একোন শাশ্বতীকে দেখছে অনিমেষ । ছোট্ট মিষ্টি শান্ত যে মেয়েটির হাতে সে ছ-মাস আগে ভাইফোঁটা পড়ে গেছে  এ কি সে ! শাশ্বতীর মুখের সেই লাজুক ভাব যা সবসময় অনিমেষকে ছোট্ট বোন বলে মনে করিয়ে দিত এতো তা নয় ।
শাশ্বতীর কথা শুনে আজ অনিমেষের ক্লাশ সেভেনের ইতিহাসের দিদিমনির কথা মনে হচ্ছিল । তনিমা মিত্র ক্লাশে ভারতীয় সমাজের বৈশিষ্ট্য বোঝাতে গিয়ে এরকমভাবেই কথা বলতেন । এরকমভাবেই তিনি ভাবে তন্ময় হয়ে যেতেন । মুখে ফুটে উঠত করুণ বেদনা ।
শাশ্বতী কিন্তু নিজের কথাতেই মগ্ন - দেখ অনিমেষদা , তুমি যদি সত্যি ওকে ভালোবাস তবে ওর সাথে কথা বলো । ওকে বোঝার চেষ্টা করো । আশা করি তাহলে ওকে বুঝতে পারবে । তারপর যদি ওকে তেমন মনে হয় তুমি ব্যবস্থা নাও ।
আজ অনিমেষের আবার নতুন করে ভাবতে ইচ্ছে করছে । সত্যি , মেয়েটা আজ অনিমেষকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করছে । 
          - কিরে দুজনে চুপচাপ করে বসে আছিস কেন । সরি , আমার একটু দেরি হয়ে গেল । 

প্রিয়তোষের কথায় প্রকৃতিস্থ হল দু'জনে । প্রিয়তোষ পকেট থেকে দুটো চকলেট বের করে ছুড়ে দিল মাদুরের ওপর  --- নে খা ।

কোকিলটা এখন আর ডাকছে না । হয়ত ওর সঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছে । কিংবা এখানে ওর সঙ্গী নেই বিবেচনা করে অন্য কোথাও চলে গেছে । বাগানের সামনের পুকুরটার দিকে চোখ গেল অনিমেষের । সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে আছে জলে । একটু পড়েই সূর্য ডুবে যাবে । অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে । তারপর আগামীকালের প্রতীক্ষা । তারপর আবার চারদিক আলো করে সূর্য উঠবে । শুরু হবে একটি নতুন দিনের ।

Friday, December 28, 2018

গৌরচন্দ্রিকা -- দ্বিতীয় পর্ব

গৌরচন্দ্রিকা -- দ্বিতীয় পর্ব

গতকাল দাদা এসেছিল । সারাদিন বেশ মজায় কেটেছে শাশ্বতীর । একটুকুও পড়া করা হয়নি । কিন্তু আজ যে অনিমেষদা আসছে । আর অনিমেষদা মানেই উৎসব । সকাল সকাল বাবা আজ বাজারে গেছেন । ভালো দেখে বড় দেখে মাছের মাথা আনতে হবে । পাগলটা এতদিন পর আসছে সবাই যেন বেশ খুশি । আজ যেন কারো কথা বলারও সময় নেই । নিঃশ্বাশ বন্ধ করে সব কাজ করে চলেছে । কানগুলো শুধু গেটের দিকে । গেটে শব্দ হলেই সব উৎকর্ণ হয়ে ওঠে ।
অনিমেষ যখন এল তখন শাশ্বতী বাথরুমে । চিৎকার হৈচৈ শুনে শাশ্বতীর বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠেছিল । সাওয়ারটা বন্ধ করে ভালো করে কান পেতে রইল । সকলের সমবেত চিৎকারে সবার কথাই হারিয়ে যাচ্ছে । কারো কথাই পরিস্কার বুঝতে পারা যাচ্ছে না । এই জনসমুদ্রের কূল ছাপিয়ে হঠাৎ শাশ্বতীর বাবার কথা স্পষ্ট হয়ে উঠল । 
            - দাঁড়াও , দাঁড়াও । ছেলেটা মাত্র এল । ওকে একটু বসতে দাও আগে । শাশ্বতীর বুঝতে আর বাকি নেই ।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর অনিমেষ আর প্রিয়তোষ শাশ্বতীর ঘরে গেল । 
               - চল সতী ঘুরে আসি ।
               - এখন ।
               - চল না বাগানে গিয়ে বসব ।
               - বেশ চলো । দাঁড়াও মাদুরটা নিয়ে আসি ।

শাশ্বতী একছুটে সিড়ির কোন থেকে মাদুরটা টেনে নিয়ে এল ।
একটা বড় আম গাছের নিচে মাদুরের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছিল ওরা তিনজন । প্রিয়তোষ আর অনিমেষ নিজেদের ব্যবসার কথা আলোচনা করছিল । হঠাৎ কি একটা কথা মনে পড়ায় ' ওহো আসছি দাঁড়া ' বলে বাড়ির ভেতর ছুটে গেল অনিমেষ ।
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ থাকার পর অনিমেষ প্রথম কথা বলল 
             - কিরে তোর এবার কোন ইয়ার হল যেন ?
             - থার্ড ইয়ার ।
             - চাকদা কলেজ না ?
শাশ্বতী ছোট্ট করে একটু ঘাড় ঝাকালো ।
             - তা শুধু পড়াশোনাই করছিস নাকি প্রেমটেমও করছিস ?
শাশ্বতী যে এর কি জবাব দেবে ! 
অনিমেষদাটা যেন কি । একটা ঠান্ডা স্রোত হাওয়ার ঝলক এসে লাগল শাশ্বতীর চোখে মুখে ।একটু চুপ করে থেকে শাশ্বতী বলতে শুরু করল 
                -অনিমেষদা তুমি এবার একটা বিয়ে কর । ঘরে বউ এলে তোমার এই বাউন্ডুলে স্বভাব ঘুচে যাবে।  মাঝে মাঝে আর উধাও হয়ে যেতে পারবে না । 
               - বিয়ে করব , বেশ মেয়ে দেখ । 
               - মেয়ে দেখব কিগো । রমাই তো আছে । ওকে তো আমার বেশ লাগে । 
               - নারে , তা হবার নয় ।
               - হবার নয় , কেন ? ওর বাড়ি থেকে রাজি নয় ?
               - না , তা নয় ।
              - তবে ?
বাগানের কোথায় যেন একটা উদাসী কোকিল অনেকক্ষণ থেকে ডেকে যাচ্ছে । হয়ত ওর সঙ্গীকে খুঁজে পাচ্ছে না । থেকে থেকে হাওয়ায় ভর করে কোকিলের ডাক ওদেরও উদাস করে তুলছিল ।

অনিমেষদার চোখে মুখে একটা ব্যথার ছবি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিল শাশ্বতী । মুখ নীচু করে অনিমেষ বলল - ওর চরিত্র ভালো না ।
             - চরিত্র ভালো না !
        
কথাটা গমগম করে শাশ্বতীর কানের মধ্যে বেজে উঠল । যেন সেতারের সাতটা তার একসাথে ছিঁড়ে গেল । শাশ্বতী অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল অনিমেষের মুখের দিকে ।
               - মানে ?
               - সেদিন রাত প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ আমি যখন ফিরছি তখন দেখি ওদের বাড়ির সামনের স্কুলের কোনাটায় দাঁড়িয়ে ও একটা ছেলের সাথে গল্প করছে । 
              

Thursday, December 27, 2018

গৌরচন্দ্রিকা -- প্রথম পর্ব

গৌরচন্দ্রিকা -- প্রথম পর্ব

ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি । ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা লাগে । আর ঘুমটাও এই সময়ই একটু জাঁকিয়ে আসে । কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও ঘুমোতে পারেনা শাশ্বতী । আজ তার পিসতুতো দাদা আসবে । এই দাদা শাশ্বতীর খুব প্রিয় । এই দাদা মানেই মজার মজার কথা , অনেক অনেক জায়গায় ঘোরা আর দারুন দারুন খাওয়া । তাই দাদার কথা শুনেই তার চোখ জ্বালা কমে যায় । ঘুম পালিয়ে যায় নির্ঘুম দেশে ।
আর কয়েকদিন পরেই দোল । পৃথিবীর বুকে ইতিমধ্যেই কিন্তু রঙের খেলা শুরু হয়ে গেছে । পলাশ শিমূলের বুকে যৌবনের আগুন জ্বলে উঠেছে । আম গাছের ডালে ডালে ফুটেছে মঞ্জরী ।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল - ক্রিং ক্রিং ক্রিং ....। ফোনের আওয়াজে শাশ্বতী আজ বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠল । কেন ? রোজ তো কত ফোন আসে । কেউ তার বাবাকে চায় । কেউ পাশের বাড়ির সন্টুদা , রাজুকাকা বা তিতলিকে ডেকে দিতে অনুরোধ করে । আবার কখনো শাশ্বতীর বন্ধুরাও দরকারে ফোন করে । কিন্তু কখনো তো এমন হয়না । তবে কী শাশ্বতী আজ মনে মনে কারো প্রতীক্ষা করছে ?
বেশ কয়েকবার বাজার পর ফোনটা কেটে গেল । শাশ্বতী অপেক্ষা করে থাকে । নিশ্চয় আবায় বাজবে এখনি । ঠিক তাই । শাশ্বতী রিসিভার তুলে নিল - হ্যালো 
        - হ্যালো । আমি অনিমেষ বলছি । 
        - অনিমেষদা !

অনিমেষ শাশ্বতীর কাকাতো দাদা প্রিয়তোষের বন্ধু ।
এক জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রিয়দা ওকে নিয়ে এসেছিল । তখন ওরা বীরনগর না কোথায় থাকত । প্রথম আলাপেই অনিমেষের সাথে শাশ্বতীর বন্ধুত্ব হয়ে গেল । অনিমেষের কোনো বোন নেই । একবার ভাইফোটার দিন হঠাৎ এসে হাজির । শাশ্বতী তখন তার ভায়েদের ফোটা দেবার ব্যবস্থা করছে । অনিমেষ এসে বসে পড়ল ভাইদের সাথে ।
          - জানি তো আমার জন্য কোনো ব্যবস্থা করিসনি । তাই আমি নিজেই নিয়ে এলাম । এই নে পান মিষ্টি । মা সব দিয়ে দিয়েছে ।
সেদিন সকলে এই সৃষ্টিছাড়া ছেলেটার কান্ড দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিল । আনন্দের দৌরাত্মে প্রিয়তোষ মানিব্যাগে যত টাকা ছিল সবটাই তুলে দিয়েছিল শাশ্বতীর ডালায় ।
তারপর সেই যে অনিমেষদা গেল প্রায় ছ-মাস পর আবার এই যোগোযোগ ।
      - কিরে কেমন আছিস ? কথা বলছিস না যে । খুব রাগ করেছিস বল । আচ্ছা আচ্ছা আর রাগ করতে হবে না । আমি কালই যাব বুঝলি ।  কাল সব কথা হবে । মাসীমাকে বলিস মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রাঁধতে । মুড়িঘন্ট না পেলে কিন্তু তোকে পিটাবো । আচ্ছা রাখছি রে । ভালো থাকিস ।
শাশ্বতী কোনো কথা বলার আগেই ফোনটা খটাস করে রেখে দিল অনিমেষ । খুব রাগ হল শাশ্বতীর ।
অনেকদিন পর যদি ফোন করলে তো আমাকে কোনো কথা বলতে না দিয়েই নিজের কথাটুকু  বলেই রেখে দিলে । অনিমেষদাটা এইরকমই ।
অভিমানের মধ্যেও শাশ্বতীর আনন্দ হচ্ছিল । কাল অনিমেষদা আসবে । ভারী মজা হবে ।

Wednesday, December 26, 2018

Aaj rate

আজ রাতে

নিঝুম রাত্রির গোঙানি শোনা যায়
নিঃসঙ্গ এ জীবন
বোধহয় অসহ্য লাগে তার
নিথর রাত্রির কান্নায়
কার অনুপস্থিতি ইঙ্গিত পায়
হিমপরশও দংশন করে
নিঃসঙ্গ রাত্রির বুকে
চাঁদের মহিমা অবলুপ্ত হয় বুঝি
তার কান্নার স্রোতে

কে আসবে পাশে তার
একটু সোহাগের ছোঁয়ায়
শুকিয়ে যাবে অশ্রুজল
জ্বলবে আশার প্রদীপ

এসো , তুমি এসো ।

Tuesday, December 25, 2018

Akal boishakhi

অকাল বৈশাখী

তোমার বিশীর্ণ চোখদুটোতে
দেখেছিলাম
কি অপরিমেয় ক্ষুধা
চোয়ালের কাঠিন্য ভেঙে
উঠে আসছিল কী একটা কথা
ঠিক তখনি ----
একঝাঁক সাদা বক
কালোমেঘের বুক চিরে
ঠিক মাথার ওপর দিয়ে
কি কথা বলতে বলতে
উড়ে চলে গেল
মুহূর্তে ----
চকচকে হয়ে উঠল তোমার চোখ
রূদ্ধ আবেগে গলা ফাটিয়ে
চিৎকার করে উঠলে তুমি

তোমাকে বেষ্টন করে আছে
এক দল মানুষ
নিমেষে ----
হারিয়ে গেল তোমার আশা
ছিন্ন হল মুকুল
হল অকাল বৈশাখীর অবসান 

Monday, December 24, 2018

Avipsa

অভীপ্সা

ভেবেছিলাম ----
উত্তরণ খুব একটা কঠিন হবেনা ।
রোগের কারন জেনে গেলে
আর তো রোগমুক্তির ভয় থাকেনা
চিকিৎসা শুরু করেছিলাম
যথানিয়মেই

তবু ----
কোনো কোনো রোগ তো থাকেই
যার চিকিৎসা নেই । ধীরে ধীরে
ক্ষয় হয় জীবন -- মন -- এই রোগে 
হাহাকার করে ওঠে মন
ফিরে পেতে চায় একবার সে জীবন
যে জীবন শুধু ফরিঙের , প্রজাপতির
পাতলা ডানায় ভর করে মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো --- ঊষা আর গোধুলীর
রক্তিম আবেশ মাখানো গায়ে ।
কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ভরা সর্ব্বোচ্চ ডালটাতে বসে
হাওয়ার তালে তালে নেচে নেচে বেড়ানো
কি উন্মাদ সে জীবন --- চোখে
কত স্বপ্ন ।

Sunday, December 23, 2018

সর্বত্র নিবিড়তা

সর্বত্র নিবিড়তা

তোমার
বাহুর নিবিড় আবেষ্টনে
আবদ্ধ থেকে
যখন তোমার হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছিলাম
মনে হচ্ছিল
আজন্মকাল ধরে বয়ে চলা
এই যে গঙ্গা , 
ঐ যে যমুনা
এমনিভাবেই
মাটির সাথে নিবিড় থেকে
বয়ে চলেছে সুদূরে
সভ্যতার উত্থান পতন
জীবের জন্ম মৃত্যু
পৃথিবীর ঘুর্ণন
সমস্তই 
যেন রূপকথা
সত্য শুধু
এই প্রেমের নিবিড়তা ।

Saturday, December 22, 2018

প্রকৃতির পরিহাস

প্রকৃতির পরিহাস

বেআব্রু রাত্রির নগ্নতা
একি সৌন্দর্য না বিভীষিকা
তবে --
নগ্ন আকাশে দীপ্যমান নক্ষত্রপুঞ্জকে
শ্মশানের জ্বলন্ত চিতা বলে মনে হয় কেন ?
এও কি প্রকৃতির পরিহাস !

পৃথিবীর প্রান্ত থেকে
কোনো এক বুড়ো প্যাঁচার উল্লসিত চীৎকারে
তারই কি প্রতিধ্বনি শোনা যায় ?

নদীর ঐ খিলখিল হাসি
এও কি --
শিশুকন্ঠের কাকলি , নাকি
বৃদ্ধা ধরনীর প্রতি নির্মম উপহাস ?

স্তম্ভিত পৃথিবী !

Friday, December 21, 2018

নির্বাক

নির্বাক

কুয়াশার  চাদর গায়ে
ঐ যে আকাশ
একদিন
জুজু হয়ে বসে থাকা
বোবা কালা মানুষটাকে
কি কথা শুনিয়েছিল
নির্বাক নিঃস্পন্দ চিত্তে
বুড়ো চাঁদটার দিকে তাকিয়ে
আর এক বুড়ো মানুষ
মনে মনে চলেছিল
সংযোগ বোধহয়
তাই
হীমশীতল রাতে
নিবিড় কুয়াশায়
চাঁদের মত
নির্বাক হয়ে
কেটে গেল রাতের পর রাত
প্রহরের পর প্রহর ....

তবু
বোবা মুখে
ফোটেনা ভাষা
মেরুদন্ডে
জাগেনা বিদ্রোহের জোয়ার
ভাটার বালিতে শুয়ে শুয়ে
রাতের তারা গোনা
আর
কালকের প্রতীক্ষা
এক তপ্ত , উজ্জ্বল দিনের প্রতীক্ষা ।

Thursday, December 20, 2018

জীবন

জীবন

রাত্রির বীভৎস নীরবতা
আকাশের কোনে
ম্লান চাঁদ
কিংবা
রাহুগ্রস্ত
শ্মশানে জ্বলছে
অহরহ
শবদাহ
অগ্নির বীভৎস লেলিহান শিখা
অন্ধকার আরো বাড়িয়ে দেয় ।

কুকুরগুলো 
স্তব্ধ হয়ে বসে আছে
কিসের প্রতীক্ষায়
শুধু বয়ে যায় নদী --
কখনো দুকুল ছাপিয়ে
কিংবা শীর্ণকায় -----

Wednesday, December 19, 2018

ভীতি

ভীতি

দূষিত মনের পাশে
অশরীরী আত্মার ক্রন্দন

বৃন্ত থেকে খসে পড়া
একমুঠো বকুল ফুল

দুঃস্বপ্নে কেঁদে ওঠা
একটি ঘুমন্ত শিশু

নীরব আকাশের দিকে
তাকিয়ে থাকা
একটি নীরব মনের হাহাকার
আরো বেশি বাড়িয়ে তোলে
আকাশ থেকে খসে পড়া
অমঙ্গলস্বরূপ
দু-একটা তারাখসার আবির্ভাবে ।

Tuesday, December 18, 2018

গোপন ব্যর্থতা

গোপন ব্যর্থতা

মেঘের আঁধার কেটে
বেড়িয়ে আসা একটুকরো চাঁদ
নক্ষত্রের নিবিড় সান্নিধ্যে থাকা সত্বেও
যেন ক্রোশ খানেক দূরত্ব

সবুজ নরম ঘাসে
প্রথম শিশির বিন্দুর
ব্যর্থ প্রনয়

রাতের তারার নিঃসঙ্গ অবকাশ যাপন
অভিমানে আহত
ভোরের শিউলির অবাধ পতন

পূর্বদিকে উদিত সূর্যের
ওকি লজ্জারাঙা মুখ ?
তেজ-বীর্য আহত কি ব্যর্থ দর্শনে ?

Monday, December 17, 2018

অন্তড়ালে

অন্তড়ালে

পাতলা কুয়াশায় ঘেরা ক্লান্ত ব্যস্ততা
মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনের উঁকিঝুকি
কারুন্য কঠিন স্বর
যেন ----
আর একটু ফুঁ দিলে
সশব্দে ফেটে যাবে
ছোট্ট বেলুন , 
উথলে উঠবে সমুদ্রের ঢেউ ,
হাজার তারায় ভরা আকাশ
ঝিকিমিকি করে হাসতে হাসতে
কখন ---
চাঁদের সাথে লেপ্টে গিয়ে
মাটিতে গড়াগড়ি খাবে

বুঝতেও পারবেনা ।

Sunday, December 16, 2018

মৃত্যু

মৃত্যু

নিষ্ঠুর মৃত্যুর নির্মমতায়
কেঁপে কেঁপে ওঠে অঘ্রাণের রাত
রাতচরা পাখিগুলি সভয়ে
গাছের কোটরে আশ্রয় নেয়
জ্যোৎস্নামাখা দিঘীর জল
অস্বাভাবিকভাবে স্থির
কোন সুদূর থেকে
কুকুরের একটানা কান্না ভেসে আসে
বুকের ভেতরে একমণ ওজনের পাথরটা
আরো চেপে বসে
শিরায় শিরায় প্রবাহ স্তব্ধ হয়ে যায়


দোহাই তোমার , একফোটা অশ্রু দাও
পাথরটা একটু ক্ষয় হোক ।

Wednesday, December 12, 2018

বৈপরীত্য

বৈপরীত্য

তোমার বাড়ির সানাইয়ের সুর
আনন্দে নেচে নেচে ওঠে বেহাগে
সুখের সন্ধ্যাতারা উজ্জ্বল হয় ক্রমে
আকাশে গোল থালার মত চাঁদটা বুঝি
চাঁদ নয় --- সৌভাগ্য সূর্য
ফাগুনবেলার ফিসফিস শব্দে
সৃষ্টির সুর শোনা যায় ।


আমাকে ঘিরে আছে নিশ্ছিদ্র অমাবস্যা
এর নিপুন স্তর ভেদ করে প্রবেশের
ছাড়পত্র পায়না সানাইয়ের সুর
চাঁদটাও ফ্যাকাশে মনে হয়
উদিত সূর্যও আতঙ্কিত করে হৃদয়
তুষার-ঝড় বইতে থাকে মনে
চারিদিকে শুধু একটানা ক্রন্দন শোনা যায় ।

একাকীত্ব ভুলতে গিয়ে

একাকীত্ব ভুলতে গিয়ে

কখনো কি পার অস্বীকার করতে
ঠোঁটের কোনে ঐ যে আবেশটুকু
তা আমার দেওয়া নয়.......

সঙ্গী খুঁজেছিলাম আমি
একটা সঙ্গীর জন্য
বুকের মধ্যে সমস্ত রক্ত জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল
উষ্ণতা চেয়েছিলাম তার কাছে
তার বুকের ওমে তপ্ত হয়েছিল পৃথিবী
তাই বুঝি
নিঃশেষে পুড়ে গেল সে
আজ বুঝি আবার বলব --
' সঙ্গী চাই , একটা সঙ্গী চাই '

হয়ত রাস্তায় রাস্তায় চীৎকার করে বলব --
' একজন কেউ এসো আমার সঙ্গী হতে ,
এই নিঃসঙ্গ জীবন আর বইতে পারি না .....'

প্রতিধ্বনি ফিরে আসে কানে --
' সঙ্গী চাই , সঙ্গী চাই '
ঐ আকাশটাও বুঝি তবে একলা
ঐ যে নদী --
যার কালো জলে
দিনের ছায়া নিয়ে আসে রাত্রীর অন্ধকার
তার গভীরেও কত নিঃসঙ্গতা

আকাশের ঐ চিলটা বুঝি
নিঃসঙ্গতা ভোলার জন্যই উড়ে বেড়াচ্ছে
পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে

তবে এত বড় পৃথিবীটাতে কি
সবাই নিজের মত একা ?

পরিত্যক্ত প্রতিশ্রুতি

পরিত্যক্ত প্রতিশ্রুতি

হেমন্তের ঝরা পাতার মত

প্রতিশ্রুতিও একদিন হয়ত
উড়ে যাবে কোনো দেশে
সেখানে --
ভালোবাসার শিথিল বন্ধন
আর আপন করে কাছে টানবে না কাউকে
অশ্রুসিন্ধুও শুকিয়ে গিয়ে
খাঁখাঁ করবে চারিদিক
শুকনো মরুবালি
দু-একটা কাঁটার খোঁচায়
একটু-আধটু রক্তের ফোঁটা
তপ্ত বালির বুকে
নিজের নাম লিখে রেখে
ভালোবাসার শহীদ মিনার
ঘোষনা করবে হয়ত
সেদিন --
দু-একটা গোলাপের কুঁড়ি অন্তত
ড়িয়ে রেখো
বুকের ওপর
হোক না শুকনো , গন্ধহীন
তবুও তো
একদিন ওতে প্রাণ ছিল
ভালোবাসা ছিল
আজ শুধু পরিত্যক্ত


পরিত্যক্ত প্রতিশ্রুতির মত ।

আকাঙ্ক্ষা

আকাঙ্ক্ষা

চাঁদের পাশে তারার দল

কতই যেন অচঞ্চল
দেখে আমার চক্ষুস্থির
ছায়াপথের ঐ স্বচ্ছ অঞ্চল ।


গঙ্গার কোলে নৌকা দোলে

আকাশে দোলে হাসি
একই আকাশের সাথি তবু
রবি আর শশী ।


তবু মাঝে বাধার পাহাড়

বিশাল দিনের ঢেউ
চিরমিলনের আকাঙ্ক্ষা ওদের
জানবে না আর কেউ ।

Monday, December 10, 2018

বার্তা

বার্তা

রক্তাম্বু নদীর তীরে
ভোরের কাক হয়ে
কি বার্তা বয়ে আনে
বিশুষ্ক বাতাস ।


পাতা ঝরাবার দিন
হয়েছে শুরু
পুরনোর হবে অবসান
প্রকৃতি উদাস ।


মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
বাতাস ওঠে ফুলে
অভিমানে ভাঙছে আগল
দুর্বিনীত আঁশ ।


রঙীন প্রজাপতির
পাখায় ঝাপটা লাগে
ফুলের কৃত্রিম শাসন
ব্যর্থ পরিহাস ।

প্রত্যয়

প্রত্যয়

রাত্রি গভীর যখন

এক করুন ক্রন্দন
সহসা জাগিয়ে দিল এক ঝটকায় ,
মনের গোপন তলে
নিয়ত যে দীপ জ্বলে
হঠাৎ বাতাসে তার প্রাণ কেঁপে যায় ।

কোথায় কতদূরে

কোন সে অচীনপুরে
জীবনের প্রথম প্রভাত ডাকে ইশারায় 
নীরব অভিমান
ব্যথার ঐকতান
নিথর রাত্রির বুকে দাগ কেটে যায় ।

অস্ফুট অনুরাগ

হয়েছে হতবাক
প্রকাশ হল না আজো , হায় !
প্রেমের অভিসার
বৃথাই জন্ম তার
দুটি প্রাণের মিলন স্তব্ধ হয়ে রয় ।

Friday, December 7, 2018

কলি

কলি

কবিতার ভাব আর আসেনা

ছন্দ ভুলে যায় মন
ইট পাথরের গরাদখানা
ভাঙে বুঝি বা কখন ।

হৃদয় শুধু পাথর-চাপা

মুখে শুষ্ক হাসি
কন্ঠ আসে বন্ধ হয়ে 
বলতে - ভালবাসি ।

মুখে মধু হৃদয়ে বিষ

কথায় করি মাত
রাতকে করি দিন , আর
দিনকে করি রাত ।

প্রেম

প্রেম

তোমার কাছে শিখেছি
প্রথম প্রেমের আবেশ
যুবতীর থরথরি কম্পন
অনুভব করেছি শিরায় শিরায়
রক্তরাঙা যৌবন-মদে মত্ত তুমি
রাঙিয়েছ ওষ্ঠের পরশে
শরীরের কোষে কোষে
জেগেছে ভীষণ অনুভূতি
আদিম প্রবৃত্তি গ্রাস করেছে
ধীরে ধীরে
নিথর মরুর উষ্ণ ধুলো উড়িয়ে
তপ্ত করেছ আমায় ।

Wednesday, December 5, 2018

স্বপ্ন

স্বপ্ন

স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা আমার
স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা
স্বপ্ন নিয়েই জীবন আমার
স্বপ্নে কাঁদা হাসা
স্বপ্ন আমার স্বপ্ন তোমার
স্বপ্ন জীবন বেদ
স্বপ্ন পূরণ হয়না জানি
তাইতো মনে খেদ
স্বপ্নে যদি এত মধু
স্বপ্নে যদি রাজা
স্বপ্ন তবে কাম্য আমার
হোক না স্বপ্ন গাঁজা ।

ইঙ্গিত

ইঙ্গিত

চারিদিকে শ্রান্তির নিঃস্তব্ধতা
অন্ধকারে --

ক্ষুধার্ত প্যাঁচার উল্লসিত চিৎকার
বাদুরের ঝটপটানি
মোমবাতির অস্পষ্ট আলোয়
অস্পষ্টভাবে দেখা এর ওর মুখ


ঝুঁকে পড়া আকাশ

নুয়ে পড়া
কুজো মানুষগুলোকে কি যেন বলতে চায়

গাঢ় অন্ধকার আকাশে

দু-একটা আলোর বিন্দু

হতাশা আরো বেশি প্রকটিত করে ।

ভুলে যাবে নাতো

ভুলে যাবে নাতো

পড়ন্ত বিকেলে একদিন

গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে
শুনতে পেলাম অনুরনন --
"আমায় ভুলে যাবে নাতো "...
আকাশের দিকে তাকালাম
পান্ডুর চোখদুটো পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে
গঙ্গার প্রসস্ত বুকে
একখানি শুশুক
একবার করে মাথা তুলে বলছে --
" কথা দাও , ভুলবে না "
ঘাটের পাথরগুলিতে ধাক্কা খেয়ে
ফিরে যাচ্ছে কথা 
" ভুলবে না -- ভুলবে না -- "

দূরে পশ্চিমে

রক্তলাল জলের মাঝখান থেকে
বুক চিরে উঠে আসছে
একটি মুখ
দু-চোখে উদ্বেগ
" আমায় ভুলে যাবে না তো -- " ।

Tuesday, December 4, 2018

সাধ

সাধ

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে

শিউলির সুগন্ধী হয়ে

ছড়িয়ে যাই ভুবনে
প্রশান্ত স্নিগ্ধতাটুকু
দিয়ে যাই
সবার মনে মনে



পরক্ষণে -- 

ভাবি মনে
শিউলির গন্ধ
সে যে সাময়িক
সূর্যোদয়ের তেজোপ্রভায়
মুছে যায় তার আবেশ
আবার সন্ধিক্ষণে
ঝরে যায় মাটিতে
ঘটে জীবনাবসান ।


কখনো আবার ইচ্ছে হয় মনে

চাঁদ - সূর্যের মিলিত আকর্ষণে

জোয়ারের মত
ফুলে ফেঁপে উঠে
প্লাবিত করে যাই বিশ্ব
ম্লান করে দিই
পৃথিবীর ঘরে ঘরে
শোক তাপ যন্ত্রনার বেদনা


উপহাস করে ঐ বুড়ো সূর্যটা

Sunday, December 2, 2018

কল্প

কল্প

বনের ঐ গাছের মাথায়
কত যে রঙের খেলা
কখনো লাল বজরার
দিগন্ত জুড়ে চলা
কখনো সাদা পানসি
কেটে চলে মেঘের স্রোত
কখনো আকাশ জুড়ে
গড়িয়ে চলে স্বর্গরথ


বনের ঐ গাছের পাতায়
কত যে সুরের দোল
কখনো বাজায় বাঁশি
কখনো বাজে মাদল
কখনো সেতার বাজে
বনের ঐ প্রান্তরে
কত না সুরের খেলা
পাতার ঐ মর্মরে ।