Friday, August 31, 2018

নির্বাসন

  নির্বাসন

আমাদের শিরায় শিরায়
বইছে নিষিদ্ধ রক্ত
তাইতো নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি
আকর্ষণ এত প্রবল ।
আমরা সন্তান সেই -
আদম আর ইভের
তাই -
অজানাকে জানার ইচ্ছে প্রবল ।
কুটিলচক্রী প্রানীরাকত সহজেই
আমাদের কান ভারী  করে       
 ভুলে যাই আমাদের মনুষ্যত্ব , 
ভুলে যাই আমাদের অধিকার ।
তাই -
হাত বাড়াই নিষিদ্ধ  গাছের দিকে ।
পদে পদে নির্বাসিত হই আমরা
স্রষ্টার কাছ থেকে ।

ছেলেবেলার কাটুমকুটুম


ছেলেবেলার কাটুমকুটুম

ছেলেবেলার সেদিনগুলো
ছিল কত রঙীন
রঙফানুষে ভেসে যেতাম
স্বপ্ন নিয়ে সেদিন 
স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন
আপনি মাষ্টারমশাই
স্বপ্নভেলায় কাটুমকুটুম
কোথায় ভেসে যাই
হয়নি দেখা অনেক কিছুই
দেশবিদেশে গিয়ে
আপনার বলা চিত্রকথায়
সবই যেত মিলে
মনে মনে ভেবেছিলাম
যেদিন বড় হব
আপনার মত ঞ্জানসাগরে
ঠিক পারি দেব
দেশবিদেশ আর দূর রবে না
যেদিন কাছে যাব
এমনি কি আর থাকব নাকি 
ঠিকই বড় হব ।

Wednesday, August 29, 2018

উড়ণ্ত চিল

উড়ণ্ত চিল


উড়ণ্ত চিল তুমি -
পাখা মেলো নীল আকাশের বুকে
কত সুখ কত দুঃখ পৃথিবীর বুকে
রাখ কী খবর কোনো ?

এখানে মানুষ জন্মে মানুষ মরে
ভাগারের কোনে পড়ে থাকে মরা প্রাণী
স্নেহ ভালবাসায় জড়িয়ে থাকে গাছপালা
আবার সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি
ভেঙে দেয় মানুষের মন ।

এখানে ফুল ফোটে নানা রঙের
এখানে পাকা ফল টুপ করে পড়ে মাটিতে
এখানে মানুষ মানুষকে খুন করে
এখানে ব্যাঙ খায় সাপে ।

অনুভূতি


অনুভূতি



          যেখানে যতদূরে তাকাই ঘুরেফিরে

তোমারই প্রতিচ্ছবি দেখি ।
ঘাস পাতা ফুল চাঁদ , হোক না গহন রাত
সবখানে তোমার মুখ আঁকি ।
রাতের নক্ষত্ররাজি ক্লান্ত শ্রান্ত আজি
মিটিমিটি করে শুধু চায়
নীরব ভাষা তার সব কথা বোঝা ভার
বলে যেন -' আয় , কাছে আয় ।'

জীবন

জীবন

আশ্বিনের ভোরে
শিউলির বনে
কারা গান গায় 
বাঁশি বাজায়
মন আমার হয়েছে
আজ পাগলপারা ।


বানভাসি মানুষের
হাহাকার রব
নিরাশ্রয় চোখের
করুন দৃষ্টি
অনাহারে ক্লিষ্ট মুখে
ব্যর্থ হয়েছে আশা ।


রণক্ষেত্রে মৃত্যুবরন
উদ্বাস্তু জীবন
ঘরেতে মায়ের ক্রন্দন
পিতার হাহাকার
বারুদের গন্ধে আবিল বাতাসে
ধ্বংস করেছে স্বপ্ন ।

প্রতীক্ষা

      প্রতীক্ষা  

শরতের শুভ্র আকাশ -
দ্বিতীয়ার চাঁদ তখন মধ্য গগনে ,
ঝিরিঝিরি বাতাস তখন কুয়াশার
হালকা পরশে মৃদুমন্দ বইছে ।
রজনীগন্ধার ক্ষেতের ধারে
বসে থাকা দুটি প্রাণী ।
রজনীগন্ধার গন্ধে মোদিত বাতাস
সুরসুরি দিচ্ছিল নাকে ।
পাশাপাশি দুটি প্রাণী ,
হাতের পরে হাত ।
মন দেওয়া নেওয়ার পালা সাঙ্গ করে
অসীম মিলনের প্রতীক্ষা শুধু ।

এমনিভাবে - শুধু এমনিভাবে
আজন্ম রয়েছে বসে তারা
যুগ যুগান্তর ধরে -
বয়ে চলে সময় , কেটে যায় প্রহর ,
তবু হাতের পরে হাত , 
প্রতীক্ষা শুধু মিলনের ।

হতাশা

হতাশা          
মনের ছবি যায় না যে দেখা
না জানি আরো কত আছে লেখা
এভালে ।

স্মৃতির পরশ ছুঁয়ে চলে যায়
বেদনায় সব ফিকে হয়ে যায়
একালে ।

দিনের পরে দিন চলে যায়
প্রিয়জন শুধু দূরে চলে যায়
হালকা হাওয়ায় বেদনা জাগায় 
পাপরিগুলি ঝরে পড়ে যায়
সাতসকালে ।

যৌবন আজ কুন্ঠিত , ধুলায় শুধুই লুন্ঠিত
বৌ কথা কও শঙ্কিত , শুধু
এদিক ওদিক চায় 

Wednesday, August 15, 2018

দরিদ্র মাতা

দরিদ্র মাতা
মাগো , তোমার দারিদ্র-ক্লিষ্ট
অমন পাংশু মুখ
যতবার দেখি ব্যাথা লাগে মনে
ভেঙে যায় এই বুক
কাঁদে তোমার সন্তানেরা
একমুঠো ভাতের তরে
অক্ষম তুমি , দরিদ্র মাগো
চোখে আসে জল ভরে
তবুও প্রশান্তি তোমার সৌন্দর্য
সুধারস পানে
তবুও কোকিল মুখরিত হয়
নব অরন্যের গানে
তবুও এখানে অঞ্চল ভরে
ফোটে কত ফুল ও ফল
হোক না পৃথিবীর একভাগ স্থল
তিনভাগ লোনা জল ।

Sunday, August 5, 2018

মিলন মেলা

মিলন মেলা



নববর্ষার প্রথম ফোটাটি
সহসা আকাশ থেকে
কচিপাতার নিবিড় ডাকে
পড়ল ভূমির পরে


উচ্ছ্বসিত কচিপাতার নরম হৃদয়
পুলকে উঠল নেচে
যেন বহুদিন যেচে
প্রেম সে পেয়েছে


মিলন ডোরে উচ্ছ্বসিত
শরীরখানি তার
কাঁপছে বারে বার
আনন্দ অপার


পাতায় পাতায় প্রেমের সুধা
শিকরে মাতাল হাসি
বলছে ভালোবাসি


আকাশ পথে       বাদল বেলায়
কচি পাতার         মিলন মেলায়
বেজেছে আজ বাঁশি
ওগো , বেজেছে আজ বাঁশি ।

Thursday, August 2, 2018

সুনামি

সুনামি


প্রবল জলোচ্ছ্বাস
ঝিনুক ভাঙা সুপ্ত মধ্যরাত
চোখের কোনে বিপন্ন বিস্ময়
যোজন যোজন দূরে তোমার শুভ্রপক্ষ শপথ


শতাব্দীর বক্ষভেদী লক্ষহীন গতি
আবার জমেছে ধুলো , আবিল অশ্মক্ষুর
ক্যাকটাসে ফুটেছে ফুল , বিলম্বিত লয়
রক্ত ঝরে , ব্যাথাতুর শ্রাবন দুপুর ।

মহাকাব্য

মহাকাব্য


পর্বত শিখরে পূর্ণিমার চাঁদ
পিচ্ছিল পাথরের পাহাড়
উত্তরন অসম্ভবপ্রায়


রাজপথে জমেছে ফাঙ্গাস
কষ্টসাধ্য এ বেড়াল পার
আরো দূরে –
 বহুদূরে মাইল ফলক


তখন মধ্যরাত
দরজায় করাঘাত
অকস্মাত্ -
জোত্স্নার বন্যা ঢেউ তোলে প্রাঙ্গনে
অঙ্গন শূন্যময়


ঝাউবনে বাতাসের ঢেউ
বাতাসে লবনের স্বাদ
লবন রক্তলাল


ফুসফুসে বিষাদ
ক্লেদাক্ত শ্বাস
জীবন তবু ইউলিসিসের আশা