অস্পন্দিত
সুব্রত সেন
০৬\১১\২০২৪
পশ্চিমের জানালা খুলতেই ভেসে ওঠে
সামনের উঠোনে মেহগনি কাঠের জরাজীর্ণ ইজিচেয়ারটায়
ঝিমোছে আশি বছরের শ্যামলকান্তি দাস
দূর থেকে ভেসে আসছে সোনালি ধানের শরীর জুড়ে
পণ্ডিত ভিমসেন যোসির লোলিত রাগ...৷
কংসাবতির ঘাট ধরে হাটতে হাটতে
তাঁর ফিরে আসার কথা ভাবছিলাম
শেষ কথা হয়েছিল রাত্রির দ্বিপ্রহরে ৷
ঝলমলে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে হাসনুহানার সুগন্ধ..৷
মেঠো আলপথ ধরে হেটে চলেছি অনেকটা দূরের পথ
সঙ্গে ছিল তম্বী এক নদী
বসন্তের বাতাস বার বার স্পর্শ করতে চেয়েছে তার বুকের আঁচল৷
বৃষ্টি ভেজা শ্রাবনের পর চাঁদ উঠেছিল
ফুটেছিল রজনীগন্ধা বেল জুঁই আরো কত ফুল..৷
থমকে দাঁড়িয়েছিলাম,
বেহালার ধুন শুনতে শুনতে ঘরের চৌকাটে যখন এসে দাঁড়ালাম
নদীতটের নির্জন রাতের বালুর মতো একা নই আর এখন
কল্লোলিত মহানগরে জনতার কোলাহলে উষ্ণতার স্পর্শ ছুয়ে গেছে
অরণ্যের আকাশ জুড়ে রাশি রাশি ধর্ষিতার চিতার আগুন..
সেই নদী ক্রমশ স্মৃতির শিতল ছায়ার তরঙ্গিনী হয়ে
বেহালার ধ্বনিতে আজও অস্পন্দিত ..
No comments:
Post a Comment