' নিত্য বাঁধি যে' ঘর
বুকের কোণে', ~
---//-------আইনুল হোসেন সানু' ~
চেয়েছিলে
শব্দহীন কন্ঠে বলি,
ফিরে এসো বুকে', সেই থেকে' ই
বসি একা,
প্রতীক্ষা' র প্রহর
কি' যে' কষ্টে' র আর সে' যদি হয়
প্রিয়' অতি প্রিয়' জনের,
বোঝো তবে,...
....
অভূত,.....
সময় করি পার,
পরন্তে এই পাড় ভাঙা জীবনের !
সাথে জুড়ে থাকা এলোমেলো আত্মিক
স্বপ্ন খুঁজে ফিরি দিনভর, বিবর্ণময় যত বর্ণ
দু' হাতে কুড়িয়ে ফিরি সযতনে,
কুরুক্ষেত্র হবে ভেবে
বর্ণের সাথে মিলিয়ে বর্ণ গড়ি
পংক্তি আর
পংক্তি' তে পংক্তি যোগে
করতে গঠন অযাচিত ভিন্ন গল্পের
ধারা এক, অনাহূত
এই জীবনের .....
গভীর
হতে গভীরে
কখনও বা' প্রয়োজন ছেড়ে
অপ্রয়োজনে নেমে আরও নীচে কিংবা
তারও অতি গভীরে গিয়ে খুঁজি
করতে যাচাই
ভিন্নতর শব্দের মানে কেবলই
জীবনের প্রয়োজনে ......
তবুও সে'
অপ্রয়োজনেই ঘুরেফিরে
প্রশ্নে প্রশ্নে কেবলই বিদ্ধ আমায়,
না দেয় স্বস্তি বিন্দু, একটুও ঘুমোতে ?
এক মূহুর্ত না' মিলতে' একত্রে
পাতা দু' চোখে' র,
হোক' না' রাত্রি গভীর হোক'
সে' যতই গম্ভীর .......
কোথা'
হতে শুরু
কোথা' গিয়ে শেষ
না বোধি অযাচিত ব্যাথার
খচখচানি মনে-তে, আকুলি বিকুলি
সারাক্ষণ এ' পাশ ওপাশ,
বুকের ভিতর তড়িৎ প্রবাহ নিরব
ছুটোছুটি প্রাণ বাধ্য করে
মানতে.....
তীক্ষ্ণ তায়
রই পেতে কান ক্ষীণ' শুনি
তান্ডব খেলা ভাঙনের,
সশব্দে
প্রতিনিয়ত ভাঙছে কূল
হুঙ্কারে হচ্ছে সাবার, এ' পাড়
ওপারে মানছে না' নিয়ম না বিধি
নিষেধ কেউ-ই, চলছে যে' যার ইচ্ছে মত
অতি গোপনে,
গড়তে জীবন
নিবিড় মমতায় রোধিতে ভাঙন
সামনে পিছন অহেতুক ঝুট ঝামেলায়
কাটে বেলা',
অন্তর্নিহিতে
ভুলে সৃষ্ট অদৃশ্য ক্ষত
ক্রমশ সংক্রমিত, ছড়ায়' সংক্রমণ
সমস্ত দেহময় পৌঁছে গভীরে আরও
গভীরতার আরও একটু গভীরের ঐ
অতি গহীনে ....
প্রতিরোধ
প্রতিহতের ঠিক নাগালের
যেন' বাহিরে
চঞ্চল যদি হয় মন, তবে
তারে শাসিবে কি' করে তখন,? কেন
সে' আর কিসের লাগি এমন করিয়া খুঁজে
মরে ঐ অস্পৃশ্য সুখ,
বোধি
সে' কি' অনাহূত, নাকি' সে'
শুধুই মিলনের তরে .?
দিনভর
ঠিকানা হীন কাঁদিয়া
ফেরে, মনের অসুখে জাগে
নিশি একা, ধুঁকে ধুঁকে না' মরিবার
তরে কখনও সে' ঘুমের ঘোরে, সে' কি'
শুধু তৃপ্তিহীন অতৃপ্ত
অপ্রাপ্তির কারণ ?
নাকি'
নিরুপায়
অহিংস সজ্ঞানে,
পরিত্যাক্ত জেনেও পেয়ালা ঐ
বিষের
অনিচ্ছা ভরে
ইচ্ছে করেই দিচ্ছে চুমুক চুকচুক
প্রতি প্রত্যুষে' হতে বিমুখ.?
তবে কি'
এই ভেবে.?
কি' হবে বেঁচে আর
এমনি করে, পাওয়া না'
পাওয়ার ছিলো যত আশ মিটেছে
সে-তো' কবে'ই এবং সকল' ই,....
জীবন নামক
দুঃসহ
কোনো গল্পের যেন'
শেষ দৃশ্যপট ....
পৌঁছে এখন এই অন্তে
জানি' বাকী' আরও যত অগনিত
গুনাঙ্ক ঐ গুনিতের .....
নয়'
সে' তো গুনে শেষিবার
প্রাণ নাশের ধ্বংসাবশেষ যত
সে' শুধুই নিরবে দেখে সয়ে যাবার,
নয় সে'
শুধরে নেবার না বোধ
না বিবেচনা অবশিষ্ট বুঝি আজ, না
সময় এখন আকুতির.?
নেই ক্ষতি
দিস নে পাতে ভাত ! তবে,
চাই নে দিস ঐ হাতে মিশিয়ে বিষ
তাতে একটু একটু করে তুলে এই মুখে
হতে নিঃশেষ,
দোহায়
দিস নে বেঁচে থাকবার
এমন উপকরণ, যা' গিলতে
অতিশয় কষ্টের, পরিপাক উপক্ষয়
জীবিত
অথচ কঙ্কাল স্বরূপে
ঠিকরে রবে চেয়ে বিস্ফরিত
দুই চোখ', চলবে নিঃশ্বাস নামেতে,
নয়
ধুঁকেধুঁকে বেঁচে
এখন সময় কাটাবার, না
অপেক্ষা' আক্ষেপ না কালক্ষেপণ
আগত ঐ প্রতীক্ষিত
নির্মম মৃত্যু' র ......
চলন্ত
অনন্ত চলবে
গ্রীস্মের প্রখর খরতাপে, হিম
বরফ শীতার্ত শীতে দূর্বার দূর্যোগে
ঝড় ঝঞ্ঝাট ময় তীব্র বর্ষণ' মুখর দিনে
ও রাতে কোহাল ঐ রাজপথে
প্রতিনিয়ত
প্রতিমুহূর্ত ফিরবে মুখে মুখে নিপীড়ন নিপীড়িতের কথা' এই গল্পের
একটু হলেও খানিক, হোক'
ভয়ার্ত নীচু স্বরে
উদয়িত ঐ
শেষ সূর্য অস্তমিত
শেষার্ধের শেষ সময়েরও
শেষ পর্যন্ত জানি' রবে এর রেশ,...
............যা'
শেষ হতে চেয়েও
না হবে কখনওই শেষ
ক্ষণে' ক্ষণে' কেবলই মনে হবে,
এই তো' বেশ
ঝুলে ঝুলে তবু চলবে,
হবে না' কখনই ত্যাগী'-দের জীবন
গল্পের কথা' কভু শেষ .....
No comments:
Post a Comment