বিস্ময় বাতি
মীর নাজমুল।
০৮।০৫।২০২৪
এক গুচ্ছ হাহাকারে
এক চিলতে অনুদান
রাখবেনা অবদান বদনাম বৈকি।
করুণার পাত্রে জোটে না কখনো
সোনার ঘটির জল।
সে যেই হোক তুমি কিবা আমি ।
এ যে ধূসর বিবরণে মোড়া পৃথিবীর
গোলকধাঁধা শিরোনাম ।
জীবন হেতু জীবনের তরে
সময় গড়িয়ে অসময়ের বেলা।
কর্ম দিয়ে কেনা অসম্মান।
তুমি অন্য কোথাও যাও,
আমি অন্য কোথাও খুঁজে আসি
দেখে আসি,জীবনের সাতরং
গোধূলি রাঙা বিকেল
নানান রঙের দিনগুলি।
এই পৃথিবীর তল্লাটে,আর কি হবে দেখা ?
আমার অজানার চাঁদ মুখখানি।
আজ জীবন যেখানে যেমন
সেখানেই ম্লান কবির নিরব হাসি।
জীবন বিষন্নতায় কাঁদবে কি মন,
আজীবন ।
ফোরাবে না- কি বিষাদের সুর,
কষ্টের দিন গুলি ?
জীবন মানেই যুদ্ধ যখন
তখন কি হবে ভেবে আর অহর্নিশি।
শান্ত প্রদীপ জ্বেলে অশান্ত মনে
নির্বাক নিলিমায় খুঁজে নাও ...
জীবনের প্রেম,জীবনানন্দের ধ্বনি।
ওহে জীবন পরগাছা
ঢাকা কিবা কোলকাতা
কি হবে ভেবে সফলতা,এ কথা মিছে।
আমি রাজপথে দেখেছি জাগ্রত
চেতনার মৌমাছি।
দিক হারা পথিকের কন্ঠে শুনেছি
মধু মাখা সুর।
দেখেছি দুরন্ত বিবাগী মানব
খরস্রোতে বয়ে চলা নিরবধি নদী।
আমি দেখেছি কষ্টের নির্মমতা
অন্ধ মানবতায় উন্নয়নের স্রোত।
আমি দেখেছি সফলতা
উন্নয়নের পারদ,যুদ্ধ মানব।
তবে আবার কবে জয়ী হবি জীবন ?
নীল জোৎস্নার পরশে
হাসবে কবে মেঘ রাশি।
আমি ডাকি তুমি ঘুমাও
তবে আর রবনা আমি ঘরে বসি..।
অর্ধ নিমজ্জিত পতাকার মতো
আপামর পৃথিবীর বুকচিরে ।
আর কতো নোয়াবি মাথা
ওহে পথিক পথ ভোলা
দুরন্তর মানব জাতি।
ভিক্ষা নই,অনুদান নই,নই কারো শাসন,
নই জীবনের কলঙ্কিত পূর্বাপরে চেয়ে থাকা।
সেই নিশীথের কালরাত্রি বেয়ে
আজ যে হয়েছে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
পেখম মেলেছে ধরি।
সে জন চিরন্তন মানব,বাস্তববাদী।
এ হাত তোর প্রভুর দেওয়া নেয়ামত
কর্মের বাহু যোগ,শ্রেষ্ঠ মনিহার।
এবার তবে উচ্চ কর শির,
ধরাশায়ী জীবনের বারমাসি জাতি।
কালবৈশাখীর মোকাবেলায়....
তুমি নহে একলা সমুদ্র রচিত
দারিদ্র্য অতি।
কবির বর্ণনায়ঃ
আমি শৃঙ্খলার কথা বলি,
ভাবি ভিন্ন কিছু দেবো উপহার।
উত্তরণের পথে খোলা হাওয়ার আবির্ভাব
মুক্ত মনের ভালোলাগা- বৈকি ।
তোমরা সদা সত্যের পথে চলো,
কর্মের পথে হও দূর্বার।
যেথাই মঙ্গল সেথাই হোক বিনিয়োগ
তোমাদের সময় কিবা সম্পদ।
No comments:
Post a Comment