অস্তাচলের রবি
রবিন রায়
২৮ শে, বৈশাখ,,১৪৩১
হারায় গেছো ভালোবাসা,
কাল স্রোতের পাক টানে,
স্মৃতি ভরাই ছবি ;
ডুবে গেছো অতল তলে,
বৃথা আশে খুঁজে ফিরে -
কেঁদে ভাসে রবি।
খুঁজতে খুঁজতে সময় গেছে,
দেখতে দেখতে বেলা বাড়ে;
যৌবন হলো নিঃসাড় ;
বার্ধক্যে এসে জীবন ঠেকে,
অপূর্ণ থাকলো অভিসার,
ভাঙে বাঁধন মায়ার।
তোমার গায়ের জানা ঘ্রাণটা,
ভুলে গেছে আমার নাসা;
তুমি নেই যে পাশে।
কতদিন হলো বলো প্রিয়া,
তোমার থেকে আমি দূরে;
সরে আছি শেষে।
কত কাল যে আমার কর্ণ,
শ্রুত হয়নি তোমার হাতে-
বাজা কাঁকন ধ্বনি ;
শুনতে পায় কই চলার তালে -
পদ মলের নাচন কোদন -
রিনিঝিনির রুনি?
আমি ভুলে গেছি তোমার
আলতো ছোঁয়ার অনুভবটা,
শীতল হৃদয় স্পর্শি ;
স্পর্শ দূরে থাক এখন তো-
ভাগ্য দোষে দূরত্ব জেরে -
আঁখিতেও না দর্শি!
সোহাগ ভরে বলতে কথা-
মিষ্টি ঠোঁট দুটি নেড়ে,
লাগতো যে মধুর;
আজ যেন তা ভোলার জোগাড়,
বিদায় নিলো বসন্ত কোকিল,
সাথে বাসন্তীক সুর।
আমার স্পৃহা থমকে গেছে,
গতি হারা সাবেক আবেগ,
অসাড় পরেই আছি;
তোমার প্রেমের শক্তি হীনে,
আবেশ গুলো মরে গেলো,
বৃথাই আমি বাঁচি।
আমি সেইদিনই মরে গেছি,
নিজের মুখে বললে তুমি,
অন্য জন মনে ;
তিক্ত আত্মা ছুটি চায়,
বিষের ঢোক গিলতে চায়,
জীবিত কি কারণে!
তোমার হৃদয় সাগর সমান,
দিলে নোনা জলের ঝাপটা,
ধরে নয়নে জ্বালা ;
রাখো না ধরে বুকে কিছু,
পাড়ে তুলে দাও মরা,
উতল লহরি খেলা।
আমি ঘাটের মরা শক্ত,
নোনা ভরে পচি না তো;
গরম বালি পুড়ায় ;
জীর্ণ দেহ চূর্ণ হবে,
হাঁড় মাষ ঝরে ক্ষয়ে,
জীবাশ্মতা হারায়।
No comments:
Post a Comment