প্রস্তরীভূত ধ্বংসাবশেষ
লক্ষ্মী কান্ত দাস
২৯.০৭.২০২৩.
একটা অভিমানী মন ,
একটা রংচটা ফিকে জীবনের সাথে
বড্ড বেমানান ,
একটা হারানো সময়ের
নিশ্চুপ বিদ্রুপ ,
একটা মুচকি হাসির নির্মম দ্বিচারিতা ,
বিচারের আদালত পর্যন্ত পৌঁছবে না
নিশ্চিত বলা যায় ,
কিন্তু বলা যায় না --
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কোনোদিন থামবে কিনা ,
শেষতম নিঃশ্বাসটুকু পৃথিবীর বাতাসকে ছোঁয়ার আগে পর্যন্ত ।
একটা পরাজয় ,অজস্র হয়রানির অন্দরে ,
ধ্বস্ত পদাতিকের চোখেমুখে জড়িয়ে থাকে ,
যখন নিজের কান্নাগুলোকেও বিশ্বাস করতে মন চায় না ,,
তবুও হতশ্রী জীবনের বিচরণক্ষেত্রে উঠে দাঁড়াতে হয় , নিজের পা দুটোকে শক্ত করে ,
মুঠো মুঠো অবিশ্বাসকে চোয়াল শক্ত করে ,
নিজের চারপাশ বলে ,
জর্জরিত নাগপাশে এই যে মুক্তিহীনতা ,
এর সমর্থনে অকাট্য যুক্তিদের জড়ো করে ,
অবশেষের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যেতে হয়,
নিজের চোখদুটো বেঁধে ।
তারপর ছদ্মবেশী কান্নারা , দিগন্তের দিকে
উড়ে যায় , চোখের তারা ছেড়ে , আকাশের তারা হতে ,
নিজের অবিমৃষ্যকারিতার প্রত্যুত্তরে ।
তারপর একটা প্রস্তরখন্ড অনেক আগাছা ও শ্যাওলাদের বুকে জড়িয়ে ধরে
কড়ায়গন্ডায় আদায় করে নেবে স্পন্দন ।
No comments:
Post a Comment