ঘর পালালো চৈতী
মঞ্জুরুল হক তারা
চৈতীর বাপটা মরে গেছে অনেক দিন আগে
উঠতি নবীণা পথ-ঘাট চিনে না,
বারন্ত মেয়ে ঘর ছেড়ে কোথায় যায় কোথায় থাকে
অসুস্থ মা টা খবর টা রাখে না।
,
নদীর বুকে ঢেউ জাগে অস্থিরতায় কুল ভাঙ্গে ক্রুব্ধে
উত্তাল স্রোতে গভীর রাতে ভেসে যায়,
পিপাসায় তাড়নায় কুয়াশায় পথ হারায় জীবন যুদ্ধে
ভুল করে গভীর অন্ধকারে ছুটে যায়।
,
পাড়ার ছেলের হাতটি ধরে পালালো সে ঘরটি ছেড়ে
গরীব ঘরের কালো মেয়ে চৈতীরাণী,
চঞ্চল রেণু রৌদ্রের ঢলে ফুটন্ত বুকে আগুন জ্বলে বেড়ে
ডুব দেয় অন্ধকারে পারি দিতে বৈতরণী।
,
কিশোরী রং বদলায় ঢং বদলায় ঢেউ খেলে হাওয়ায়
দুরন্ত মন ঘুরে বন উড়ে বেড়ায় দূর নীলিমায়,
স্বপ্ন দেখে নিবিড়ে ঘর ছেড়ে দূরে ছুটে যায় অজানায়
হয়তো কিছু সুখ পায় নয়তো কিছু হারায়।
,
জামিন নেবে না সে না করছে আদালতের কাছে
মা কে দেখে না করছে চিনে না যে তার মা কে সে
ভালোবাসার গভীর নেশায় পথের মাঝে পথ হারায়
প্রেমের সাথে দিনরাতে থাকতে চায় জেলখানায়।
,
পথ হারালো মন্টি বাজায়ে প্রেমের ঘন্টি এ সময়
বদনাম তার রটে যায় দূর অজানায় ছুটে যায়,
বিয়ে করার তার বয়স নয় পাড়াময় কথা কয়
সকাল সন্ধ্যায় রক্ত চোক্ষে শ্বাসায় ঝড় উঠে নিন্দায়।
,
রক্ষিত ধন কাঁটা বন ছেড়ে ছুটে গেলো উড়ে
বিধবা মায়ের কান্নায় রাতের পর দিন যায়,
রান্না-বান্না বন্দ করে বসে থাকে বদ্ধ ঘরে
বাইর আর হয় না সে বসে থাকে লজ্জায়।
No comments:
Post a Comment