দূর থেকে দূরে
প্রিয় রহমান আতাউর
০৯/০৮/২০২৩
কোনো এক পাতাঝরার দিনে
আমার যাওয়া হলোনা আমখই নামের
আদিবাসী গ্রামে- বীরভূমে!
কাঁকুড় মাটির ঘর - ছনের ছাউনির
কী লীলাময় মোহময়তা-
শাল তমাল আর আর জঙ্গলের বুনোলতা
আমাকে নিয়ে যায় দূর থেকে দূরে-
আবার কখনো সখোনো
ক্রমাগত পেছনে ফিরতে থাকি আমি
ছাত্রজীবনে -
শুধু যাওয়া আসা - আঁখিজলে ভাসা ;
আমরা যখন প্রমত্তা যমুনা পেরিয়ে গেছি রাজশাহী
নৌযানে - এখন সেখানে প্রযুক্তির
নির্মল হাসি - নয়নাভিরাম যমুনা সেতু!
আহা মুলাডুলি, দিলপাশার
কী চমৎকার স্টেশনের নাম!
উত্তাল নব্বইয়ের দশকে ভার্সিটির পড়ার
সমাপ্তি ঘটে -
তারপর এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমা - যেখানেই যাই
অন্তরে দীপ্তমান - রাবির দর্শন বিভাগ-
যেখানে এসেছিলেন রাঢ়বঙ্গের এক জ্যোতির্ময় পুরুষ
হাসান আজিজুল হক- প্রিয় শিক্ষক
তিনিও হারিয়ে গেলেন - অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে -
কত স্মৃতি, কত মায়া!
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাবা চুপি চুপি বলে-
কবরে একা একা ভালো লাগেনা বাপ - আসিস না তো এদিকে আর!
আমার চোখ ভিজে যায়- হাও মাও করে কাঁদতে থাকি। বলি- মা, কেমন আছে বাবা? তাকে কি দেখতে পাও? উত্তর আসে - নারে বাপ, এখানে কেউ কাউকে দেখতে পায়না।
তাৎক্ষণিক মহাগ্রন্থ হাতে নিই- জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠে - সুরা বনি ইস্রাইলের আয়াত- রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা!
বার বার পড়তে থাকি- ঘামতে থাকি অবিরাম :
হাস্নাহেনা আর রাতকামিনী অজস্র গন্ধ ঢেলে দেয়
সঞ্চয়নে - ঘুম আসেনা আমার!
No comments:
Post a Comment