অপেক্ষা
প্রোজ্জ্বল রায় চৌধুরী
১৯/০৭/২৩
রাতেই আসো তুমি,
তাই দরজা খুলে রেখেছিলাম রাতে।
ঘরের ভাঙা জানলা দিয়ে,
এক গোছা তাজা রজনীগন্ধার মতো,
স্বপ্রাণ জ্যোৎস্না,
এসে পড়ল আমার ঘরে।।
ঘর আমার ভরে গেল,
মায়াবী আলোয়।
সেই আলোতেই দেখেছিলাম তোমায় -
আমার ঘরে, বুকের খুব কাছে।।
সেই আবছায়া
মৃদু আলোর কণার বুকে,
যখন তুমি দাঁড়ালে এসে,
সেই মৃদু আলোতেও স্পষ্ট দেখেছিলাম -
তুমি পরেছিলে ঝকঝকে লাল শাড়ি, গরবিনীর আভরণ,
কপালে ছিল - কুমকুম।
আমার খিড়কি থেকে সিংহ দ্বার পর্যন্ত,
আনমনা পায়ে ছুটে চলে ছিলে তুমি, নূপুরে সুর তুলে,
হাত দিয়ে ছুঁয়ে খুলে দিচ্ছিলে,
আমার যা কিছু ধুলো মাখা-
বন্ধ কপাট,
আপন খেয়ালে ।।
আমার গাছের ঝরা পাতা নিয়েই
এঁকেছিলে কোজাগরী আলপনা।
আমার না বলা কথা, না শোনা বাণী ,
আপন ঠোঁটে তুলে নিয়ে
সুরে প্রাণ দিয়ে বাঁধছিলে -
আবাহনী পদাবলী।।
সে সুরে ঢেউ উঠেছিল -আমার দিগন্তে ।
তোমায় ডাকিনি আমি,
শুধু দু চোখ ভরে দেখেছিলাম তোমায়,
পাছে হারিয়ে যাও,
তাই তোমার দিক থেকে চোখ ফেরাইনি আমি।
কিন্তু ক্ষণস্থায়ী তুমি,
তোমাকে ধরে রাখব,
এমন সাধ্য কোথায় আমার ?
হারিয়ে গেলে তুমি,
হারিয়ে গেল আমার
সেই জ্যোৎস্না ভেজা রাত।
পরে,
প্রখর রোদে, নিঝুম রাতে,
বকুল ঝরা সাঁঝে - একলা অবকাশে।
খুঁজেছি তোমায় আপ্রাণ,
জীবনের সব প্রান্তে।
চোখ ধাঁধিয়ে গেছে,
তবু, তোমার দেখা পাইনি।।
তাই আজ,
সব আগল খুলে বসে আছি,
সেই মায়াবী আলোর জন্য।।
বসে আছি -- তোমার জন্য।
No comments:
Post a Comment