টাইটান নাবিক
মোস্তাক আহম্মেদ
তারিখ-২৮/০৬/২০২৩ ইং ।
আমি সিংহল দ্বীপ হতে বঙ্গোপসাগরকে দেখেছি
দেখেছি, নিকোবর আন্দামান ও আরবসাগর ।
যার জলরাশিসুধা তারই বুকচিরে যায় চলে—
যায় তারা,তার অবারিত ধারার অগণনে;
জীবন যেন বহমান সেথা নানারূপ সংগ্রামে
ও জলসীমায় থাকা ডলফিনসহ নানা শ্বাপদে ।।
স্রষ্টার রূপতার ভাঁজে আছে কোথাও জলপ্রাচীর
সে জলরাশি মিশে না—কার প্রাচীরে
সবার আঁখিকে করে দেয় সে অপলক !
সৃষ্টি যেন দোর্দন্ড প্রতাপে সেথা বড় প্রতাপশাহী
কৃঞ্চসাগর,মৃতসাগর তারা বিভাজনে প্রতাপী
বড় শিক্ষা বড় তার দর্শন তাকি আমরা জানি ? ।।
যার বুকে বিশাল অট্টালিকাসম তরঙ্গ পড়ে আঁছড়ে
জীবনতরী ও তার সাজানো বাহন চলে দুর্দান্তে
তার বুকে আরো কত কী চলে ?
দক্ষ নাবিকই তার যেন ভরসা যে সৃষ্টির সেরা ?
যার সৃষ্টিশীল ভাবনাতে রয় তাঁর ইঙ্গিত ইশারা
নাবিক যেন তাঁরই হয়ে মম প্রেরিত এক বন্ধুপ্রতীম ।।
দ্যাখ তার বিশাল গর্ভ মাঝে থরেথরে সাজানো
শোভিতয় কত না বাহারী রঙের কারুকাজ
জলডুবুরী যায় তুলতে তার সে অমূল্য রত্নরাজী ।
জেলে যায় উদরকে ভরাতে দুটো কড়ির জন্যে
যায় কেহ ডুবোযান নিয়ে আপনা শখ মেটাতে,
টাইটান নাম দিয়ে যায় চলে সে স্বপ্নবিলাসে ।।
সবকিছু স্বপ্নসাধ,স্বপ্নসম্ভার স্বপ্নবিলাস রয় মনে
চড়তে হবে সেই হিমালয়ের শীর্ষ শিখরে
উড়াতে হবে জযঝান্ডা কপালে পড়তে জয়টিকা
অভিলাষী মন দুর্জয় দুর্দমনীয় সবকিছুর ভারে !
তবুও মন অবিচল রয় সে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে
জীবন সাগরের মতো হলেও,
সেও একদা থেমে যায়----
ঠিক যেন মরণের প্রতিরূপ ছবির নির্মম চিত্রে ।।
No comments:
Post a Comment