হারিয়ে যাচ্ছে অঞ্জনা
দুলাল চন্দ্র দাস
৮/৬/২৩
অঞ্জানায় জল নেই ,নেই আর স্রোত আর,
নেই কোন জেলে মাঝি শুধুই হাহাকার।
লোকজন হেঁটে হেঁটে পার হয় নদী,
দেখিতে পারবে সবাই আসে কেহ যদি।
নদীর ভেতর ঢালেত কত বাড়ি ঘর,
জল শুকিয়ে গেছে ছোট কত চর।
দুই পাড়ে কাশবন মাঝে মাঝে আছে,
লতা পাতা জংগলে নদী ভরে গেছে।
আম বাগান বাঁশ ঝাড় পাড়েতে কত,
চেয়ে আছে নদী পানে অনাথের মত।
গাছেতে পাখি ডাকে নেই আর বিল,
ওড়ে নাতো নদীর উপর পানকৌরা চিল।
বর্ষা এলে নদীতে কিছু জল হয় ,
সারা বছর শুকনো কচুরি পানা রয়।
রবী ঠাকুর লিখে ছিলো অঞ্জনা নিয়ে,
জলংগী থেকে বেড়িয়ে পরেছে চূর্ণীতে গিয়ে।
ভাঙ্গা সেই মন্দির আর তীরে নাই,
ভক্ত এক কুকুর ছিলো নিয়েছে বিদায়।
অঞ্জনা নদীর তীরে চন্দদাহ গায়ে,
গঞ্জটা আছে সেথা শুধু দেখিতে পাই।
স্মৃতি বুঝি গেলো মুছে অঞ্জনা নদী,
এখনো বাঁচে এগিয়ে আসে সবাই যদি।
অঞ্জনা নদীর কথা সারা ভারত জানে,
পড়াতো বইতে এখন আর নাহি মনে।
No comments:
Post a Comment