বর্ষার নূপুরধ্বনী
অমর দাস।
২৫/০৬/২৩.
বর্ষারাণী তুমি ঝরে পড় পৃথ্বী মাঝে বন্ধু,
তব শ্রাবণধারা আজ করে স্নিগ্ধ এ সিন্ধু।
ঝিরিঝিরি শব্দে শুনি যে তব বারি ঝরা,
ওগো বর্ষা তুমি এসো হয়ে মম প্রেমধারা,
তব বারিধারায় পৃথ্বী উঠুক সবুজ হয়ে,
বর্ষারাণী তব ধারা ঝরুক প্রকৃতি হৃদয়ে।
স্নিগ্ধ হবে তপ্ততা যদি ঝরে পড়ো তুমি।
নব ধারায় এসোগো তুমি মোর বর্ষারাণী।
বর্ষারাণী এসো তুমি নব বঙ্গ বধূর সাজে,
তব মধু ঝর্ণাধারা মম কর্ণ কুহরে বাজে।
রূপসী বর্ষা তুমি ঝরে পড় প্রকৃতির দ্বারে,
মেঘ অশ্রু বর্ষা হয়ে শুষ্ক বৃক্ষে পড় ঝরে।
তাইতো পৃথিবী দেখো নব সাজে আজি,
নব সবুজ পত্রে সাজে এ পৃথ্বী বৃক্ষ রাজি।
আনন্দ অশ্রু বর্ষা ঝরে শ্রাবণের ধারায়।
কুলু কুলু নদী নব রূপে সিন্ধু পাণে ধায়।
বর্ষারাণী তোমার ঐ যে ঝর্ণা রঙের টানে,
পৃথ্বী কে করেছো সবুজ ভাসাও প্লাবনে।
ঝরঝর বর্ষা যেনো ললনার নূপুর ধ্বনি।
বরিষে বর্ষণধারা শুনি কর্ণে রিনিঝিনি।
মুষল বর্ষণে দিক দিগন্ত হলো জলময়,
চাষীর মুখে ফুটেছে হাসি সে আনন্দময়।
বাদল মেঘে ভরা আকাশ যে বর্ষণধারা,
পুলকিত প্রথম বর্ষণে সিক্ত হলাম মোরা।
গ্রীষ্মের দাবানলে আজ জ্বলে বঙ্গজননী,
তব বর্ষণধারায় স্নিগ্ধ করেছে এই ধরনী।
বর্ষায় ভরুক প্রকৃতি বক্ষ হে বর্ষা রাণী।
ধুয়ে মুছে যাক জীবনের যত আছে গ্লানি।
No comments:
Post a Comment