ডানা
তাপস দাস
১৫/০৬/২০২৩
বনের আঁকেবাঁকে,
ছানাপোনা সহ যত পাখি ডাকে।
চায়,থাক বজায় তাদের নিজের ডানা।
যাতে করে উড়তে রবে না মানা।
বনের রাজা বলে,
কি দুঃসাহস!
সমস্ত পাখিদের ডানাগুলি কেটে নাও।
সোনার ডানা লাগিয়ে দাও।
বাড়ে যদি বাড়ুক বনের দেনা।
তবুও রাশি রাশি হচ্ছে কেনা।
পাখিদের জন্য সোনার ডানা ।
ও পাখি,তোদের হচ্ছে বুঝি যন্ত্রনা!
হবেই তো,কাঁটা হয়েছে যে ডানা!
আর কয়টা দিন কর তোরা ব্রত,কর তোরা উপোস।
সোনার ডানায় উড়তে পারবি না সেটা কি রাজার দোষ!
আসলে সবটাই বনের পূর্ব রাজাদের ব্যর্থতা,চক্রান্ত, আর দোষ।
অপেক্ষায় কেটেছে তোদের দিন,মাস,কত কত বছর!
আরে বাবা,আর কয়েকটা জীবন আপেক্ষা কর।
কথায় বলে,যে সহ সে রয়,
একদিন এই বনটা হয়ে উঠবে স্বর্ণময়।
তাই তোদের কথায় রাজার কান দিলে হয় !
না না,বন এগিয়েছে বনান্তরে,
নতুন রাজার হাতটি ধরে,
এটা আনতেই হবে প্রকাশে, দেখাতেই হবে প্রচারে।
বনটা চলে চলুন না হয় ধারে।
সত্যি করে বলতো,পূর্ব রাজা দিয়েছিল কি একটাও তামার ডানা!
এই রাজা তো দিচ্ছে সরাসরি সোনার ডানা।
ডানা হিনা তোরা,
তাই পারছিস না উড়তে,
খাদ্য সংগ্রহ আর করতে
আর জীবনটাকে গড়তে!
কারো কারো অভিযোগ ।
কেন রে !
বনের রাজা যে তোদের মুখে তুলে দিচ্ছে খাদ্য,
তার আছে যতটা সাধ্য।
আসলে সোনা কিনতে খুব হয়ে যাচ্ছে খরচ।
তাই রাজার দেওয়া খাদ্যে কম থাকে খাদ্য রস।
বদনাম করিস!
তবুও লাইন দিয়ে সুবিধা নিতে করে না তোদের লজ্জা!
তোদের জন্য সোনার ডানায় চলছে সাজসজ্জা।
অনেকের অভিযোগ,দিনে দিনে বনে বাড়ছে হিংস্রতা।
বনের রাজা হেসে বলে, এটা আবার কি নতুন কথা!
বন্যের মধ্যে থাকতেই হবে হিংস্রতা।
শুনে ডানা কাঁটা পাখি সব,
হয়ে আছে নিরব,
কারণ,বনের কোনে কোনে,
পথ-ঘাট -দূরত্ব গুণে গুণে।
বনের সৈন্যরা দিচ্ছে হানা।
উড়তে চাওয়া পাখিদের
দিচ্ছে কেটে ডানা।
ইচ্ছে মতো উড়তে তাদের মানা।
তাদের জন্য রাজা
তাই গড়ছে সোনার ডান।
No comments:
Post a Comment