পরিবর্তন -----?
মৃণাল কান্তি রায়
আশা? সেত মরীচিকা যা কভু হবার নয়,
সুযোগবাদ কায়েম করা যা হিংসার পরিচয়।
পাপ পথে ক্রমে টানে পুণ্যের দরজায় তালা,
মানুষের মাঝে দেখ হিংসা- জিঘাংসার ভেলা।
একই রক্ত একই মাংস একই মজ্জায় তৈরি,
নর- নারী কুলে দেখ কেবল বেদনাতে বৈরি।
ভুঁড়ি যত গেছে বেড়ে ভুঁড়ি যে আরো বাড়ে,
বেদনার যে অশ্রু ভাগ গায়ে গায়েই নাড়ে।
তাইরে নাইরে না পদ্ধতি কি সুজন কি দুর্জন,
কলির প্রতাপ ঘোরে কে কারে করছে বর্জন।
সবাই বলে, " পরিবর্তন আসবে নাকি ধরায়,
সাম্যবাদের হবে লোক সম্প্রীতি থাকবে কথায়!"
এ ভাবা যে ভুল ভাবা ভুলে ভুলেই যে সন্ধ্যা,
প্রসূতিরা যে ভুলের চাকায় বলে তাই গন্ধা!
কাগজে কাগজে ছয়লাব যত কুল নারী,
বাড়ছে শুধুই বাড়ছে যত কুলের বাড়ি।
কত যে কৌশল চালু এ জন্ম কাজ ধরে,
কি শহর কি গ্রাম নগর দেখ গেছে ভরে।
মানুষ নামের মানুষ পাওয়া খুবই যে দুষ্কর,
সুকর্ম কুকর্মের মাঝে জরাজীর্ণ অন্তর!
স্বার্থ ভাব লাগাম ছাড়া কত্ত কি টানাটানি,
দেশজুড়ে একই ভাব চলছে কি হিংসে খানি।
অর্থের কু- প্রভাবে কেনা মানুষের যে মাথা,
মুখে বলে," সবাই ভাল গায়ে গায়ে কাঁদা! "
ওই ওরা যারা তারা না জানি আমরা,
বংশগতির টানাহেঁচড়া জেনে নাও তোমরা!
যারা না কিছুই জানে তারাই নাকি জানে,
কি কাল এল রে ভাব নিজ নিজ জ্ঞানে।
এই কী হে পরিবর্তন? এই কী হে সুখ?
প্রশ্ন ভাসে মনের মাঝে কেন তবে দুখ?
জেলায় জেলায় বাসে বাসে কত্ত চালে ঘেরা,
জন্ম কম্ম পেশা ভিত্তিক কুলে কুলেই বেড়া!
টাকার হিসেব- নিকেশ আয়ন আর বায়ন,
কত্ত ভাবে কত্ত কাজে কত্ত কৌশল যাপন।
কৌশলের কি বলি হারি গণহারে রচা,
একে অন্যের দোষাদোষি ওরাই যে পঁচা।
আসলে যে পঁচা কারা বলার উপায় নাই,
কানে তালা মুখে তালা শুধুই দেখে যাই।
তপোবনে বিভক্তির চাপ কত্ত কত্ত ভাবে,
মীমাংসার জাদুমন্ত্র সীল- স্বাক্ষর প্রভাবে।
অধুনার যত্ত বসতগুলো দেখ আজ ভোগে,
নাম পাতানো কাজ দাপানো বংশগতি রোগে।
একবিংশে শুরু হওয়া যেই নীতির মহরা,
শিষ্টের দমন দুষ্টের পালন সনাক্তের কি তাড়া!
পরিবর্তন আনতে হোলে মনের পরিবর্তন চাই,
নয়তো অরণ্যে রোদন বসুমতী! দেখে যাও তাই!
কপিরাইটঃসংরক্ষিত
নাম ও প্রকৃত আইডি থেকে প্রচারিত
No comments:
Post a Comment