কবিতারা
কাকলী
২০/০৩/২৩
যখন আগুন জ্বলে বসন্তের বুকে,
যখন ফাগুন উড়ে শিমুলের ডালে,
নিভে আসা সূর্যকে সাক্ষী করে,
কিছু কথা ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় পাখিরা ঘরে,
ঠিক তখনই ঠিক তখনই আসে কবিতারা,
ধীর পায়ে মেঘের কোল ঘেঁসে,
রাত বাড়লে শহর যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,
ঠিক তখনই কবিতারা জেগে ওঠে চাঁদের আলোর সাথে,
দূর বহুদূর থেকে ভেসে আসা সঙ্গীতের মূর্ছনায় সাথে,
শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয় রক্তস্রোতের সাথে,
আবার কখনো হারিয়ে যায় কুয়াশা ঘেরা পাহাড়ি পথে,
ধাপে ধাপে কুয়াশা রেখে যায় সূর্যের অপেক্ষাতে,
যদি কখনো বৃষ্টি হয় মাঝরাতে,
জলের আলপনা কাঁচের শার্শিতে,
কবিতা তখন ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে,
হাজার বছরের জমে থাকা যন্ত্রণার সাথে,
উড়ে যায় শুকনো পাতার মতো ঝড়ের বুকে,
অস্তিত্বহীন কাঠামোয় নিজের অস্তিত্ব খুঁজে নিতে,
ভিজে যাওয়া অনুভূতি গুলো শব্দের বাঁধনে বেঁধে,
জেগে ওঠে কবিতারা জ্বলন্ত হৃদয় থেকে,
শত সহস্র বছরের কল্পনার জাল ভেদ করে,
ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা জানলায় জোৎস্নায় ভিজে ভিজে,
আবার কবিতারা হারিয়েও যায়, জীবন পথের বাঁকে,
কোনো এক অচেনা রাস্তাতে হাত ছেড়ে দেওয়া স্বপ্নের ডাকে,
হারিয়ে যায় জীবন থেকে নোনা জলে ভেসে ভেসে,
ঘুমিয়ে পড়ে কবরে গভীর নিদ্রাতে চিরকালের তরে।
1 comment:
সুন্দর
Post a Comment