নিমন্ত্রণ
আমার শহরে
আইনুল হোসেন সানু
চিঠি-তে
দিয়েছি নিমন্ত্রণ
বহুবার, ফিরতি' লিখেছো
প্রতিবার দেরী-তে, পারবে না
আসতে নেই যে' সময় ব্যস্ত ভীষণ
কাজে-তে
জেনে
পেয়েছি কষ্ট এবং
অভিমান প্রচন্ড রকম, হীনমনে
তোমার উপর
পরের বার
চিঠি-তে একটা ই শব্দ
লিখেছিলাম পর পর তিন বার,
'আড়ি আড়ি এবং আড়ি, না সম্বোধন-এ'
না ইতি' তে কিছু'
চিঠি' টা ছেড়ে
কেঁদেছিলাম অনেক-
এই ভেবে
জানি' কাঁদবে তুমিও
চিঠি পড়ে, লিখলে উত্তরে দ্রুত
এবার আসছি অতি শীঘ্র-ই
এবং জলদি ----
ভাঙলো
অভিমান কিন্তু
ততোক্ষণে' আষাঢ়ের ঢল
বিরাম হীন বর্ষণ' অবিরাম জলে
থৈ থৈ রাস্তা ঘাট, ডুবলো শহর সাথে
বাড়ি ঘর !
বাড়লো চিন্তা
কি' করি কি' করি, ভেবে মরি
দিন রাত, দু'দিন বাদেই পেলাম চিঠি
ফের হাতে' র লিখা তোমার
লিখেছো,
ভীষণ জ্বর আরও লিখেছো,
আসি' না হয় ক'দিন পর ? প্লীজ....
চিঠি পড়ে,
ঘাম দিয়ে ছাড়লো যেন'
আমারও জ্বর, বাঁচলাম অন্তত
এ' যাত্রা' হাঁফ ছেড়ে ---
ভেবে মরি
কি করে লিখি সত্য' টা
তোমায় আজ,! চাই না, কোনো দিন
আসো শহরে' আমার এসে যদি
দেখো বিকৃত রূপ হেথা'
জীবনে' র ----
জল
নামতে না নামতেই
ঘটলো বিপত্তি জন জীবনে
মিছিলের ঢল থৈ থৈ রাজপথ বিরামহীন গুলি বর্ষণ অবিরাম
হেথা-সেথা লাশ
কচি প্রাণের ঝরা তাজা রক্তে
ভিজে পিচ্ছিল পথ ঘাট
থোকা থোকা
জমাট রক্ত এখনও লেপ্টে
শহুরে রাস্তার কালো পিচে ফুটপাত কংক্রিটে কালচে রক্তের দাগ
না এখনও মুছে...
নেই নাওয়া খাওয়া না ঘুম
কারো চোখে, বিচ্ছিন্ন সংযোগ যোগাযোগের উৎকন্ঠায় কাটে এখন দিনরাত প্রতি জীবনের ----
শোকের মাতন
প্রতি ঘরে, না চড়ে উনানে হাড়ি
কারো বাড়ি আজ
আমার
শহর এখন
লংকা ঐ রাবণে' র, খুন্তা
হাতে দখলে বানরের, লেলিহান
শিখা জ্বালে উত্তপ্ত মরুর বালু, স্পর্শে পায়ের তলাতে ফোস্কা পড়ে !
অস্পৃশ্য'
কালো ধোঁয়া আর
পঁচা গন্ধ' ইথারে, আগ্নেয়গিরি' র
লাভা চোখেমুখে, হিংস্রতা' য় হায়নাও
হার মানে, দুমড়ে মুচড়ে কচি প্রাণ গুলো কুঁকড়ে ভয়ে ঐ আয়না ঘরে ---
তবু
রুখে দাঁড়ায় প্রাণপণ
যাচ্ছে লড়ে খালি হাতে !
দোহায়,
তুমি এ'সো-না এই
ক্ষণে আজ, তুমি 'অতিথী'
চাই না দেখে মুখ লুকাও এবং
নিজে ই লজ্জা পাও ......
No comments:
Post a Comment