প্রেম
নিবারণ চন্দ্র দাস
১২/০৭/২০২৪
কবিতা লিখতে চাইনি কোনদিন,
প্রতিবাদী হয়ে রই বাড়াই না ঋণ।
পথের 'পরে মানুষের বাস দেখি,
তোমাদের গণদেবতা-প্রেম বুঝি,মেকি।
খনিতে শ্রমিক নিরাপত্তাহীন,
ক্রোধ জমা করে লিখে রাখি প্রতিদিন।
কবিতার আমি নইতো প্রেমিক মোটে,
প্রতিবাদগুলো কবিতা হয়েই ফোটে।
যখন তোমার লুটপাট বল্গাহীন,
ক্ষেপে উঠে লিখি সেই কথা প্রতিদিন।
সবাই সেগুলো কবিতা হিসেবে পড়ে,
আসন তোমার হয়ে যায় নড়বড়ে।
দান ধ্যান আর খেলা মেলা উৎসব,
চাপা পড়ে যায় প্রতিবাদীদের রব।
তখনই ঝলসে মোর মসি-তরবারি,
লিখে রেখে যাই কিছু কথা দরকারি।
ভূমিহীন যত মুটে মজুরের দল,
আমায় লিখিয়ে নয়,দেয় মনোবল।
ওদের মাঝেই খুঁজে ফিরি আপনায়,
লিখে রাখি যেথা ঘটে যত মাৎস্যন্যায়।
তোমরা যখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলো,
কান্না-ধ্বংস,চারিদিক এলোমেলো।
তখন আমার লেখনীটা কথা বলে,
উগরায় ক্ষোভ কবিতা লেখার ছলে।
কবিতা প্রেমিক হতে চাই একদিন,
শোধ করে দিতে জমে থাকা কিছু ঋণ।
তোমরা আমায় বলো না কো কভু কবি,
এঁকে রেখে যাই অত্যাচারের নির্মম জলছবি।
আসবে সেদিন,তোমারও বিচার হবে,
নিথর পাষাণ ন্যায়ের নিয়ম ক'বে।
দেখে নিও তুমি তোমার এই অনাচার,
পাবেনা রেহাই,হবেই হবে বিচার।
No comments:
Post a Comment