আপন-আপন কাজে
মৃণাল কান্তি রায়
০১/০৫/২০২৪
ভিখ মাঙেন যিনি যখন
তিনি হলেন ভিক্ষুক,
দীক্ষা দেন যিনি যখন
তিনি হলেন দীক্ষুক।
দীক্ষার ধরণ বিভিন্ন হয়
কাজ মানেই বিচার,
দীক্ষিত জন যা কিছু করেন
তখন তা-ই আচার।
ভালো কাজে প্রলুব্ধ হলে
ফলটি থাকে ভালো,
খারাপ কাজে প্রলুব্ধ হলে
কাজটির ফল কালো।
কেবল শুধু ধর্মই নয়
সব কাজেতেই দীক্ষা,
গুরু-গুর্বি তাইতো থাকেন
নিতে হয়তো শিক্ষা।
সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনে
সকল শ্রেণীর পেশা,
যারা দেখান পথের স্বরূপ
তারাই দেখান দিশা।
অকাজকে কাজ না বলে
অকাজ শেখান যারা,
তারাই হলেন ভবের ঘুঘু
খারাপ বানান তারা।
পীর আউলিয়া দরবেশ ফকির
গোড়ায় ছিলেন যাঁরা,
তাঁদের নামে সিরণি চলে
পথের দিশায় তাঁরা।
গুরু নামের যত অবদূত
এসেছিলেন এ ধরায়,
বর্ষপঞ্জি খুললে পরে
নাম ছবিগুলো দেখায়।
হালের চিত্র বদলে গেছে
কুজরামি যার প্রধান,
ডুব ঘাউ আর বোটকা নীতির
যত আদান-প্রদান।
আগেকার দীক্ষায় পড়েছে ভাটা
নগদের দীক্ষায় চতুরতা,
পীর-গুরুদের শিষ্য-মুরিদরা
স্বার্থের লেজগির প্রবণতা।
উদার মন উদার চিন্তন
পুরোটাই উবে গিয়েছে,
মনের মাঝে সবার যেন
মরিচা ঠিক ধরেছে।
যে আছে যেমনি স্বভাবের
পরকেও ভাবে সাঁই,
দেশজুড়ে যেন স্বত্ব নীতির
প্রতাপ চলছে তা-ই!
স্বত্ব বিলোপ স্বত্ব আরোপ
যা-ই নিয়ে কাড়াকাড়ি,
সে-ই সুযোগে সুফির পালে
মুক্তি পেল তাড়াতাড়ি।
লেজগি পেজগি দিয়েই যারা
মেতেছে যেন বন্দনায়,
চালাক-চতুর বুদ্ধিমত্তা
দেখ হালের জামানায়!
কেউ কাউরে মানতে চায় না
নিজকে ভাবে সেরা,
বলতে গেলেই পল্টি মারায়
বানিয়ে ফেলায় ভেরা।
গাধার পিঠে বোচকা রেখে
সব সেয়ানারা মুক্ত,
দীক্ষা শিক্ষার ভিক্ষা নীতি
সব কাজেতেই উক্ত।
ডুব ঘাউ আর বোটকা নীতির
ফোল পোটকারা ফোল,
যত পারিস কুৎসা গীবত
বাঁধাস যারাই গোল।
যেদিন পড়বি যেটায় ফাঁদে
চরকা থেমে যাবে,
কাফন কাপড় ছাড়া কিছু
সাথে না কিছু পাবে!
যারা দেখবি চলে গিয়েছে
কে কি নিয়ে গেলো,
ভালো-মন্দের মেশাল বুনে
যারা স্বার্থ তুলে নিল।
এমন শিক্ষা এমন দীক্ষা
মুরিদ-শিষ্যদের মাঝে,
আপন প্রাণ বাঁচারে সবাই
আপন আপন কাজে।
No comments:
Post a Comment