ঠাকুর রবি
তন্ময় আঢ্য
----------------
তুমি বিরাজমান মনের অন্তরে কবিগুরু স্মরণে,
হৃদয়ের গভীরে তোমাকে রেখেছি আমরা যতনে।
মন খারাপে তোমার গানে মুগ্ধ করো হে প্রাণে,
তোমার কথায় তোমার সুরের জাদুতে মুগ্ধতা আনে।
তোমাকে নিয়ে গর্বিত মোরা নেই কোনো বিদ্বেষ,
তুমি ছিলে বলেই কথা-সুরে এগিয়ে রয়েছে দেশ।
তুমি শিশুদের গুরুদেব- বড়দের তুমি বিশ্বকবি,
তোমার ছড়া পাঠ করে শিশুরা বলে ঠাকুর রবি।
গানে-ছড়ায় এভাবেই মাতি- নিয়ে তোমাকে কবি,
তুমি আমাদের হৃদয়ের কবি প্রিয় ঠাকুর রবি।
তুমি ছিলে বলে এই দুঃসময় আনন্দে করেছি পার,
গানে-কবিতায় মগ্ন থেকেছি ভুলিনি একটিবার।
তুমি আমার প্রিয় কবি তুমি আমার রবীন্দ্রনাথ,
প্রেরণা তুমি জোগাও- প্রনাম তোমায় প্রাণনাথ।
*****************************************
আজ আমায় রবীন্দ্রনাথে পেয়েছে
----------------------------------------------
শ্যামল মিশ্র
-----------------
সকাল থেকেই আজ আমায়
রবীন্দ্রনাথে পেয়ে বসেছে
সঞ্চয়িতার পাতা থেকে কখন যেন
আমার কলমে, আমার অস্তিত্বে মিশে
তুমি আমায় নিয়ে চলেছ
এ কোন জগতে?
হঠাৎ আবিষ্কার করলুম,
পৌঁছে গেছি এক ইস্টিশনে
ধরা যাক, নাম তার শ্রয়ণ
কত পথহারাদের আশ্রয় সে,
কিন্তু কী ভীষণ স্তব্ধ আজ!!
নামহীন লেফাফার মতো গন্তব্যে হারিয়ে গেছে।
তোমার কথায় মনে হল
"চিত্রকরের বিশ্বভুবন খানি
এই কথাটাই নিলেম মনে মানি।"
আসলে কবীন্দ্র,
তোমায় আমি কি করে ভুলি বলতো!
তোমার এই ইস্টিশনে একদিন রেলগাড়ির কামরায় তো দেখেছিলেম
সেই মেয়েকে
"চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে",
যৌবনের প্রথম প্রভাতে।
চোখ বুজলেই
হে কবীন্দ্র!
তোমার পরশ খুঁজে মরি
আঁধারে যে তোমায় পেল
আলোতে যেন তা হারিয়ে যায়।
তুমি আমার সমস্ত সত্তার মধ্যে
আমার প্রেম,ভালোবাসা যন্ত্রণার মধ্যে----
তুমি কী ভীষণ সত্য
হে কবি।
সময়ের সাথে সাথে তুমি যেন
ভিন্ন রূপে, ভিন্ন স্বাদে দেখা দাও,
চিনতে শেখাও সত্যের রূপ
রূপাতীত সুন্দরকে
"সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম---
সে কখনো করে না বঞ্চনা"।
***************************
অন্তরে গুরুদেব
------------------------
ব্যোমকেশ গঙ্গোপাধ্যায়
---------------------------------------
আছো অন্তর , বিশ্ববহ্মান্ডে, চিরস্মরণে,
বারিধারা মাঝে,মৃত্তিকায় ও মননে,
আছো তুমি গুরুদেব প্রতিটি কোণে ও ক্ষণে,
নিবাস তব, মম হৃদাসনে, মনে ও প্রাণে,
জলস্থলে অন্তরীক্ষে বৃষ্টির দৃষ্টি বদনে,
পাই মোহ-মায়ার চির প্রেমবাঁধনে ,
পরশ পাই প্রতিক্ষণে, নবসৃষ্টি ও প্রজন্মে,
দক্ষিণা বায়ে তব মুরতি,বিকাশিত নয়নে।
দর্শনে পূর্ণ মন,আজি পূণ্য উচ্ছ্বাস প্রাণে,
স্পর্শ প্রতিটি কণায় পাই প্রতিটি লেখনে,
রবি,শশী,তারকারাজি আছে তব মননে,
তব লেখনী মাঝে আছো বেঁচে,মরণি মরণে।
বৃক্ষ শাখা ফুল-ফল ভরা প্রকৃতির প্রাণে,
চারুলতায় বায়ুর নাচন নবাত্মার স্পন্দনে,
তব লেখনী চির অক্ষয় মম বিশ্বহৃদাসনে,
হারাতে চাই না, রাখি তোমায় সদা স্মরণে।
আশার প্রদীপ জ্বালি চেয়ে তব পানে,
জীবন নদে আদি অন্ত কিছুই যে জানিনে,
তোমার কবিতা,গানে বাঁচি মননে, জীবনে,
সদা স্মরি, প্রণাম সর্বান্তকরণে তব চরণে।
**************************************
আমার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ
----------------------------------
সুকুমার ঘোষ
---------------------
আমার হয়ে সবার হলে তাই তো তুমি রবি । তোমার আলো দশ দিকেতে তুমি বিশ্বকবি ।।
গানে ভুবন ভরিয়ে দিলে , নৃত্যে বরণডালা । কবিতা আর ছোট গল্পে আনলে জয়ের মালা ।।
উপন্যাস আর নাটকেতে নতুন পথের বাঁক । নোবেল জয়ে পড়ে গেল চারদিকে হাঁকডাক ।।
আধুনিক আর প্রাচীন সাহিত্য দুইয়েতেই সেরা । প্রবন্ধেতে সবাই মাতে যেন উত্সবে দশেরা ।।
কাটাকাটি করতে গিয়ে আঁকলে হিজিবিজি । তা থেকেই হয়ে গেল অবাক করা ছবি ।।
শিশুর কথা ভেবে তুমি লিখলে ' সহজ পাঠ '। বিশ্বভারতী গড়লে যেথায় ভুবনডাঙার মাঠ ।।
বৈশাখ এলে তোমার জন্ম- জয়ন্তী উত্সব । শ্রাবণ এলে বিয়োগ ব্যথা হয় গো অনুভব ।।
উপনিষদ- চেতনা জাগিয়ে দিলে প্রাণে । সীমা- অসীম দ্বন্দ্ব নিয়ে কেবল দড়ি টানে ।।
বাংলা ভাষায় মধু পেয়ে বিশ্ববাসী মাতে ।
তুমি আছো দুই বাংলার জাতীয় সংগীতে ।।
****************************************
কবিগুরু
--------------
সমীর দাস
---------------------------
রবি গুরু কবি গুরু কবীন্দ্র ঠাকুর
তব করে ওঠে ভরে ভাষা সংস্কৃতি
লেখা কত শত শত রচনা মধুর
নমি তবে শ্রদ্ধা ভরে বাংলার কৃতি
অনুভবে কত ভাবে কবিতা লিখেছ
রচনায় ভরা তায় সহস্র ভাবনা
কত সুরে কত তালে গান গেয়ে গেছ
শিল্প সাহিত্য কলায় নতুন চেতনা
শিক্ষা ধর্ম সামাজিক কত চিন্তাধারা
দেশপ্রেমে এনে ছিলে নব জাগরণ
নিরন্তর এ অন্তরে বহে তব ধারা
তব ধ্যান অবদান রবে আমরণ
প্রণমি রবীন্দ্রনাথ সচেষ্ট সাধনে
গুরুদেব তুমি আছ সর্বক্ষণ মনে
-------------------------------------
সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র
----------------------------------
উমা মুখার্জী
----------------------------
তোমার লেখা আছে ছুঁয়ে বিশ্ব ভুবন মাঝে,
তোমার গানে প্রাণে লাগে দোলা সকাল সাঁঝে।
আলোকের ঝর্ণা ধারায় তুমি ভাসাও প্রাণ,
তোমার লেখনীর মাঝে পাই নবীনের জয়গান।
হাসি, আনন্দ, বিরহ, প্রেম, সূক্ষ্ম অনুভূতিতে মিশে,
প্রকাশ করেছো মনের ভাষা যাতে প্রাণ পাই শেষে।
সাথী হারা একলা পথের দিশার সন্ধানী তুমি,
তোমার সৃষ্টির মহত্বে তোমারেই শুধু নমি।
সহজপাঠ, গীতাঞ্জলি, গীতবিতানের অবদানে,
বিশ্ব মাঝে পেয়েছো স্থান নোবেল সম্মানে।
সাহিত্যের চিদাকাশে তুমি রবির কিরণ,
তোমার লেখনীর ছোঁয়ায় হয়েছে দ্যুতি বিচ্ছরণ।
বছরে প্রথম পঁচিশে বৈশাখ হয়েছিলে অবতীর্ণ,
ঐশ্বরিক ক্ষমতায় আসীন হয়ে হলে যুগাতীর্ণ।।
*****************************************
গুরু প্রণাম
-----------------
ধীরেন গোস্বামী।
--------------------------
মানব জীবনের চলার পথে
মাথায় সবার মস্ত বোঝা,
তারই মাঝে কবিগুরুর গানে
গুরুর চরণ করছি পূজা।
সেই আলোকে আলোকিত হয়ে
লিখছে সকল লেখক-কবি,
সমুখে সাজিয়ে রেখে কবি গুরুর
ফ্রেমে বাঁধানো মস্ত ছবি।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ভারত সূর্য
বিশ্বকবি বিশ্বশ্রেষ্ঠ কবিগুরু,
সেই চরণে জানিয়ে ভক্তি প্রণাম
আমরা করি প্রভাত শুরু।
অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন বলে
আজও সারা বিশ্বের প্রিয়,
সকল হৃদয়ে চির অমর বিশ্বকবি
কবিগুরু এক ও অদ্বিতীয়।
রবি
----------
অরিজিৎ ঘোষ
-----------------------------
অবর্ণনীয়,অতুলনীয়,অপার্থিব সে,
তাই বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মেটাবার,
তৃষ্ণাটা থাক চিরকাল,
অমরত্বের মহাকাল।
প্রতিদ্বন্দ্বীর অন্বেষণে বৃথাই কালক্ষেপ,
সে কবিতা লেখেই না কোনোদিন,
তার কথিত কথাই কবিতা,
সবই কবিতার আস্বাদ।
সে একাই,তাকে ঘিরেই সবের আবর্তন,
তারই প্রহরায় অনেক গ্রহ,উপগ্রহ,
তারই আশ্রিত জনেরা কবি,
সে তাই মহৎ মহাকবি।
তার তুলনা সে নিজেই,নিজেরই বিরোধিতা,
তাকে উপমায় টানা আমাদের দুর্মতি,
তুলনা বা উপমা সবই নিষ্ফলা,
সেই আকাশের ধ্রুবতারা।
সে কবিতায়,গানে,রসালাপে,সতত মহিমাময়,
সে তোমারি দুঃখে,যন্ত্রণায় বিরাজিত,
সে তোমারই আনন্দে,হর্ষে স্থিত,
তুমিও তাতেই নিমজ্জিত।
সে মৃত কারণ দেহত্যাগ এক মহাজাগতিক সত্য,
তার দেওয়া শেষ তাই ফেরা হবে না আর,
সে জড় ও জীবে সতত পরিব্যাপ্ত,
সে সত্যিই তাই অবিনশ্বর।
***************************
পলে জাগে কবি
-----------------------
দীপক কুমার সিংহ
----------------------------
একটা দিনের প্রতি পল
বিশ্লেষণে করি অবিকল |
বিশ্ব কবির লেখা প্রতিক্ষণে
কবিতায় জীবন বর্ণনে ||
পারো যদি করো আহরণ
সুখে শোকে হাসি ক্রন্দন |
প্রকৃতির কত সুন্দর মুহুর্ত
জীবন্ত হয় কলমে অনন্ত ||
কত গানে জাগে প্রাণ
কত মনে আসে উচাটন |
হৃদয়ের মাঝে উঠে স্পন্দন
মেঘে ভাসে প্রিয়ার বার্তামন ||
পাহাড়, নদী, সাগরের জলে
বর্ণনায় রবির কলম চলে |
আকাশ, বাতাস, ভূমি পরে
কলমে কত স্বপ্নকথা উড়ে ||
কত বিরহের কত যাতনা
জাগে কবি কলমে বন্দনা |
সে যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
প্রেরণা জোগায় আমার জাত ||
****************************
প্রণাম তোমায়
----------------------
তপন কুমার পাল
----------------------------
রবি ঠাকুর আমার কাছে প্রাণের কবি ভাই,
ইহার চেয়ে ভালো কিছু আমার জানা নাই।
জোড়াসাঁকো জন্ম যে তার বাংলা মায়ের ধন,
তার'ই লেখা গীতি গল্পে ভরে যায় যে মন।
বিশ্বের গর্ব এমন কবি কোথায় গেলে পাই,
বিশ্বকবি রবি ঠাকুর তুলনাহীন তাই।
গদ্য-পদ্য গল্প গানে সাহিত্যে রাজ,
কবির মধ্যে সেরা তিনি পাখির মধ্যে বাজ।
গীতাঞ্জলি লিখে তিনি বিশ্ব সেরা হয়,
বিশ্বকবি উপাধিতে বাঙালির হয় জয়।
বাঙ্গালীদের প্রাণের কবি আবেগ ভরা প্রাণ,
সারা জীবন এমন ভাবে রেখো মোদের মান।
প্রতিবছর পালন করি তোমার জন্মদিন,
শত চেষ্টা করে তোমার শোধ হবে না ঋণ।
অমর হয়ে থাকবে তুমি সারা জীবন ভর,
সবার মনে থাকো তুমি বেঁধে সুখের ঘর।
*************************************
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
----------------------------
সুজন রাজবংশী
----------------------------------
হে কবি সম্রাট, তব চেতনায় মম হৃদয় উদ্ভাসিত পলে পলে।
বিমুগ্ধতা লয়ে পড়ি তব রচনাশৈলী, নিত্য আঁখি কমলে।
আয়ত নয়নে ভাসে গো তোমার প্রেম কাব্য-কলা।
শূন্য পরান খুলে দিয়ে, প্রকৃতি হতে লুটিয়ে নিয়েছ, অব্যক্ত বর্ণমালা।
বর্ষাময় গগনে শ্রাবণের ডাকে, তব কবিত্বের প্রথম প্রকাশ।
সেই থেকে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যমান আলোকদ্যুতির মতো,পঙক্তিময় হৃদয়ের আকাশ।
নির্জন নিবৃত্তে একলা কখনো, হয়তো কোন ভ্রমন বিলাসে ?
নিরীক্ষণ করেছো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, বিকশিত মনে, হর্ষময় অভিলাষে।
তব ভাবনার আকাশে প্রেমময় ছন্দ দোলে দোলে ভিড়ে!
পঙক্তিমালায় সাজিয়ে লও তব কাব্য মাধুর্যকে ঘিরে।
কাব্য রচনার শিখরে তব নিত্য বিচরণ।
উন্মুক্ত হৃদয়ে গহীন আবেশে, কলমের সিক্ত আলিঙ্গন।
সর্বস্তরে তব স্পর্শে, উন্নত আজ বঙ্গ সাহিত্য।
সমুন্নত চিত্তে, নিজ বৃত্তে, অম্লান হউক তব কবিত্ব।
হে কবিগুরু, তব চরণে বিনম্র চিত্তে জানাই প্রণতি।
কাব্য সিদ্ধতায়, বিশ্বসভা তোমায় দিয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি।
******************************************
কবিগুরু
----------------------
নীরদ দত্ত
---------------------------
কবিগুরু রবিঠাকুর বিশ্বে তুমি বন্দিত
রত্নগর্ভা জননী ভারত তোমায় পেয়ে গর্বিত।
স্বাধীনতার কুরুক্ষেত্রে তুমি সৈনিক অবিচল
পরাধীন জাতির দুঃখবেদনায় ঝরেছে চোখের জল ৷
বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাঁধ ভাঙা সুনামির জলোচ্ছ্বাস
ঘরে ঘরে অরন্ধন , রাখীবন্ধনের উচ্ছ্বাস।
জালালাবাদের নির্মম গণহত্যায় মানবতার হাহাকার!
বর্বরতার প্রতিবাদে 'নাইট' উপাধি করেছো পরিহার।
মানবতার প্রদীপ্ত দীপশলাকা ওগো বিশ্বকবি
বিশ্বমানবতার মুক্তি সংগ্রামে মধ্যগগনের রবি ৷
আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রোদের প্রতি নির্মম অবিচার
প্রতিবাদে তুমি জানিয়েছিলে শাসকে ধিক্কার।
'রাশিয়ার চিঠি'তে নিরন্ন মানুষের অর্জিত অধিকার
লিখেছিলে 'তীর্থদর্শন',সাম্যবাদে করেছিলে নমস্কার।
বিশ্বভারতী মিলনমঞ্চ উদ্ভাসিত বিশ্বভাবধারায়
বিশ্বভুবন ফুলের মালঞ্চ শিক্ষায় সুরভি ছড়ায়।
তোমার কবিতা, নাটক, উপন্যাস, সুরের মধুরিমা
সাতসমুদ্র পেরিয়ে জ্ঞানের আলোয় শোভিত চন্দ্রিমা।
পরাধীন দেশে এনেছ নোবেল হিমালয় সম সম্মান
জগৎ সভায় দিয়েছ ফিরায়ে মানহারা জননীর মান।
ভারত-বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের তুমি রূপকার
লহ প্রণাম ওগো কবিগুরু - ভারতবাসীর কন্ঠহার।
********************************************
আমার রবীন্দ্রনাথ
-------------------------
স্বপন গায়েন
-----------------------------
রবি মানে রবীন্দ্রনাথ রবি জোড়াসাঁকো
রবি মানে ঠাকুরবাড়ি রবির ছবি আঁকো।
রবি মানে সূর্যকিরণ রবিই আকাশ গ্রহ তারা
রবি মানে নোবেল জয় রবিই সেরার সেরা।
রবি মানে গল্প নাটক রবির উপন্যাস
রবি মানে গানের ডালি রবিই বারমাস।
রবি মানে সাহিত্য সৃষ্টি রবি মানে আলো
রবি মানে বাঁচার আশা রবির সৃষ্টি ভালো।
রবি মানে বাংলা সাহিত্য রবি বিশ্ব কবি
রবি মানে অমর কবি রবিই বিশ্ব ছবি।
রবি মানে জাতীয় সংগীত রবিই বাংলা ভাষা
রবি মানে হৃদয় জুড়ে রবির গর্বে ভাসা।
রবি মানে পঁচিশে বৈশাখ রবিই বাইশে শ্রাবণ
রবি মানে তারিখ নয় রবিকে করবো স্মরণ।
*************************************
প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ
--------------------------------
নিরঞ্জন কুমার রায়
----------------------------------------
হে রবি তুমি জ্ঞানের দীপ্ত ছবি,
তুমি প্রাণের কবি তুমি বিশ্ব কবি।
তুমি মানুষের কবি তুমি প্রকৃতির কবি,
তুমি সুরের কবি তুমি গানের কবি।
তুমি বিশ্বমানবতার কবি,ঈশ্বর প্রেমের কবি।
তুমি সুন্দরের কবি মানুষের হৃদয়ের কবি।
তোমারই জন্যে বাংলা ভাষা পেয়েছে মান,
পেয়েছে গৌরব পেয়েছে বিশ্বে রাজার সম্মান।
সাহিত্যে সকল শাখায় তোমার দীপ্ত পদচারণা,
তোমার সংগীত ছড়িয়ে দেয় সুধারস মূর্ছনা।
তোমার গল্প,উপন্যাস,নাটক,কাব্যগ্রন্থ,
বলে মানুষের প্রাণের কথা সুন্দর সুবিন্যস্ত।
তোমার জ্ঞানের খনি গীতাঞ্জলি কাব্য খানি,
বাংলা সাহিত্যে প্রথম নোবেল দিয়েছে আনি।
বাংলা ভাষা পায় পরিচিতি বিশ্বের দরবারে,
তোমারি লেখনী মাহাত্ম্যের ক্ষুরধারে।
দুই বাংলার জাতীয় সংগীত তোমারই রচনা,
বাংলা মায়ের রূপমাধুর্য করেছো বর্ণনা।
নববর্ষ বরণে আজও তোমারি গান গাই,
তোমারি কবিতায় বাংলার ষড়ঋতুকে খুঁজে পাই।
বাংলা বাংলার মানুষের কথা বলেছো চিরকাল,
তোমার সে অবদান চিরদিন রবে অম্লান।
তোমার জ্ঞানের রাজ্য বড়ই সুবিশাল,
আছে বিস্তৃত আসমুদ্র হিমাচল।
তোমার সেই জ্ঞানের রাজ্যে সূর্য হয়না অস্তমিত,
দীপ্ত রবির কিরণ সম সেথা সদা উদ্ভাসিত।
তোমার চিন্তা চেতনা মননশীলতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে,
সারা বিশ্বের সাহিত্য ভুবনে পড়েছে ছড়িয়ে।
তোমার সাহিত্যকর্ম বিশ্বের এক অমূল্য ধন,
তাইতো তুমি বিশ্বকবি মানব জাতির প্রাণ।
তব দর্শন জীবনবোধ মানুষকে সদা টানে,
তাইতো তোমার স্হান মানুষেরই হৃদয় কোণে।
তুমি শুধু নহ কবি মহা মানব আলোর দিশারী,
তাই তো শয়নে স্বপনে শুধু তোমারেই স্মরণ করি।
পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণ পূণ্যদিনে,
তোমাকে করি স্মরণ গভীর ভক্তিশ্রদ্ধা মনে।
এই বিশ্ব আর মানব জাতি রবে যতদিন,
তোমার সাহিত্যকীর্তি বেঁচে রবে ততদিন।
************************************
বিশ্বকবি আমার রবি
-----------------------------
সুব্রত কুণ্ডু
--------------------
স্মরণ-মননে
ক্ষণ-অনুক্ষণে
হৃদয়ে রয়েছ তুমি,
তোমার কিরণ
সদা বিকিরণ
ধন্য ভারত-ভূমি।
গান-কবিতায়
গল্প-গাথায়
নাটক-নভেল সার,
তুমি মহাজন
করি প্রণয়ন
দিলে কত উপহার।
কচি-কাঁচাদের
সহজপাঠের
রঙ ও তুলির খেলা,
দেখে শিশুগণ
পাঠে দেয় মন
কত না খুশির মেলা।
গাঁথিলে হে বীর
গীতাঞ্জলির
কাব্যে মুকুতা-হার,
বিশ্ব জিনিয়া
আনিলে ছিনিয়া
নোবেল- পুরস্কার।
এল বৈশাখ
ওঠে বেজে শাঁখ
পঁচিশ আগত দ্বারে,
আমি অভাজন
পূজিনু চরণ
মল্লিকা ফুল-হারে।
*****************
আছো সৃষ্টিতে
--------------------
সুবর্ণা চক্রবর্তী
------------------------
কবিগুরু রবি ঠাকুর আছে আমার মননে,
কাব্যসুধা পান করি যে সৃষ্টিকর্ম খননে।
কবে জন্ম নেবে আবার এমন মহা মানব?
যাঁর লেখাতে পালায় যেত হিংসা নামের দানব।
তোমার আলোয় আলোকিত করলে সারা ভুবন,
কাব্য,গল্পে বেঁচে আছো হলোই যদি মরণ।
নোবেল পেলে সাহিত্যতে গীতাঞ্জলি লিখে,
তোমায় পড়ে আজো লোকে কত কিছু শেখে।
তোমার গানে মুগ্ধ হয়ে মুদে আসে নয়ন,
ভেবে তোমার অসীমতা করি আমি শয়ন।
তোমার সৃষ্টি হবে নাতো কোনোকালেই খর্ব,
যুগে যুগে মহান হয়ে থাকবে কালের গর্ব।
জগৎ মাঝে দেখি না আর তোমার সম তুল্য,
সকলে কি বোঝে বলো নক্ষত্রেরই মূল্য?
বারেবারে নমি গুরু তোমার চরণ তলে,
তোমার নিন্দা যারা করে মরুক সদল বলে।
বিশ্বকবি উপাধিটা পেলে সৃষ্টি কর্মে,
বিশ্বাস তোমার অটুট ছিল মানবতার ধর্মে।
গীতিনাট্য, উপন্যাসে গভীরতা খুঁজি,
কালের শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ তোমার কর্মে বুঝি।
**************************************
No comments:
Post a Comment